ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

দূর্নীতির অভিযোগে উধাও মাদ্রাসার সুপার জামায়াত নেতা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর ২০১৯  

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল দক্ষিণ পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ও জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে নানান অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ করেছে ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ বিষয়ে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) করা হলেও তিনি কোন প্রকার কর্ণপাত না করে উল্টো প্রতিষ্ঠানের গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে ১৫দিন যাবত উধাও হওয়ায় সভাপতি থানায় জিডি করেছেন। ফলে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও পড়া-শোনার চরম ব্যাঘাত ঘটছে।

জানা যায়, উন্নয়ন তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত মাদরাসায় না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন স্থানীয় অভিভাবক। তার অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে শিক্ষক কর্মচারীগণ অভিযোগ করে ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট। তাদেরকে যখন সুপার পরোয়া করেনা তখন তারা নিরুপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করেন। ফলে গত ১৬ দিন ধরে বিনানুমতিতে সুপার মোস্তাফিজুর রহমান মাদরাসায় অনুপস্থিত রয়েছে। উধাও হওয়ার পরের দিনই এ বিষয়ে সুপারের বিরুদ্ধে মুরাদনগর থানার একটি জিডি করা হয়েছে (যার নং ৪৯৬, তাং ১৩/১০/১৯ইং)। গত ১৯ অক্টোবর শনিবার মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সুপার মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিষ্ঠানের গুরত্বপূর্ন কাগজপত্র, নগদ অর্থ নিয়ে পলাতক থাকাসহ, বিভিন্ন অনিয়ম ও অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি উঠে আসে। ওই সভায় মাদরাসার কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ওই সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে সাময়িক অপসারনসহ সহ-সুপার আবদুল হাফিজকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিভিন্ন দফতরে চষে বেড়ালেও দীর্ঘ ১৬দিন যাবত কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় অভিভাবক মহল ও স্থানীয় লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অভিযুক্ত মাদরাসা সুপার মোস্তাফিজুর রহমান উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন পূর্বধইর পশ্চিম ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের মৃত রউফ মিয়ার ছেলে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মাদরাসায় ড়াকালীন অবস্থায় সে ছাত্র শিবির করেন।

চাকরীতে প্রবেশের পর তিনি ওই ইউনিয়নের জামায়াত নেতা হিসেবে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে জামায়াতের সমর্থন নিয়ে টেলিফোন প্রতিক নিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত শরিফুল ইসলামের সাথে প্রতিদ্বন্দিতা করেন। মাদরাসা শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, সুপারের নানান অনিয়ম ও অসদাচরণে অতিষ্ঠ হয়ে আমরা ১২ জন শিক্ষক কর্মচারী সম্মিলিতভাবে অনাস্থা এনে ব্যবস্থাপনা কমিটির নিকট লিখিত অভিযোগ দেই। তিনি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখান। যার ফলে আমরা নিরুপায় হয়ে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দায়ের করি।

মাদরাসা ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শরিফুল আলম চৌধুরী বলেন, সে দীর্ঘদিন যাবত উন্নয়ন তহবিলের সঠিক হিসাব দিতে পারেনি। তাছাড়া তিনি সপ্তাহে দুইদিন মাদরাসায় এসে বাকী চার দিনের স্বাক্ষর করে থাকেন। শুধু তাই নয়, তার অধিনস্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ করেন। যা একজন শিক্ষকের নৈতিক আদর্শের পরিপন্থি। ব্যবস্থাপনা কমিটি একাধিক সভায় তাকে মৌখিক ভাবে নিজেকে শোধরানোর জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তিনি এটাকে পুঁজি করে অনিয়মের মাত্রা বাড়িয়ে দিলে তাকে একাধিকবার শোকজ করা হয়। শোকজের জবাব না দিয়ে উল্টো মাদরাসার গুরত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও টাকা নিয়ে গত ১৬ দিন যাবত উধাও। তার সেল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। নিরুপায় হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি মুরাদনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করি এবং মাদরাসার কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক সহ-সুপার আবদুল হাফিজকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দায়িত্ব দিয়েছি।কাজিয়াতল দক্ষিণ পাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার ও জামায়াত নেতা মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে লাইন কেটে দেন। ফলে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।