ছেলেদের ঘরের মেঝেতে রক্তের দাগ, মিলল অস্ত্র-রক্তমাখা কাপড়

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধ বাবাকে কুপিয়ে হত্যার পর লাশ পুকুরের কাদামাটিতে পুতে রাখার ঘটনায় তিন ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা-বটি ও রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার ওই উপজেলার জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের জোড্ডা পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত এনামুল হক ওই গ্রামের মিয়াজী বাড়ির শামসুল হকের ছেলে।

বৃহস্পতিবার নিহতের স্ত্রী বাড়ির পাশের ওই পুকুরে লাশ দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত এনামুল হকের পিঠে, ঘাড়ে ও মুখে একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের তিন ছেলে নূর মোহাম্মদ সুমন, নূর আলম সুজন ও শাহ পরানকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃদ্ধ এনামুল হক কিছু সম্পত্তি বিক্রি করে এক ছেলে শাহজাহানকে বিদেশে পাঠান। একইভাবে শাহ পরানকেও বিদেশে পাঠানোর প্রস্তুতি নেন। এ নিয়ে বাকি দুই ছেলের সঙ্গে বাবা এনামুল হকের বিরোধ চলছিল। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মিয়াজী একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহতের ছেলেদের ঘর থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, বটি ও রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার করেছে। ওই সময় ঘরের মেঝেসহ বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে। হত্যার আলামত হিসেবে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।