ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ চাচা সোহেলই ধর্ষক

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

আপন ভাতিজিকে ধর্ষণের মামলায় বাদির ওপর চাপ সৃষ্টি করে জামিন পেয়ে ফুলের মালা পরে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করে রাজকীয় বেশে বাড়ি গিয়েছিল যে চাচা, অবশেষে ডিএনএ পরীক্ষায় প্রমাণ মিলল, সেই চাচাই প্রকৃত ধর্ষক। তার লালসার শিকার হয়ে কিশোরী ভাতিজির গর্ভে যে সন্তানের জন্ম হয়, সেই শিশুকন্যার ডিএনএর সঙ্গে ধর্ষক চাচা সোহেলের (৪৫) ডিএনএ মিলে গেছে। গতকাল শনিবার ওই ধর্ষণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আখতার হোসেন এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, শিগগিরই মামলার চার্জশিট দেয়া হবে। ধর্ষক সোহেল কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের হেসিয়ারা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে।

জানা যায়, হেসিয়ারা পূর্বপাড়ার এই সোহেল তার কিশোরী ভাতিজিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিক দিন ধর্ষণ করে। পরে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উদ্যোগে গত ১৩ জুন কিশোরীর বাবা তার আপন ভাই সোহেলকে (৪৫) আসামি করে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরদিন পুলিশ সোহেলকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। পরে ওই কিশোরী তার চাচা সোহেলকে দায়ী করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এরপর কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

গত জুন মাসের শেষ দিকে সিজারের মাধ্যমে ওই কিশোরীর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। পরে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর মধ্যস্থতায় কিশোরীর কন্যা সন্তানটিকে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে এক নিঃসন্তান দম্পত্তির কছে দত্তক দেয়া হয়। দত্তক দেওয়ার শর্ত ছিল, ডিএনএ পরীক্ষাসহ মামলার তদন্তের স্বার্থে যেকোনো সময় সন্তানটিকে হাজির করতে হবে।

এদিকে সোহেলের বাবা আবদুল মান্নান তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা তুলে না নিলে বড় ছেলে অর্থাৎ ধর্ষিতার বাবাকে সম্পত্তির ভাগ থেকে বঞ্চিত করাসহ ভিটেছাড়া করার হুমকি দিচ্ছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটির কথা না ভেবে প্রতিবেশীরাও ওই বৃদ্ধের পক্ষ নিয়ে কিশোরীর বাবাকে আপোসের জন্য চাপ দিতে থাকে। কিশোরীর বাবা ভিটেমাটিসহ অন্য সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার ভয়ে তার পিতা আবদুল মান্নান, বোন রেখা আক্তার, মামা ইমাম হোসেনসহ আত্মীয়স্বজনের চাপের মুখে ধর্ষক ভাই সোহেলের জামিনের জন্য কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে ধর্ষকর সোহেল কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার পর তার বাবা, মামা, বোনসহ অতিউৎসাহী আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় গত ১৭ জুলাই ধর্ষক সোহলেকে ফুলের মালা পরিয়ে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহকারে রাজসিকভাবে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ধর্ষক সোহেল গ্রামের বাড়িতে পৌঁছার পর ওই আত্মীয়স্বজনের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন করে।

এদিকে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় আসামী সোহেলকে ওভাবে ধুমধাম কওে বাড়ি নেওয়ার ছবি ও ভিডিও গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি আদালতের নজর এলে জামিনের ১৫ দিন পর বিচারক আসামী সোহেলকে আদালতে হাজির হতে বলেন। সোহেল আদালতে হাজির হলে বিচারক তার জামিন বাতিল করে আবার জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।

এদিকে এই ধর্ষণ ঘটনায় উভয় পক্ষের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আখতার হোসেনের হাতে এসে পৌঁছলে কিশোরীর ভাইকে ঢেকে নিয়ে তার বোনের সন্তানের ডিএনএ তার চাচার সাথে মিলে যাওয়ার বিষয়টি জানান।

এসআই আখতার হোসেন বলেন, ধর্ষক চাচা সোহেলকে অভিযুক্ত করে দ্রুতই মামলার চার্জশিট আদালতে জমা  দেয়া হবে।