ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ছেলের মরদেহ নিয়ে সাড়ে ৬ ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন বাবা-মা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২০  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সাগরতলা গ্রামের মো. রাজিব। সপরিবারে থাকতেন চাঁদপুরে। সেখানে একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন। শনিবার বিকেলে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর রাজিবের মরদেহ দাফনের জন্য নেয়া হয় নিজ গ্রাম সাগরতলায়।

গ্রামবাসীর বাধার মুখে মরদেহ নিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজিবের বাবা-মা। পরে গভীর রাতে কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন মরদেহ দাফনের ব্যবস্থা করেন।

জানা গেছে, শনিবার দুপুরে জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে চাঁদপুর শহরের একটি হাসপাতালে যান রাজিব। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পরামর্শ দেন। ওইদিন বিকেল ৫টায় ঢাকায় নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে ছেলের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য সাগরতলা গ্রামে নিয়ে গেলে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েন রাজিবের বাবা-মা। মরদেহ নিয়ে সড়কে দাঁড়িয়ে থাকেন রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত।

খবর পেয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে রাত দেড়টায় দাফনের ব্যবস্থা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জীবন। ওই রাতে নিজে গিয়ে কাফনের কাপড়ের কিনে আনেন। এরপর স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে ডেকে কসবা থানার ওসি লোকমান হোসেনকে নিয়ে জানাজা পড়ে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করেন রাজীবকে।

জানতে চাইলে কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন বলেন, করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে মনে করে গ্রামের লোকজন রাজিবের মরদেহ দাফনে বাধা দিয়েছিল। তার বাবা-মা মরদেহ নিয়ে প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আমি ইউপি চেয়ারম্যানকে পাঠালেও কেউ তাকে সহযোগিতা করেনি। পরে আমি নিজে গিয়ে মসজিদের ইমাম, থানার ওসি ও ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে মরদেহ দাফন করেছি।