ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জার্মানিতে চিকিৎসাখাতে বাংলাদেশিদের ব্যাপক সাফল্য

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩০ আগস্ট ২০২০  

মধ্য ইউরোপের দেশ জার্মানি।  এখানকার পড়াশোনা ও গবেষণার মান বিশ্ব মানের। জার্মানিতে ডাক্তারি পড়ার পাশাপাশি চিকিৎসাখাতের গবেষণাতেও খুব ভালো করছেন বাংলাদেশিরা৷ এতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নাম করার সুযোগ রয়েছে।

হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাস্কুলার বায়োলজি অ্যান্ড টিউমার এনজিওজেনেসিস বিভাগে পিএইচডি শুরু করেন উৎস আলী হায়দার।   গবেষণার এ পর্যায়ে ইংরেজি ভাষা চলে বলেই ভাষা নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়নি তার।

তিনি বলেন, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিক্যুলার বায়োলজি  থেকে পাশ করে জার্মানিতে সেল বায়োলজি ও ফিজিওলজির ওপরে মাস্টার্স করি৷ এরপর এখানে ডায়বেটিস নিয়ে গবেষণার জন্য পিএইচডি পজিশনটি দেখে আগ্রহী হই এবং আবেদন করি।
তবে উৎস তার চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে বলেন, পড়াশোনার জন্য না লাগলেও প্রাত্যহিক জীবনে জার্মান ভাষাটা লাগে৷ তাই আমি সেটা শিখেছি৷ তবে বাংলাদেশে যেটা আমরা খুব বেশি শিখি না, যেমন নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নেয়া বা সময়ানুবর্তিতা, সেটি জার্মান শিক্ষার্থীরা খুব ছোটবেলা থেকে শেখেন৷ আমি তাদের কাছ থেকে সেটা শেখার চেষ্টা করেছি৷

অন্যদিকে এইচএসসি পাশ করে ডাক্তারি পড়ার উদ্দেশ্যে একাই জার্মানিতে চলে এসেছেন উর্মি রহমান৷

তিনি বলেন, আমি এখানে এসে প্রথমে ভাষা শিখি৷ তারপর স্টুডিয়েনকলেগ (ব্যাচেলর পড়ার প্রস্তুতি কোর্স) করি৷ তারপর হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফ্যাকাল্টিতে ডাক্তারি পড়া শুরু করি।

আর তিন বছর লাগবে ডাক্তারি পাশ করতে৷ কাজটা কঠিন ছিল ঊর্মির কাছে৷ কিন্তু সেই কঠিন কাজটিই করেছেন ধৈর্য্যের সঙ্গে৷

তার কাছেও চ্যালেঞ্জ ছিল ভাষা শেখা, ‘আমরা তো বাংলাদেশে পরিবারের সহযোগিতা নিয়ে সবকিছু করে অভ্যস্ত৷ তাই এটা একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভাষা শেখা৷ আর আমার পড়া যেহেতু জার্মান ভাষায়, তাই চ্যালেঞ্জ ছিল সি১ লেভেল পর্যন্ত শেখা’৷

বাংলাদেশ থেকে যারা ডাক্তারি পড়ে এখানে আসেন, তাদের একটি লাইসেন্স টেস্ট দিতে হয় বলে জানান ঊর্মি৷ সেই পরীক্ষাটি জার্মান ভাষায় হয়৷ তাই ডাক্তারি পড়তে হলে জার্মান ভাষা জানতেই হয়৷

এই দুই শিক্ষার্থী জানান, জার্মানিতে পড়াশোনার খরচ (টিউশন ফি) কোনো কোনো রাজ্যে একেবারে শূন্য৷ তবে যেখানে হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত সেই বাডেম ভ্যুটেমব্যর্গ রাজ্যে এখন সেটি সেমিস্টার প্রতি দেড় হাজার ইউরো৷ তারা বলেন, জার্মানিতে পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি পাওয়া কঠিন নয়৷ তবে এর পাশাপাশি ডাক্তারি বা চিকিৎসা খাতে গবেষণা করার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপের সাপোর্ট থাকা ভালো৷

এ বিষয়ে উর্মি বলেন, যেহেতু ডাক্তারিতে পড়াশোনা বেশি, তাই একটার বেশি জব করা সম্ভব নয়৷ সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন কাজ করা যায়৷ তাতে বাড়ি থেকে কিছুটা সাপোর্ট থাকলে সুবিধা।
আর উৎস বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কিছুটা সাপোর্ট পাচ্ছি এবং একটি জব করছি, তাতে আমার বেশ ভালোই চলে যাচ্ছে৷

শুধু ঊর্মি ও উৎসই নন, জার্মানিতে অনেক বাংলাদেশিই ডাক্তারি পড়তে আসছেন এবং তারা ভালো করছেন৷ অনেকে এখান থেকে গবেষণা করে দেশে ফেরত যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন দেশের গবেষকদের সঙ্গে মিলে নতুন নতুন গবেষণাও করছেন৷