ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

গরমে বেড়েছে চোখ ওঠা রোগ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯  

চোখ ওঠা বা কনজাংটিভাইটিস খুবই সাধারণ ও পরিচিত একটি রোগ। মানবজীবনে এই সমস্যায় ভোগেননি, এমন মানুষের সংখ্যা একেবারেই কম। রোগটি সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় গরমকালে। তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে রোগটি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়।

জানা যায়, রোগটির ক্ষতিকর বিষয় নির্ভর করে রোগের জীবাণুর ওপর। অতিরিক্ত গরমের কারণে এ রোগের জীবাণু অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ওষুধ ব্যবহারেও অনেক সময় এগুলো প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এ সমস্যা একেবারেই সামান্য থাকে এবং তা নিজে থেকে ঠিকও হয়ে যায়। কিন্তু গুরুতর ক্ষেত্রে এটি ঠিক হতে অন্তত তিন থেকে চার সপ্তাহ সময় লাগে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবেশগত কারণে বর্ষার শুরু ও শেষের দিকে চোখ ওঠা স্বাভাবিক। এ সময়ে আতঙ্কিত না হয়ে একটু সাবধানতা অবলম্বন করলে নিজেকে এবং পরিবারের সদস্যদের এ রোগ থেকে রক্ষা করা সম্ভব। 

এ প্রসঙ্গে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক (চক্ষু) লায়ন ডাঃ মো. শাহীন রেজা চৌধুরী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, চোখ ওঠা খুবই সাধারণ ও পরিচিত একটি রোগ। ভাইরাস, ব্যকটেরিয়া বা অ্যালার্জিজনিত কারণে চোখ ওঠা রোগ হতে পারে। ভাইরাসে আক্রান্ত চোখ কিছুদিন পর ভালো হয়ে যায়। কিন্তু এর মাধ্যমে আশপাশের অনেককেই আক্রান্ত করতে পারে। ভাইরাসের ধরন এবং রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর রোগের স্থায়িত্ব নির্ভর করে। চোখ ওঠা রোগের কারণে কর্নিয়ায় প্রদাহ হতে পারে। সেক্ষেত্রে সময় মতো চিকিৎসা সেবা না নিলে স্থায়ীভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। তাই জরুরিভাবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত। 

মানুষের চোখের গোলকের সাদা অংশ এবং চোখের পাতার ভেতরের অংশ পাতলা একটি স্বচ্ছ পর্দা দিয়ে ঘেরা থাকে, যার নাম কনজাঙ্কটিভা। এর প্রদাহ বা inflammation-ই হল চোখ ওঠা বা কনজাঙ্কটিভাইটিস। আমাদের দেশে এটি খুবই পরিচিত রোগ।

আমরা আশেপাশে যে কনজাঙ্কটিভাইটিস রোগীদের দেখে থাকি সেটা সচরাচর ভাইরাসের আক্রমণে হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া, এলার্জী বা আঘাত পাবার কারণেও এ রোগ হতে পারে। যে কোনো বয়সের নারী পুরুষের এ রোগটি যে কোনো সময় হতে পারে। তবে অপরিচ্ছন্ন জীবনযাপন পদ্ধতি এ রোগে আক্রান্ত হতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। 

চোখ ওঠা রোগে যে চোখ লাল হয়ে যায় এটা কিন্ত সবারই জানা।  কিন্তু কেন এমন হয়? জবাবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই কনজাঙ্কটিভার রক্তনালীগুলো প্রদাহর কারণে এমনটি হয়। এতে চোখ ফুলে বড় ও লাল হয়ে যায়। ঘুম থেকে উঠলে চোখ আঠা আঠা লাগা, সব সময় চোখের ভেতর কিছু একটা পড়েছে এমন অনুভূতি, চোখ চুলকানো এবং জ্বালাপোড়া করা, আলোর দিকে তাকালে অস্বস্তি লাগা, সবকিছু ঘোলা ঘোলা দেখা, চোখ দিয়ে পানি ঝরা, চোখের কোনায় ময়লা (কেতুর) জমা, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি এই রোগের লক্ষণ। 

কনজাঙ্কটিভাইটিস প্রথমে এক চোখে হয় এরপর তা অন্য চোখে ছড়িয়ে পড়ে। এ জন্য অন্য চোখটিকে সংক্রমিত হতে না দেয়া চিকিৎসার অন্যতম উদ্দেশ্য। এর চিকিৎসায় রোগীকে অসুস্থ চোখের পাশে কাত হয়ে শুতে বলা হয়। এ ছাড়া চোখে বার বার হাত না দেয়া বা চোখ না কচকানো, বার বার পানি দিয়ে না ধোয়া, কালো চশমা পড়া ইত্যাদি রোগটির বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

এ রোগে আক্রান্ত হলে চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। আরো খারাপ কোনো ইনফেকশনের হাত থেকে বাঁচাতে বা এই ইনফেকশন সারাতে এন্টিবায়োটিক ড্রপ দিতে হলে তিনিই দেবেন। অপচিকিৎসা করা হলে রোগটি জটিল আকার ধারণ করে চোখের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে।