দেবীদ্বারে স্কুলছাত্রী ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার, আটক ২

কুমিল্লার দেবীদ্বারে পৃথক ঘটনায় এক স্কুল শিক্ষার্থীসহ দুইজন ধর্ষণের ঘটনায় দেবীদ্বার থানায় দুইটি মামলা হয়েছে। ধর্ষণে শিকার নির্যাতিত স্কুলছাত্রী ও এক কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে দেবীদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ ধর ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, দুই ধর্ষককেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেবীদ্বার পৌর এলাকার বড় আলমপুর এলাকার বাসিন্দা ও বড় আলমপুর মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে গত রোববার রাতে দেবীদ্বার পৌরসভার বড় আলমপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের বাড়িতে নিয়ে আটকে রেখে। পরে ওই শিক্ষার্থীকে গত দুইদিন ধরে ধর্ষণ করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে মেয়েটির পরিবারে খবর পেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়ে মেয়েটিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ জুয়েল নামে একজনকে আটক করেছে। আটক জুয়েল উপজেলার বড় আলমপুর গ্রামের সোলেমান মিয়ার ছেলে।

এদিকে ঝালকাটি জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামের এক কিশোরীকেও বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার সংচাইল গ্রামে। রোবার সকালে সংচাইল আজাদ মেম্বারের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় ওই কিশোরীকে।

পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় জরুরী সেবা ৯৯৯ কল করলে পুলিশ ধর্ষিতা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে দেবীদ্বার থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পরিবারের লোকজন দেবীদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত উপজেলার বড় শালঘর গ্রামের হালিম ডিলারের বাড়ির আওলাদ হোসেনের ছেলে শাহরিয়ার আফজাল অপূর্বকে গ্রেপ্তার করে। এ মেয়েটিও বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক শামিমা খাতুন পলি জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় ঝালকাটির মেয়েটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে, দেবীদ্বারের ঘটনায় স্কুল ছাত্রীটিকে নির্যাতনের আলামত পাওয়া গেছে।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ঘটনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেবীদ্বারের দুই ধর্ষণের ঘটনায় তৎপর রয়েছে।