ব্রেকিং:
‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা জাহাজসহ জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের সবশেষ অবস্থা জানা গেছে বেতন নেবেন না পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জারদারি জলদস্যুর কবলে পড়া নাবিকদের ১১ জনই চট্টগ্রামের রমজান উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ রোজায় স্কুল খোলা না বন্ধ, সিদ্ধান্ত আজ পুরান ঢাকায় জুতার কারখানায় ভয়াবহ আগুন গাজায় ‘জঘন্য অপরাধ’ বন্ধের আহ্বান সৌদি বাদশাহর আম্বানিপুত্রের বিয়েতে যে দামি উপহার দিলেন শাহরুখ-সালমান মেয়র পদে উপনির্বাচন- কুমিল্লায় জয়ী বাহারকন্যা সূচনা
  • মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

ছেলের মরদেহ নিয়ে সাড়ে ৬ ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা-মা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২০  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সাগরতলা গ্রামের মো. রাজিব। সপরিবারে থাকতেন চাঁদপুরে। সেখানে একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর রাজিবের মরদেহ দাফনের জন্য নেয়া হয় নিজ গ্রাম সাগরতলায়।

গ্রামবাসীর বাধার মুখে মরদেহ নিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজিবের বাবা-মা। পরে গভীর রাতে কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর শহরের একটি হাসপাতালে যান রাজিব। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। ওইদিন বিকেল ৫টায় ঢাকায় নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ছেলের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য সাগরতলা গ্রামে নিয়ে গেলে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েন রাজিবের বাবা-মা। মরদেহ নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকেন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

খবর পেয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে রাত দেড়টায় দাফনের ব্যবস্থা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জীবন। ওই রাতে নিজে গিয়ে কাফনের কাপড়ের কিনে আনেন। এরপর স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে ডেকে কসবা থানার ওসি লোকমান হোসেনকে নিয়ে জানাজা পড়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন রাজীবকে।

জানতে চাইলে কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন বলেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে মনে করে গ্রামের লোকজন রাজিবের মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছিল। তার বাবা-মা মরদেহ নিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠালেও কেউ তাকে সহযোগিতা করেনি। পরে আমি নিজে গিয়ে মসজিদের ইমাম, থানার ওসি ও ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে মরদেহ দাফন করেছি।