ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জেলার জলাশয় গুলোতে মাছ ধরার ধুম

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

হেমন্তের শেষ আর শীতের শুরুতে কম পানিতে মাছ ধরার উৎসব শুরু হয় গ্রাম-বাংলায়। বাঙালির এই ঐতিহ্যের রেশ ধরে সম্প্রতি কুমিল্লার বিভিন্ন জলাশয়ে পলো বাওয়ার ধুম লেগেছে।

জেলার ঘুঘরার বিলে ঐহিত্যগতভাবে মাছ ধরা উৎসব চলে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই বিল অভিমুখে শুরু হয় মানুষের ঢল। কেউ কাঁধে পলো নিয়ে, আবার কেউ হাতে ঠলা জাল, খুইরা জাল, বাদাই জালসহ মাছ ধরার নানা উপকরণ নিয়ে বিলে নামে।

মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষের উপস্থিতিতে বিলপাড়ে তৈরি হয় উৎসবমুখর পরিবেশ। দল বেঁধে বিলের পানিতে নেমে মাছ শিকারের আনন্দে মেতে ওঠে তারা। দুপুর পর্যন্ত চলে মাছ ধরার এই প্রক্রিয়া।

শনিবার ভোরে বিলাঞ্চলে গিয়ে দেখা যায়, মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে নানা বয়সি মানুষের এক বিরাট মিলনমেলা। দল বেঁধে হাজারো মানুষ বিলে নেমেছে মাছ ধরতে। সবার চোখ-মুখে খুশির ঝিলিক। কেউ পলোতে বোয়াল মাছ ধরেছে, কেউ বা জালে চিতল। এ যেন কোনো হারিয়ে যাওয়া সময়ের দৃশ্য।

স্থানীয়রা জানান, কালের সাক্ষী ঐতিহ্যময় ঘুঘরার বিল মাছ শিকারের জন্য বিশিষভাবে খ্যাত। প্রায় শত বছর ধরেই এমন সময় আশপাশের গ্রামের হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরে এখান থেকে। কারও পলো, বাওয়া ইত্যাদিতে রুই-কাতলা, বোয়াল, শোল ইত্যাদি মাছ ধরা পড়লেই একসঙ্গে সবাই আনন্দে চিৎকার দিয়ে ওঠে সবাই।

মাছ ধরতে আসা চান্দিনার পিপুয়া গ্রামের মোসলেম বলেন, অনেকটা শখের বসে মানুষ আসেন মাছ শিকার করতে, কিন্তু দিন দিন ছোট হয়ে আসছে খাল-বিল। প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাচ্ছে মাছের অভয়াশ্রম। বিল-জলাশয় খনন করে মাছের অভয়াশ্রম না বাড়ালে কিছুদিন পর আর মাছও থাকবে না, মাছ ধরার এই উৎসবও আর থাকবে না।

এদিকে কুমিল্লা জেলার অধিকাংশ নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, বাঁওড়ের পানি শুকিয়ে গেছে। কোথাও হাঁটুপানি, আবার কোথাও কাদা-পানি থাকা এসব খাল-বিলে রয়েছে নানা প্রজাতির দেশি মাছ।

পেশাজীবী জেলে থেকে শুরু করে শৌখিন মৎস্য শিকারিরা এখন নেমে পড়েছে মাছ শিকারে। পুরো শীত মৌসুমেই গ্রামগঞ্জে মাছ ধরার এই চিত্র চোখে পড়ে। কই, শিং, মাগুর প্রভৃৃতি দেশি জাতের জিয়ল মাছই ধরা পড়ে বেশি। তা ছাড়া টেংরা, পুঁটি, খইলসা, শোল, টাকি, বোয়াল, চিকরা, বাইন, কাতলা, সিলভার কার্প প্রভৃতি মাছ তো রয়েছেই।

বর্ষাকালে মৎস্য খামারসহ বিভিন্ন জলমহালের মাছ ভেসে গিয়ে ডোবা-পুকুর, খাল-বিল এবং নিচু জলাভ‚মিতে আশ্রয় নেয়। পরে শুকনো মৌসুমে সেসব মাছ ধরা পড়ে।