ব্রেকিং:
ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

দেবিদ্বারে দু’ভাই মিলে চাচী ও ৪র্থ শ্রেণীর চাচাত বোনকে ধর্ষন

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২০ জুলাই ২০১৯  

কুমিল্লায় ১১ বছরের এক চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে, সোহেল (২৪) নামে এক ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে দেবিদ্বার থানা পুলিশ। ওই শিশুর মাকেও ধর্ষকের প্রবাসী বড়ভাই ধর্ষণ করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল দুপুরে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) নাফিজ আহমেদ, একদল পুলিশ নিয়ে উপজেলার এলাহাবাদ ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রাম থেকে তাকে প্রেফতারপূর্বক থানায় নিয়ে আসে।  ধর্ষক সোহেল মোহাম্মদপুর (ডাবপার) গ্রামের সাফিকুল ইসলামের পুত্র, পেশায় সে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর (ডাবপার) গ্রামের সাফিকুল ইসলামের পুত্র সোহেল, ভিক্টিম শিশুটিকে হত্যার হুমকি ও নানাভাবে ভীতিপ্রদর্শনে প্রায় দেড় বছর ধরে নিয়মিত ধর্ষণ করে আসছে।

ধর্ষকের সাথে ভিক্টিমের সম্পর্ক আপন চাচাতো ভাই-বোন। ভিক্টিমের পরিবারে মা ও ছোট এক ভাই রয়েছে। প্রায় ৭ বছর পূর্বে তার মানসিক প্রতিবন্ধী পিতা নিখোঁজ হন। পিতার অবর্তমানে মা ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালিয়ে আসছেন। ধর্ষিতা শিশুটি মোহাম্মদপুর ইসলামিয়া মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়েন। তার ভাই (৭) ও একই মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়েন। 

স্থানীয়রা আরও জানান, ধর্ষক সোহেল পরকিয়া প্রেমের টানে পাশ্ববর্তী মুরাদনগর উপজেলার লক্ষিপুর (দারোরা) গ্রামের, ৬ সন্তানের জননী নূরজাহান (৫০) কে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের পর তার স্ত্রী সৌদি আরবে চলে যায়। প্রায় দেড় বছর কর্মজীবন শেষ করে গত ৭ মাস পূর্বে দেশে আসে। আসার পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলতে থাকে। এবং তার স্ত্রীর সাথে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত হয়।

গত বৃহস্পতিবারেও ধর্ষণের শিকার হলে ভিক্টিম, ধর্ষকের স্ত্রী নূরজাহানকে বিষয়টি অবগত করেন। এ নিয়ে নূরজাহান বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ সমাজপতিদের অবগত করে। সমাজের একটি অংশ ভিক্টিমের ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মিমাংসার প্রস্তাবে কিছু শর্ত জুড়ে দেন। ধর্ষক সোহেল ওই শর্ত মানতে রাজি না হওয়ায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ দিয়ে আটক করে পুলিশে সোপার্দ করেন।

ভিক্টিমের মা জানান, প্রায় দেড় বছর পূর্বে আমার মেয়ের কান্নাকাটির শব্দে সোহেলের ঘরে গিয়ে দেখি মেয়েকে নির্যাতন করেছে। তার আর্তচিৎকারে বাড়ির লোকজনও জড়ো হয়ে যায়। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য মেয়েকে বলি কেউ জিজ্ঞেস করলে বলবি তোর ভাই মেরেছে, তাই কান্না করেছি। কারণ আমার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্বামীর অনুপস্থিতিতে, আমার ভাসুরের ছেলে মানে ধর্ষক সোহেলের বড় ভাই, বর্তমানে সৌদী প্রবাসী সামসুদ্দিন কর্তৃক আমিও ধর্ষণের শিকার হই।

আমার ভাসুর সফিকুল ইসলাম ও জা’ রাবেয়া বেগমের নিকট বিচার চাওয়ায়, আমাকে অমানবিকভাবে শারীরিক নির্যাতন এবং বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে, বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়েছিল। সে কারণে মাথা গোঁজার ঠাইটি হারানোর ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখি। আজ তার স্ত্রীই প্রকাশ করেছে। 

ভিক্টিম শিশুটি জানায়, আমার মা’ প্রায়ই ভিক্ষাবৃত্তি ও অন্যবাড়িতে কাজ করার কারণে ঘর খালি থাকত। সোহেল ভাই আমাকে ও আমার মা’ ভাইকে হত্যার হুমকি এবং বাড়ি ছাড়ার ভয় দেখিয়ে গত দেড় বছর ধরে, মাঝে মাঝে নির্যাতন করত। তখন আমার ভাবী সৌদী আরব ছিল।

গত রোজার ঈদের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই নির্যাতন করত। প্রতিবারই আমাকে ২০ টাকা করে দিত। আমি নির্যাতন সইতে না পেরে ভাবীকে বিষয়টি জানাই।  ধর্ষক সোহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং ঘটনাটি প্রকাশে তার স্ত্রীকে দায়ী করে। 

এলাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম সরকার, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল হাসেম সরকার ও ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মজিবুর রহমান ভিক্টিম ও তার পরিবার সহ ধর্ষককে জ্ঞিাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন বলে দাবি করে বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষায় আসল সত্য বেরিয়ে আসবে। তারা ধর্ষকের উপযুক্ত বিচারও দাবি করেন।

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এস,আই) নাফিজ আহমেদ জানান, ধর্ষক এবং ভিক্টিমকে থানায় নিয়ে এসেছি। সাথে ভিক্টিমের মা ও নানী রয়েছে। ভিক্টিমের মা বাদী হয়ে সোহেলকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত সোহেল ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। 

সকালে আসামি সোহেলকে কোর্ট হাজতে চালান করা হবে এবং ভিক্টিমকে ডাক্তারী পরীক্ষা ও ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে বলেও তিনি জানান।