তিন কারণে পুরুষেরও হতে পারে ব্রেস্ট ক্যান্সার

ব্রেস্ট ক্যান্সার সাধারণত নারীর মধ্যেই বেশি প্রচলিত। তবে পুরুষেরও কিন্তু এটি হওয়ার ঝুঁকি থাকে। নারীর ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতন থাকলেও কিন্তু পুরুষের ক্ষেত্রে তেমন সচেতন হতে দেখা যায় না। পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সার বিরল হলেও কিন্তু এমন নয় যে এটি হয়ই না। সম্ভাবনা কম থাকলেও এটি হতেই পারে।

ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বেড়েই চলেছে। বিশ্বে প্রতি ছয়টি মৃত্যুর মধ্যে অন্তত একটি মৃত্যুর কারণ হলো ক্যান্সার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে পুরো বিশ্বে শুধু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে ৯.৬ মিলিয়ন মানুষের। এর মধ্যে ২২ শতাংশ ক্যান্সারে মৃত্যুর জন্য দায়ী তামাক।

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) তথ্য মতে, বয়সের সঙ্গে সঙ্গেই পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। বেশিরভাগ ব্রেস্ট ক্যান্সারের রোগীই ৫০ বছর বয়সের পরে আক্রান্ত হন।

এ কারণে নিয়মিত স্তন বা ব্রেস্ট স্ক্রিনিং করা জরুরি। ফলে পুরুষদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় সনাক্ত করা সম্ভব। পুরুষদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা সংক্রামক টিস্যুগুলোকে অপারেশন করে বাদ দিয়ে দেন। এছাড়া কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার সারানো যায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, মধ্য ও পূর্ব আফ্রিকার পুরুষদের মধ্যে ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাই বেশি। যকৃতে সংক্রমণ থেকেই তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়। চিকিৎসকরা মূলত তিনটি কারণকেই এর জন্য দায়ী করেছেন।

>> জেনেটিকভাবে অনেক পুরুষের শরীরে এই রোগের জীবাণু থাকতে পারে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পুরুষ বংশানুক্রমিকভাবেই ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত হন।

যেসব পুরুষের শরীরে অস্বাভাবিক বিআরসিএ-১ বা বিআরসিএ-২ জিন আছে তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

>> শরীরে ইস্ট্রোজেন ও অ্যান্ড্রেজেনের অনুপাতের ভারসাম্যহীনতার কারণেও পুরুষদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হতে পারে। একই সঙ্গে গাজা সেবন, থাইরয়েড, ওবেসিটি, যকৃতের কর্মহীনতার কারণেই পুরুষদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ে।

>> অনেক সময় পুরুষের অণ্ডোকোষও তাদের শরীরে ব্রেস্ট ক্যান্সারের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

পুরুষের ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণ কী কী?

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির (এসিএস) তথ্য অনুসারে, পুরুষদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক চার লক্ষণ একবারেই অবহেলা করা যাবে না-

>> স্তনে ব্যথাহীন কোনো পিণ্ড দেখা দেওয়া

>> স্তনের নিপল দিয়ে তরল পদার্থ বের হওয়া

>> স্তনের আশেপাশে গর্তের মতো হওয়া

>> স্তন বা স্তনের ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া।

এছাড়া লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া, স্তনে ব্যথা ও হাড়ের ব্যথাও এই ব্রেস্ট ক্যান্সারের গুরুতর লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়।

সূত্র: জি নিউজ