জিনের বাদশার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করল তিন এজেন্ট

মধ্যরাতে জিনের বাদশা পরিচয়ে শুরু হয় প্রতারক চক্রের কারসাজি। এরপর নানা কৌশলে টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে তারা।

জিনের বাদশা পরিচয়ে সারাদেশের মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। কখনো ধর্মের ভয় দেখিয়ে, আবার কখনো পিতলের মূর্তিকে গুপ্তধন বলে তারা এই টাকা নিচ্ছে। 

গাইবান্ধাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে অবস্থান এসব কথিত জিনের বাদশার। এ প্রতারকরা কখনো প্রকাশ্যে আসে না। সারাদেশে এজেন্টের মাধ্যমে তারা টাকা আদায় করে। এ ধরনের টাকা আদায় করতে গিয়ে চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানা এলাকায় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে তিন এজেন্ট।

বাকলিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, তারা আমাদের বিস্তারিত অনেক তথ্য দিয়েছে। গাইবান্ধা থেকে তারা পুরো বাংলাদেশ নিয়ন্ত্রণ করে। ১২টি চক্র এদের নিয়ন্ত্রণ করে। 

গ্রেফতার তিন এজেন্টের দাবি, ১৫ থেকে ২০ শতাংশ হারে কমিশনের ভিত্তিতে তারা কথিত জিনের বাদশাকে টাকা আদায় করে দেয়। এমনকি সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে গুপ্তধনের পিতলের মূর্তি তারাই রেখে আসে। 

আটক তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর কথিত জিনের বাদশার সন্ধানে পুলিশ তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।