ঢাকা থেকে ট্রেনে এক ঘণ্টায় চট্টগ্রাম
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২১
দেশের প্রধান দুই শহরের দূরত্ব কমিয়ে আনতে চাইছে সরকার। বর্তমানে রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে যেতে রেল বা সড়কে প্রায় ৫ ঘণ্টা সময় লাগে। দ্রুতগতির বুলেট ট্রেনের মাধ্যমে এ পথ এক ঘণ্টায় পার হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষাও শেষ হয়েছে। এখন অর্থায়নের অপেক্ষা। এটি হতে যাচ্ছে যোগাযোগ খাতের দেশের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প, যাতে খরচ পড়বে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্পের পরিচালক ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. কামরুল আহসান নিউজবাংলাকে বলেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের পথে দ্রুতগতির রেলের জন্য এরই মধ্যে সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এতে ব্যয়সহ বিস্তারিত ডিজাইনও করা হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ১১ বিলিয়ন ডলার বা ৯৭ হাজার কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে। এখন সরকার অর্থায়নের উৎস খুঁজছে। এ নিয়ে সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) কাজ করছে। অর্থায়নের নিশ্চয়তা পেলে দ্রুতই কাজ হাতে নেয়া হবে। কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে অর্থায়নে আগ্রহও দেখিয়েছে। তবে এখনও অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি।
রেলওয়ে বলছে, এই ট্রেন বিরতি দিয়ে এক ঘণ্টা থেকে সোয়া ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে। বিরতিহীন চলাচল করলে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে সময় লাগবে এক ঘণ্টারও কম, ৫৫ থেকে ৫৭ মিনিট।
শুরুতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বুলেট ট্রেনটি চালানোর প্রকল্প নেয়া হয়েছিল। পরে নারায়ণগঞ্জ থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজার পর্যন্ত তা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সমীক্ষা অনুযায়ী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২২৭ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। থাকবে ছয়টি অত্যাধুনিক রেলস্টেশন। পথের পুরোটাই হবে স্বয়ংক্রিয় সিগনাল ব্যবস্থাসম্পন্ন। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার।
হাইস্পিড রেলপথ নির্মাণ করা হবে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা-ফেনী-চট্টগ্রাম রুটে। স্ট্যান্ডার্ড গেজের দুটি লাইন নির্মাণ করা হবে, যেগুলোর অ্যাক্সেল লোড হবে ১৭ টন ধারণক্ষমতার। বিদ্যুৎচালিত উড়াল রেলপথটি হবে পাথরবিহীন।
প্রতিদিন এ পথে ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত এ রেলপথ বর্ধিত করা হবে।
রেল কর্তৃপক্ষ বলছে, বর্তমানে রাজধানী ঢাকা থেকে সড়কপথে চট্টগ্রামের দূরত্ব ২৬৫ কিলোমিটার। তবে বেশ কয়েকটি জেলায় ঘুরপথের কারণে রেলপথে দূরত্ব ৩২৫ কিলোমিটার। এ পথ পাড়ি দিতে সাধারণ ট্রেনের সময় লাগে প্রায় ৬ ঘণ্টা। কিন্তু সমীক্ষা অনুযায়ী, নতুন রেলপথে এ দূরত্ব কমবে প্রায় ১০০ কিলোমিটার, কেননা ঢাকা থেকে কুমিল্লা হয়ে ট্রেন যাবে চট্টগ্রাম।
বুলেট ট্রেন রেল খাতে মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এ ট্রেন জ্বালানি সাশ্রয়ী, পাশাপাশি উচ্চ গতির। এতে ভ্রমণ সময়ই শুধু কমবে না, যাত্রীদের সুযোগ-সুবিধাও বৃদ্ধি পাবে।
অর্থায়নে আগ্রহী চীন
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সমীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই এ প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিআরসিসি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) যৌথভাবে কোম্পানি গঠন করে রেলপথটি নির্মাণ করতে চায়। ঋণের সংস্থান ও রেলপথটি নির্মাণের দায়িত্ব নেবে প্রস্তাবিত কোম্পানি। ঋণ শোধ করার জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে সময় পাবে ২০ বছর। পাঁচ বছর রেলপথটি পরিচালনার পর তা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।
রেলপথ থেকে যে আয় হবে, তা জমা হবে রেলওয়ের কোষাগারে। দুটি সংস্থারই (সিআরসিসি ও সিসিইসিসি) চীন ও চীনের বাইরে বিভিন্ন দেশে হাইস্পিড রেলপথের উন্নয়ন ও নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। শুরুতে প্রস্তাবটি বিবেচনায় নিলেও তা আর এগোয়নি।
এর আগে কোরিয়ান দুই কোম্পানি হাইস্পিড রেল নির্মাণের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু সে প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি রেলওয়ে।
গত বছর রেলওয়ের জন্য ১০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) কেনা হয় দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে। তবে ইঞ্জিনগুলোয় দরপত্রের শর্ত অনুযায়ী বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সংযোজন করা হয়নি। নিম্নমানের যন্ত্রাংশ দিয়ে তৈরি করা এসব ইঞ্জিন।
এখন নতুন করে অর্থায়নের অপেক্ষায় রয়েছে সরকার। ইআরডির মাধ্যমে চীন ও কোরিয়ার বাইরেও অন্য উৎস থেকে অর্থায়ন খোঁজা হচ্ছে।
- ব্রাহ্মণপাড়ায় সম্পত্তির রক্ষায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সংবাদ
- বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন?
