গোমতী পাড়ে নদী কেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

"কে যাসরে, ভাটির গাঙ বাইয়া,
আমার ভাই ধনরে কইয়ো নাইওর নিতে আইয়া......."
উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও কুমিল্লার কৃতী সন্তান শচীন দেব বর্মন এ গানটি গেয়েছিলেন কুমিল্লার 'গোমতি' নদীকে উপলক্ষ্য করে।

টাইবার নদীকে কেন্দ্র করে যেমন রোম শহর গড়ে উঠেছিল, তেমনি এই গোমতি নদীর তীরে গড়ে ওঠে আজকের কুমিল্লা। কুমিল্লার সংস্কৃতি তাই নদীর সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে। নদীর প্রতি কুমিল্লাবাসীর কৃতজ্ঞতা ও নদী রক্ষায় সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কুমিল্লার সংস্কৃতিবান্ধব জেলাপ্রশাসক মহোদয়ের ঐকান্তিক আগ্রহে অগ্রহায়ণের প্রথমদিনের বিকেলে গোমতি'র পাড়ে 'নদীকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান' এর আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক বলেন, নদীর সাথে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস- সংস্কৃতি এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। ‘টাইবার’ নদীকে কেন্দ্র করে যেমন রোম শহর গড়ে উঠেছিল, তেমনি এই ‘গোমতি’ নদীর তীরে গড়ে ওঠে আজকের কুমিল্লা। কুমিল্লার সংস্কৃতি তাই নদীর সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে আছে। নদী বাঁচলে বাঁচবে দেশ। গোমতী বেঁচে থাকলে কুমিল্লা বাঁচবে।

‘১৩শত নদী শুধায় আমাকে’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জেলা কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আমির আলী চৌধুরী, গবেষক এড.গোলাম ফারুক, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের উপপরিচালক ড. আহমেদ আবদুল্লাহ,আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া আফরিন।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পিসহ আমন্ত্রিত শিল্পিদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে কুমিল্লা জেলার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিবৃন্দসহ সহস্রাধিক দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন।