ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

জন্মনিবন্ধনের সই নিতে গিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে ধর্ষণের শিকার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১ জুন ২০২৩  

এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৯ মে) রাতে বিষয়টি ৬ লাখ টাকায় রফাদফা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় এ ঘটনা ঘটেছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটি জন্মনিবন্ধনে চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দারের সই প্রয়োজন পড়ে। ১৮ মে জোহরের নামাজের পর ওই নারী ইউপি সদস্য ফোন দিলে চেয়ারম্যান তাকে বাসায় যেতে বলেন। চেয়ারম্যান বাসায় একা ছিলেন। ওই নারী ইউপি সদস্য তার বাসায় গেলে দরজা বন্ধ করেন দেন। একপর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করেন চেয়ারম্যান।

ওই নারী ঘটনা প্রকাশ করে দিতে চাইলে চেয়ারম্যান বিয়ের আশ্বাস দেন। এর কয়েকদিন পর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। একপর্যায়ে ওই নারীর পরিবারের সদস্য ও তার স্বামী ঘটনাটি জেনে ফেলেন। ২৫ মে ওই নারীর স্বামী তালাক দেন। নিরুপায় হয়ে ইউপি সদস্য আশুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার কাছে বিচার চান এবং বিয়ের দাবি করেন।

সোমবার (২৯ মে) বিকেলে হাজি ছফিউল্লাহ মিয়ার অফিসে এ বিষয় নিয়ে বৈঠক হলে সমাধান না করেই সবাই চলে যান। ওইদিন রাতেই তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের সাবিনা মেম্বারের বাড়িতে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হোসেন জয়, তালশহর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য রশিদ মেম্বার, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার ও ভুক্তভোগী ওই নারী উপস্থিত ছিলেন। এ সময় ছয় লাখ টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিষয়টি জোরপূর্বক আপস মীমাংসা করা হয়। ঘটনার পর থেকে ওই নারীর মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জানতে আরেক নারী সদস্যের মোবাইলে কল দিলে তার স্বামী নূরুল আমিন সরকার রিসিভ করেন। তিনি বলেন, রাতে ভুক্তভোগী ওই নারী আমাদের বাসায় এসেছিলেন। সবাই বসে কথা বলেছেন। তবে টাকা দিয়ে সমাধানের বিষয়টি আমার জানা নাই।

এ বিষয়ে তালশহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোলমান সিকান্দার বলেন, ইউনিয়নের বরাদ্দ নিয়ে মেম্বারদের সঙ্গে অনেক সময় ঝামেলা হয়। কেউ হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে এমন কথা বলছে। এসব তথ্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।