ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ছাঁটাই আতঙ্কে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৭৭৭ কর্মচারী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২২  

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে (কুসিক) দৈনিক হাজিরাভিত্তিতে অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়া ৭৭৭ জন কর্মীর মাঝে ছাঁটাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরা সবাই বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর আমলে নিয়োগ পাওয়া।

তবে কুসিকের বর্তমান মেয়র আরফানুল হক রিফাত জানিয়েছেন নগর ভবনে বর্তমানে স্থায়ী কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন ৮৩ জন। যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। অপ্রয়োজনীয় কর্মী রয়েছে কিনা।

কুসিক সূত্র জানায়, বর্তমানে স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন ৮৩ জন। তাদের প্রতি মাসে ৪৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ টাকা বেতন-ভাতা দেওয়া হচ্ছে। অস্থায়ী ৭৭৭ জন কর্মী আগে জনপ্রতি ৩০০ টাকা করে দৈনিক বেতন পেতেন। চলতি বছরের মে মাসে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে মনিরুল হক সাক্কু তাদের হাজিরা ৩৫০ টাকা করেন।

তাদের পেছনে সিটি করপোরেশনের খরচ প্রতি মাসে ৭২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৯০ টাকা। কুমিল্লা সিটির অর্গানোগ্রাম অনুযায়ী ৫৯০টি পদ সৃজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭৯ জনকে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে লোকবল সঙ্কট দূর হয়ে স্থায়ী জনবল বাড়বে এবং দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মীর সংখ্যা কমবে বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক হাজিরাভিত্তিতে কাজ করা একাধিক কর্মচারী বলেন, আগের মেয়র ছিলেন বিএনপির। তার আমলে আমাদের নিয়োগ হয়েছে। বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগের। সেজন্য ভয় হচ্ছে রাজনৈতিক টানা হ্যাঁচড়ার মধ্যে যদি আমাদের চাকরি যায় পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই মেয়রের কাছে আকুতি আমরা যেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার না হই। আমাদের মধ্যে ৭৭৭ কর্মচারীর কেউই জুলাই মাসের বেতন পাননি।

এ বিষয়ে কুসিক মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, সিটি করপোরেশনের স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর চেয়ে নয়গুণের বেশি দৈনিক হাজিরাভিত্তিক কর্মী। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এতে বিপুল অঙ্কের টাকার অপচয় হচ্ছে। তাই এসব কর্মীর জুলাই মাসের বেতন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই করছি। তালিকা করে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক রাখবো। প্রয়োজন না থাকলে অন্যরা বাদ যাবে।