ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্ষতিকর ওষুধে মোটাতাজাকরণ হচ্ছে পশু, টার্গেট কোরবানির হাট

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০১৯  

কোরবানির ঈদের হাটকে সামনে রেখে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ ও ইনজেকশন প্রয়োগে গরু-মহিষ মোটাতাজা করছেন কিছু অসাধু অর্থলোভী খামারি। বেশি দামে পশু বিক্রির জন্য খামারিরা এ পন্থা অবলম্বন করছেন। অন্যদিকে গরু মোটাতাজাকরণের নিষিদ্ধ ওষুধ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে ওষুধের ফার্মেসি থেকে শুরু করে হাট-বাজারে। সহজলভ্য হওয়ার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন অসাধুরা।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো গরুর মাংস খেলে মানুষের শরীরে স্টেরয়েডের উপাদান ঢুকে। এতে কিডনির সমস্যাসহ নানান জটিল রোগে আক্রান্তের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ধরনের ওষুধ খেয়ে গরুগুলো রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ফলে মোটাতাজার বিপরীতে অনেক গরুর মৃত্যু হচ্ছে। এতে লাভের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অনেক খামারি।

কিছু খামারির ধারণা, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ পশু মোটাতাজা করতে সহায়ক। তবে তারা এটির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া জানেন না। আবার অনেক খামারি জেনেই এ পন্থা অবলম্বন করছেন। যাতে পশু মোটাতাজা হলে কিছু বাড়তি টাকা পান।

খামারি ফারুক আহমেদ দীর্ঘদিন পশুপালন করছেন। তিনি কোরবানি উপলক্ষে প্রতিবছর উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে গরু আনেন। এগুলো কয়েকমাস লালন-পালন করে বিক্রি করেন।

এ ব্যবসার শুরুর দিকে গরুকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়াতেন তিনি। ফারুক আহমেদ  বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে এক বছরে ৩০টি গরু এনেছি। একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির কথা শুনে গরুকে ওষুধ খাওয়াই। ওই বছর আমার তিনটি গরু মারা যায়। ফলে লোকসানে পড়ি।
আবদুর রহিম নামে এক খামারি বলেন, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রলোভনে অনেকে এ জাতীয় ওষুধ খাওয়ায় গরুকে।

কয়েকজন খামারি জানিয়েছেন, লোকমুখে শোনার পর তারা এসব ওষুধ গরুকে খাইয়েছেন। খাওয়ানোর পর দ্রুত সময়ের মধ্যে গরুর শরীর মোটা হয়েছিল। এতে করে তারা কিছু টাকা বেশি পেয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধের মধ্যে পশুকে ডেক্সামেথাসন, বেটামেথাসন ও পেরিঅ্যাকটিন খাওয়ানো হয় বেশি।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা  বলেন, সংকটাপন্ন জীবন বাঁচাতে ওষুধ হিসেবে অনেক সময় স্টেরয়েড দেওয়া হয়। কিন্তু ভালো পশুকে এ ধরনের ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে। ‘তবে এ প্রবণতা কমে এসেছে। মানুষ আগের তুলনায় সচেতন। পাশাপাশি যেহেতু অনেক সময় ওষুধ খাওয়ানোর পর অনেকের গরু মারা গেছে, তাই লোকসানের ভয়ে খামারিরা ঝুঁকি নিচ্ছে না।’ দেখা যায় স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ানোর পর ওই পশুর মাংস অনেক খামারির ঘরের রান্না করে। ফলে ওই খামারি নিজেই ফাঁদে পড়ছেন। তাই নিজেকে সচেতন হতে হবে।

সিভিল সার্জন বলেন, এসব ওষুধ খাওয়ানোর ফলে পশুর কিডনি ও লিভারের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। ফলে শরীর থেকে পানি বের হতে পারে না। ওই পানিগুলো সরাসরি পশুর মাংসে যায়। এ কারণে আকৃতিগতভাবে গরুকে মোটা মনে হয়। ‘তবে আসলে ওইগুলো মাংস নয়। জবাইয়ের পর পানি বের হয়ে গেলে ওই গরুর মাংস কমে যায়। এজন্য অনেক কোরবানি দাতাকে হাঁসফাঁস করতে দেখা যায়, পশুর মাংস কম হয়েছে। আসলে ওই পশুকে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে।’

ওষুধ খাওয়ানো পশু চিনবেন যেভাবেঃ
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক পদ্ধতি যে গরু মোটাতাজা হয়েছে, সেটির শরীরে চাপ দিলে সঙ্গে সঙ্গে সেটি আগের অবস্থায় ফিরে যাবে। কিন্তু ওষুধ খাওয়ানো গরুর ক্ষেত্রে সেটি ধীরগতিতে হবে। এ ধরনের গরু সারাক্ষণ নীরব থাকে, নাড়াচাড়া খুবই কম করে। গরুর পায়ুপথে রক্তের দেখা মিলতে পারে, যেহেতু ওষুধ খাওয়ানো বেশিরভাগ গরুর পাকস্থলীতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, এজন্য রক্ত পায়খানা হয়।