ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

তারুণ্যদীপ্ত ইউএনও কে.এম. ইয়াসির আরাফাত

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

তারুণ্যদীপ্ত  ইউএনও কে.এম. ইয়াসির আরাফাত সফলভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কুমিল্লার নবগঠিত লালমাইয়ের মাঠ প্রশাসনে। সব সময় ছুটে চলছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে। ‘জনসেবার জন্য প্রশাসন’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ‘উন্নত বাংলাদেশ’ গড়তে অবিরাম গতিতে তার উদ্যম উৎসাহে এগিয়ে চলছে লালমাই উপজেলা প্রশাসন।

কে.এম ইয়াসির আরাফাত চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার ছনহরা গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে অনার্সসহ মাষ্টার্স সম্পন্ন করে ৩০তম বিসিএস (প্রশাসন) এর মাধ্যমে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ২০১২ সালে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি শরিয়তপুর জেলায় সহকারী কমিশনার, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) হিসেবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে শরিয়তপুরে স্বচ্ছভাবে পদ্মা সেতুর জমি অধিগ্রহন কার্যক্রম সম্পন্ন  এবং নোয়াখালীতে চৌমুহনী খাল দখলমুক্ত করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন।

২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারী তিনি নবগঠিত লালমাই উপজেলার প্রথম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। ভারতের দেরাদুন প্রদেশে অবস্থিত মৌসরিহতে লাল বাহাদুর শাস্ত্রি ন্যাশনাল একাডেমি থেকে প্রশাসন সংক্রান্ত উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ১৯ ফেব্রুয়ারী কুমিল্লা সদর দক্ষিণের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুপালী মন্ডল থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তিনি সরকারি সেবাগুলোকে সর্বাত্মক স্বচ্ছতার সাথে সাধারণ জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেন। শিক্ষাকে সর্বজনীন, গুণগত ও মানসম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর কাজ শুরু করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও ঝরেপড়া রোধকল্পে বিদ্যালয় পরিদর্শন, অভিভাবক সমাবেশ, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ, মিড ডে মিল উপকরণ (টিফিন বক্স) বিতরণ, শ্রেণিকক্ষ ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখাসহ বিদ্যালয়কে শিশুদের কাছে আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহন করেন। কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মোঃ আবুল ফজল মীরের নির্দেশনায় ও ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে উপজেলার ৬৭টি  প্রাথমিক বিদ্যালয় এ মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, বঙ্গবন্ধু কর্ণার, সততা স্টোর, মহানুভবতার  দেয়াল প্রতিষ্ঠিত হয়। শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তিনি উপজেলার সবকয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে ডিজিটাল হাজিরা চালু করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৪৮টি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় স্কাউট, সততা সংঘ, আইসিটি ক্লাব ও ডিবেটিং ক্লাব স্থাপন করেন এবং শিক্ষকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করেন।

বাল্য বিবাহ, নারী নির্যাতন, ইভটিজিং বন্ধসহ ভুমি খেকোদের কবল থেকে নদী-কৃষি জমির মাটি রক্ষায় নিয়মিত মোবাইল কোট পরিচালনা করেন। বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য উবর্ধগতি রোধ, খাদ্যের গুণগত মান উন্নয়নসহ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।

সরকারের মাদক বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতিকে সফল করার লক্ষ্যে মাদকসেবীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোট  পরিচালনাসহ মাদক প্রতিরোধে গণসচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

দু’বছরে উপজেলার ২শ ৮৪জন দরিদ্র গৃহহীনকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারমূলক আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় গৃহ নির্মাণ করে দেয়া হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ভিজিডি ও হত দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টার চাউল উপযুক্ত ব্যক্তির কাছে পৌছে দিতে তিনি তীক্ষè নজরদারি করেছেন।

সরকারিভাবে ধান ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তিনি প্রান্তিক কৃষকদের তালিকা তৈরি করে লটারির মাধ্যমে এ উপজেলা থেকে ৮শ মে.টন ধান ক্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এতে এলাকায় কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য পেয়েছে। কৃষি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে সার ও বীজ পৌছানোর ব্যবস্থা করেছেন কৃষিবান্ধব উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম ইয়াসির আরাফাত বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল এফসিএ লোটাস কামাল এমপি মহোদয়ের স্বপ্নের উপজেলা ‘লালমাই’। তাঁর দিক নির্দেশনায় নবগঠিত এ উপজেলাকে মডেল উপজেলায় রুপান্তর করতে দিন রাত কাজ যাচ্ছি। গত দু’বছরে লালমাই উপজেলা প্রশাসনকে সহযোগিতা করায় উপজেলার সকল বীরমুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।