গরমে ৫ টাকার আইসক্রিমে স্বস্তি

লক্ষ্মীপুরে টানা তীব্র দাবদাহে হাঁসফাঁস হয়ে উঠেছে জনজীবন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সকল পেশার মানুষ। গরমের তীব্রতায় ছোট-বড় সবার অবস্থা নাজেহাল। প্রচণ্ড গরমে গা পুড়ে যায় যায় অবস্থা।  তাই এ সময় কদর বেড়েছে আইসক্রিমের।

অস্বস্তির মাঝে ফুটপাত থেকে পাঁচ টাকার আইসক্রিম কিনে মুখে নিয়ে স্বস্তি নিচ্ছে বিভিন্ন বয়সী মানুষ। রাস্তা-ঘাটে সব স্থানে পাওয়া যাচ্ছে আইসক্রিম। দেখা যাচ্ছে ছোট বড় সকলে আইসক্রিম কিনে দাঁড়িয়ে-বসিয়ে খাচ্ছে। আর গরমে স্বস্তির ঢেকুর তুলছে। প্রাণে বাঁচার অবস্থা। কেউ একটা খাচ্ছে কেউ দুইটা খাচ্ছে।

বেচাবিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে বলে জানান আইসক্রিম বিক্রেতা। সকালে সূর্যের আলো ফুটতেই শুরু হয় গরম। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরমের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। তবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অসহ্য গরম থাকে।

সন্ধ্যার পর অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে পরিবেশ, রাতেও ভ্যাপসা গরম। কেউ কেউ বলছেন দিনে কয়েকবার করে গোসল করেও স্বস্তি পাচ্ছেন না। অনেকে আবার মেঝেতেও বিছানা পেতেছেন। নারী-শিশু-শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মাত্রা অন্যদের তুলনায় বেশি।

 

আইসক্রিম কিনছেন ক্রেতারা

তবে এসব গরম থেকে বাঁচতে আইসক্রিমের দিকে ঝুঁকছে জনসাধারণ। যে যেখান থেকে পারেন সেখান থেকেই আইসক্রিম কিনে গলা ভিজাচ্ছেন। ৫ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ টাকা পর্যন্ত আইসক্রিম রয়েছে। তবে ৫ টাকার আইসক্রিমে শান্তি লুফে নিচ্ছে অনেকে।

লক্ষ্মীপুর শহরের লিল্লাহ মসজিদ সংলগ্ন মাঠে স্থানীয় ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ ৫ টাকার আইসক্রিম কিনে চুষতে চুষতে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন। মনে অনেক প্রশান্তি লাগার কারণও জানান তিনি। 

তিনি বলেন, টানা অসহনীয় গরমে পাগল প্রায়। প্রতিদিন কারণে অকারণে বাইরে বের হতে হয়। তীব্র দাবদাহের কারণে চলাচল মুশকিল। তাই আইসক্রিম কিনে খাচ্ছি। ছোট ছেলে মেয়েরা যেভাবে খায় আমিও সেরকম খাচ্ছি। গরমে যথেষ্ঠ তৃপ্তিও পাচ্ছি। পানিও গরম তাই পানি না খেয়ে আইসক্রিম দিয়ে গলা ভিজিয়ে নিচ্ছি।

আইসক্রিম বিক্রেতারা বলেন, গত কয়েকদিনের টানা গরমে মানুষের দম বন্ধ হয়ে যাওয়া অবস্থা হয়েছে। আমরা নিজেরাও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তবে এ গরমে অন্যদের তুলনায় আমাদের বেশ বেচাবিক্রি হচ্ছে। আইসক্রিমের বেশ চাহিদা বেড়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি আইসক্রিম বিক্রি হচ্ছে। মানুষ লাইন ধরে আইসক্রিম কিনতে আসে। আমরা বানিয়ে শেষ করতে না করতে আবার চাহিদা বেড়ে যায়।