- কুমিল্লা পুলিশ লাইনে সামনে রাস্তা কেটে ড্রেন নির্মাণ, জনদুর্ভোগ
- নবীনগরে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই বোনের
- গরগর শব্দে মুখরিত দর্জিপাড়া
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দুপুরে ব্যবসায়ীর সাড়ে ৩৫ লাখ টাকা ছিনতাই
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ চিহ্নিত ছিনতাইকারী গ্রেফতার
- জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়ে পুলিশ পরিচয়ে টাকা দাবি
- চাঁদপুর লঞ্চঘাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
- চাঁদপুরে ২২ জেলে আটক, ১৩ জনের কারাদণ্ড
- মেঘনায় বাল্কহেডে অভিযান, আটক ৯
- চাঁদপুরে পিকআপ-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- কুমিল্লায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ড
- অর্ধেক দামেও বিক্রি হচ্ছে না তরমুজ!
- ভারতের কাছে পাঁচটি খাদ্যপণ্যের নিশ্চিত সরবরাহ চায় বাংলাদেশ
- নিউইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- গাজায় নিহত বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার ছুঁই ছুঁই
- ঈদযাত্রা: পঞ্চম দিনের ট্রেন টিকিট বিক্রি শুরু
- চাহিদার চেয়েও ‘উদ্বৃত্ত’চাল, তবু দাম বাড়ছেই
- শাহজালাল বিমানবন্দরে ডলার কারসাজি ও পাচারের শক্তিশালী চক্র সক্রিয়
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- লঞ্চযাত্রীদের ব্যাগ ধরে টানাটানি, আটক ৬
- কুমিল্লায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল যুবকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ
- তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল বড় ভাইয়ের
- এবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে নজর কাড়ল সেই পুতুল নাচের দল
- ট্রেনে কাটায় দুই পা হারালেন বৃদ্ধা
- অপরাধের আখড়া আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন
- আখাউড়া স্থলবন্দরে আমদানি-রফতানি শুরু
- ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছেন মুশতাক
- গার্ডেন থিয়েটার কুমিল্লার একক নাট্য প্রদর্শনী
- রমজানে যে সূচিতে চলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিকআপ-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
- ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
- দুই শিশুকন্যাসহ বিষপান, প্রাণ গেল মায়ের
- বাজার স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের ভোগ্যপণ্য বিক্রি
- কুমিল্লায় মহাসড়কের পাশে জামালপুরের পৌর কাউন্সিলরের লাশ
- অসামাজিক কাজে লিপ্ত, ৫ নারী-পুরুষ আটক
- ‘আমার মেয়ে ফোন দিয়ে কেঁদে কেঁদে বলছিল, বাবা আমাকে বাঁচাও’
- জাহাজসহ জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের সবশেষ অবস্থা জানা গেছে
- বিশেষ ‘মার্কায়’ মেলে পাসপোর্ট, চুক্তিতে আবেদন জমা নেন আনসার সদস্য
- পাশাপাশি কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বাবা-মা ও ছেলে-মেয়ে
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- শিক্ষার্থীদের সামনেই শিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা
- কুমিল্লা সিটি উপ-নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে ছাত্রলীগের গোলাগুলি
- রমজান উপলক্ষে গাজায় ত্রাণ পাঠাল বাংলাদেশসহ ৯ দেশ
- গাজায় ‘জঘন্য অপরাধ’ বন্ধের আহ্বান সৌদি বাদশাহর
- আজ সারাদেশে ব্যাহত হবে ইন্টারনেট সেবা
- স্পর্শকাতর মামলার সাজা নিশ্চিত করতে হবে: আইজিপি