ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ডাকসু: ছাত্রীরা যেদিকে, বিজয় সেদিকে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ মার্চ ২০১৯  

২৮ বছর ধরে বন্ধ থাকা ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে জাতীয় নির্বাচনের মতোই আবহ তৈরি হয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের শিক্ষার্থীদের মন বোঝা মুশকিল তাই প্রার্থীরা আছেন মহা টেনশনে। তবে ক্যাম্পাসে এখন একটাই আলোচনা- ছাত্রীরা যেদিকে, বিজয় সেদিকে। 

সব দল মনে করে পাঁচটি ছাত্রী হলের ১৬ হাজারের অধিক ভোটার এবার ডাকসুর ফল নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখবে। ছাত্র হলগুলোতে ছাত্রলীগ প্রভাব তৈরি করতে পারলেও ছাত্রীদের নিয়ে শঙ্কায় আছে। কয়েকটি হলে ছাত্রলীগের প্যানেল ভোট চাইলে ছাত্রীরা সরাসরি ভোট দেবেন না বলেও জানিয়ে দেন।   

পাঁচটি ছাত্রী হলে আবাসিক-অনাবাসিক মিলিয়ে আছেন প্রায় ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। হলে থাকেন ৯ হাজারের মতো, বাকি ৬ হাজার থাকেন হলের বাইরে। হলে থাকেন এমন ছাত্রীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ প্রত্যক্ষভাবে দলীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এই হিসেবে ১৬ হাজার ছাত্রীর মধ্যে দেড় হাজারও সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নয়।

ভোটার তালিকা অনুযায়ী, রোকেয়া হলে ভোটার ৪,৫৩০, শামসুন্নাহার হলে ৩,৭৩৭, সুফিয়া কামাল হলে ৩,৭১০, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা হলে ২,২৪৪ এবং কুয়েত মৈত্রী হলে ১৯২০ জন ভোটার। অনাবাসিক ছাত্রীদের মধ্যে দলীয় রাজনীতিতে সক্রিয় নেই বললেই চলে। সুতরাং ভোটের ফল নির্ধারণে ছাত্রীরা যে গুরুত্ব ভূমিকা রাখবে এতে কোন সন্দেহ নাই।  

এছাড়া ফল নির্ধারণে আরো ভূমিকা রাখবে ১৩টি ছাত্র হলের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। যারা সরাসরি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নয়। এর সঙ্গে আছে অঞ্চলভিত্তিক রাজনীতি। এর বাইরে টিএসসিভিত্তিক সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরাও ভোটের ফল নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে।  

এদিকে ১৩টি ছাত্র হলে আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্রের সংখ্যা ২৯ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে ১৫ হাজার ছাত্র হলে থাকেন, বাইরে থাকেন ১৪ হাজার। আবাসিক-অনাবাসিক ছাত্রদের মধ্যে বড়জোর ১০-১২ হাজার ছাত্র দলীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বাকি ১৫ হাজার দলীয় রাজনীতির বাইরে। সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ছাত্রছাত্রীই প্রত্যক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়। এই নিরব ভোটার নিয়েই শঙ্কায় আছে সব দল বিশেষ করে ছাত্রলীগ।   

কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রার্থী রয়েছেন ৭৩৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৫ পদের বিপরীতে ২২৯ জন এবং হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪ পদের বিপরীতে প্রার্থী ৫০৯ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে ২১ জনের মধ্য থেকে একজন, জিএস পদে ১৪ জনের মধ্য থেকে একজন এবং এজিএস পদে ১৩ জন থেকে একজনকে প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেবেন শিক্ষার্থীরা।

এর বাইরে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ৯, কমনরুম ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ৯, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১, সাহিত্য সম্পাদক পদে ৮, সংস্কৃতি সম্পাদক পদে ১২, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১১, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১০, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৪ জন থেকে একজন করে এবং সদস্য পদে ৮৬ জন থেকে ১৩ জনকে বেছে নেবেন ভোটাররা।

১৮টি হল সংসদে ১৩টি করে ২৩৪টি পদ রয়েছে। আর এই পদের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ৫০৯ জন। গড়ে প্রায় ২৯ প্রার্থী রয়েছেন একেকটি হলে। অর্থাৎ হল সংসদে প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য একজন শিক্ষার্থীকে ২৯ জনের মধ্য থেকে ১৩ জনকে বেছে নিতে হবে।