চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি

পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি বলে দাবী করেছেন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান।

বিকাশ দেওয়ান বলেন, চুড়িহাট্টা মোড়ের আগুনের ঘটনায় কোনো ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়নি। আগুনের কারণেই তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ও বৈদ্যুতিক কিছু তার পুড়ে গেছে।

তিনি বলেন, বিদ্যুতের তিনটি খুঁটি, তিন স্পেন এসটি (১২০ মিটার ) তার , ৬ স্পেন (১৮০ মিটার)এলটি তার এবং ৬ স্পেন এরিয়াল বান্ডেল তার নষ্ট হয়ে গেছে। 

এদিকে, চকবাজারের ঘটনায় ব্যবস্থাপনা পরিচালকের তাৎক্ষনিক নির্দেশে ডিপিডিসি’র পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- ডিপিডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (সেন্ট্রাল) আমিনুল ইসলাম মুকুল, ডিপিডিসি’র প্রধান প্রকৌশলী (গ্রিড) সারোয়ার কায়নাতে নূর ও ডিপিডিসি’র লালবাগ জোনের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন । তাদেরকে আজকের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিপিডিসির পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এটিএম হারুন অর রশিদ।

সংস্থাটির পরিচালক (অপারেশন) প্রকৌশলী এটিএম হারুন অর রশিদ আরো জানান, অগ্নিকাণ্ডের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ডিপিডিসির শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সার্বিক কাজ তদারকি করছে।

অন্যদিকে, শুক্রবার সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে ভবনটিতে প্রথম আগুন লাগে সেই ওয়াহেদ ম্যানশন চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত। তার আশপাশে কোনো ট্রান্সফরমার ছিল না। পাশের হায়দারবক্স লেনে একটি এবং কাটারা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে একটি ট্রান্সফরমার ছিল, যা অক্ষত অবস্থায় আছে।

ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহের দ্বায়িত্বে থাকা ডিপিডিসির লালবাগ ডিভিশনের -এর নির্বাহী প্রকৌশলী হরিচন্দ্র হালদার বলেন, আগুন লাগার পর চকবাজারের ৩০টি ট্রান্সফরমার সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ করে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে চুড়িহাট্টা ছাড়া অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। সিটি করপোরেশন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কাজ শেষ করলে যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব সেখানে সরবরাহ শুরু করা হবে। আর যেখানে তার ও খুঁটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তা বদলানোর কাজ শুরু করা হবে।