ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

‘গরিবের ঝুড়িতে’ খাবার রাখে কেউ, কারো ক্ষুধা মেটে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২৩  

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড। চারদিকে কোলাহল, গাড়ির চাপ।

ব্যস্ত মানুষের আনাগোনা। পাদচারী সেতুতে ভিক্ষুক, দরিদ্র ও প্রতিবন্ধী মানুষের দেখা মেলে। তাদের দিকে ফিরে তাকানোর মানুষের সংখ্যা নগণ্য। কিন্তু সেই এলাকার ভ্রাম্যমাণ দরিদ্র মানুষের জন্য ব্যতিক্রম উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন মো. মহসিন হোসাইন নামে এক ব্যক্তি। তিনি রেলিশ অ্যান্ড কনফেকশনারি কুমিল্লার নয়টি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার।
 
জানা গেছে, দুই বছর আগে তিনি দরিদ্র মানুষের জন্য পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডের দুটি শো-রুমে একটি করে বাক্স রাখেন। ওই বাক্সগুলোর গায়ে লেখা- 'এই ঝুড়ি থেকে প্রয়োজনীয় খাবার নিয়ে যান। এই ঝুড়িতে গরিবের জন্য খাবার রেখে যান। 

মঙ্গলবার (১৬ মে) রেলিশের শো-রুমে গিয়ে দেখা যায়, ঝুড়িগুলোতে পাউরুটি, ফাস্টফুড রাখা আছে। ঝুড়ির নিচে কেউ কিছু খাবার রেখে গেছেন। এভাবে প্রতিদিন মানুষ খাবার রেখে যাচ্ছেন। প্রতিদিন দোকান থেকেও খাবার দেওয়া হচ্ছে। বাক্স থেকে দরিদ্র মানুষরা প্রয়োজনীয় সংখ্যক খাবার নিয়ে যান।  

মাসুদ রানা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমি প্রায় সময় এই শো-রুমে আসি। এখানে মানুষ খাবার রেখে যায়। মাঝেমধ্যে আমিও শরিক হই। মহসিনদের এই উদ্যোগ ব্যতিক্রম। এটা সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার।

রেলিশের কুমিল্লা শাখার কর্ণধার মহসিন হোসাইন বলেন, উসমানীয়া সাম্রাজের শাসন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি এই উদ্যোগ গ্রহণ করি। আমি মনে করি, এই কাজটি করতে বেশি টাকা-পয়সার দরকার নেই। বিত্তবানরা একটু আন্তরিক হলে সারাদেশে এটা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। আমারও ইচ্ছা আছে বাকি শো-রুমগুলোতে এ কাজটি করার।  

তিনি বলেন, মানুষ এ কাজে ভালো সাড়া দিচ্ছে। এখন দরকার উদ্যোগের। সামর্থ্যবানরা এগিয়ে এলে বাংলাদেশের মানুষ অভুক্ত থাকবে না।