ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

গোল্ডলিফ হবে ১৬ টাকা, বেনসন ২০!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১২ মে ২০১৯  

আসন্ন বাজেটে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম অতিরিক্ত ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সেই হিসাবে গোল্ডলিফ সিগারেটের দাম হবে ১৬ টাকা এবং বেনসন হবে ২০ টাকা।

এবারের বাজেটকে সামনে রেখে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে ১০ এপ্রিল লেখা এক চিঠিতে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এতে বাজারে সিগারেটের মূল্য সর্বনিম্ন ৯ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। 

প্রস্তাবে বাজারে চলমান প্রতিটি কম দামের সিগারেটে কমপক্ষে ৪ টাকা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতিটি সিগারেটের দাম বাড়বে অতিরিক্ত ৮ টাকা। বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি সিগারেটের দাম ৫ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতি সিগারেট ১২ টাকা খুচরা মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এ শলাকা গোল্ডলিফ সিগারেটের দাম হবে ১৬ টাকা এবং বেনসন সিগারেটের দাম হবে ২০ টাকা।

চিঠিতে তিনি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর কর আরোপের ক্ষেত্রে এসব প্রস্তাব বিবেচনার জন্য অর্থমন্ত্রীর ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশে গড়তে তামাকের কর কাঠামো পরিবর্তন করে বিশেষ করে সিগারেটের মূল্যস্তর চারটি থেকে কমিয়ে দুটি করার পাশাপাশি ১০ শলাকা সিগারেটের ওপর সুনির্দিষ্ট অতিরিক্ত পাঁচ টাকা কর আরোপের প্রস্তাব করেছেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সিগারেটে করারোপের ক্ষেত্রে বর্তমান নিম্ন ও মধ্যম স্তরকে একত্রিত করে একটি এবং উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরকে একত্রিত করে আরেকটি স্তর করতে বলা হয়েছে। নিম্নস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করে ৬০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং উচ্চস্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য কমপক্ষে ১০৫ টাকা নির্ধারণ করে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার পাশাপাশি সব সিগারেটের প্রতি শলাকার ওপর পাঁচ টাকা হারে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে।

এই প্রস্তাবে বিড়ির ক্ষেত্রে মূল্য বিভাজন তুলে দিয়ে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা নির্ধারণের পাশাপাশি ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকা বিড়ির খুচরা মূল্য ২৮ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং ৪ টাকা ৮০ পয়সা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ক্ষেত্রে প্রস্তাবে ট্যারিফ ভ্যালু প্রথা বিলুপ্ত করে সিগারেট ও বিড়ির মতোই খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, প্রতি ১০ গ্রাম জর্দার মূল্য ৩৫ টাকা এবং গুলের মূল্য ২০ টাকা করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া জর্দার ওপর পাঁচ টাকা এবং গুলের ওপর তিন টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্প আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে লেখা স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার চিঠিতে বলেছেন, তামাকজাত দ্রব্যের ওপর বর্তমান কর কাঠামো অত্যন্ত জটিল ও তামাকের ব্যবহার নিরুৎসাহিত করতে এ ধরনের কর কাঠামো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। সিগারেটে বহুস্তর বিশিষ্ট করকাঠামো চালু থাকায় বাজারে অত্যন্ত সস্তা ও সহজলভ্য সিগারেট পাওয়া যাচ্ছে। ধূমপান ছেড়ে দেয়ার পরিবর্তে ভোক্তা কম দামি সিগারেট বেছে নিচ্ছে। করের ভিত্তি এবং হার খুবই কম হওয়ায় বিড়ি এবং ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্য জর্দা ও গুল সহজলভ্য থেকে যাচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি তামাক ব্যবহারকারী দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ।

এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় কর নীতিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য সব তামাকজাত পণ্যে খুচরা মূল্যের ভিত্তিতে করারোপ, সুনির্দিষ্ট শুল্ক্ক পর্যায়ক্রমে বৃদ্ধি, সব তামাক পণ্য অভিন্ন পরিমাণে প্যাকেট বা কৌটায় বাজারজাত করা, পৃথক তামাক কর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন (পাঁচ বছর মেয়াদি) তামাকের ব্যবহার হ্রাস ও রাজস্ব বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করা হয়।