দেশে চালু হচ্ছে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসায় বিপ্লব
কুমিল্লার ধ্বনি
প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২২
বিশ্বের অনেক দেশে এটি জনপ্রিয় হলেও বাংলাদেশে বিষয়টি যেন এখনো একটা ‘ট্যাবু’। ব্রেন ডেথ বা শুধুমাত্র হার্টবিট ছাড়া শরীরের অন্য কোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করছে না এমন একজন রোগীর শরীর থেকে অন্তত ১০ রকমের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রতিস্থাপন করে অন্য একজন মানুষ সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে পারেন। আর এই প্রক্রিয়াকেই বলে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট।
চিকিৎসকরা বলছেন, একজন ব্রেন ডেথ রোগীর দুটি কিডনি দুইজনকে, একটি লিভার একজনকে, দুটি ফুসফুস দুইজনকে, হৃদযন্ত্র একজনকে, অন্ত্র একজনকে, অগ্ন্যাশয় একজনকে দান করা খুবই সহজ একটি প্রক্রিয়া। বরং ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টটি অন্যান্য ট্রান্সপ্লান্ট থেকে সহজ। তাই জনস্বার্থে এ বছরের মধ্যেই দেশে চালু হতে যাচ্ছে এই চিকিৎসা কার্যক্রম। যার মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে চালু করলেই হবে না অঙ্গ প্রতিস্থাপন বিষয়ে দেশে বিদ্যমান আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি এটির বিষয়ে সামাজিক আন্দোলন তৈরি করতে না পারলে তা অকার্যকরই থেকে যাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
জানা যায়, ১৯৫৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম জীবিত ব্যক্তির কিডনি বিকল কিডনি রোগীর উরুর ওপরে প্রতিস্থাপন করা হয়। ’৬০-এর দশক থেকে জীবিত ব্যক্তির কিডনি সরাসরি বিকল রোগীর পেটের নি¤œাংশে চামড়ার নিচে (উরুর ওপরে) প্রতিস্থাপন করে মূত্রনালীকে প্রস্রাব থলিতে এবং রেনাল শিরা ও ধমনি ইলিয়াক শিরা ও ধমনিতে যুক্ত করে দেয়া হয়।
কয়েক মিনিটের মধ্যে প্রতিস্থাপিত কিডনি কার্যকর হয় এবং রোগী প্রস্রাব করা শুরু করে। পুরো অপারেশনে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে। যে কোনো সুস্থ ব্যক্তি কিডনি দান করে সুস্থ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। এরপর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুরু হয় নানা ধরনের অঙ্গ প্রতিস্থাপন। এর মধ্যে লিভার, ফুসফুস, লাংস ট্রান্সপ্লান্ট বিশ্বের অন্যান্য দেশে অহরহই হচ্ছে।
কিন্তু বাংলাদেশে কিছুটা সামাজিক ট্যাবু এবং কিছুটা আইনের জটিলতার কারণে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের বিষয়টা এতটা প্রচলিত হতে পারেনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন জনপ্রিয় হলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বল্প পরিসরে শুরু হয়েছিল লিভার প্রতিস্থাপনও। কিন্তু সম্প্রতি এটিও বন্ধ রয়েছে। তবে শুধু লিভার নয় ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট অর্থাৎ অন্তত ৮টি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিস্থাপন কার্যক্রম চলতি বছরই শুরুর কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাতীয় ক্যাডাভেরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, ব্রেন ডেথ একজন রোগী থেকে আট জনের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব। ক্যাডাভেরিক একটি মহৎ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। এ কার্যক্রম সফল করতে রোগীর পরিবারের সদস্যেদের যেমন সহায়তা প্রয়োজন তেমনি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দানের উৎসাহ প্রদানের ক্ষেত্রে ধর্মীয় নেতাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বিএসএমএমইউতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে লিভার ট্রান্সপ্লান্ট পুনরায় শুরু হবে। আমরা এ বছরের মধ্যেই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট বাস্তবায়ন করতে চাই।
লিভার ও ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের কাজে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ শুরু করতে আপনাদের প্রস্তুতি কতটুকু রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, একজন ব্রেন ডেথ রোগী ২টি কিডনি ২ জনকে, ১টি লিভার ১ জনকে, ২টি লাং ২জনকে, হৃদযন্ত্র ১জনকে, অন্ত্র ১জনকে, অগ্ন্যাশয় ১জনকে দান করে জীবন বাঁচাতে পারেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আমরা প্রতি মাসে পৃথক ইনস্টিটিউটে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট নিয়ে আলোচনা সভার আহ্বান করছি। এর ফলে আমরা কেন ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট করব, কাদের কাছে করব, ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্টের গুরুত্ব সবাইকে বুঝাতে পারব।
এক্ষেত্রে আইনের কোনো জটিলতা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের যেটুকু সীমাবদ্ধতা ছিল তা ২০১৮ সালে সংশোধন করা হয়েছে। এখন আইনের কোনো জটিলতা নেই। তবে এটির উপকারিতা সম্পর্কে সামাজিক আন্দোলন প্রয়োজন। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতারা যদি মসজিদ-মন্দিরে বা বিভিন্ন ধর্মীয় সভায় এই বিষয়ে আলোচনা করেন এবং একজন মানুষের শরীরের অঙ্গ দিয়ে আটজন মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপকারিতা বোঝাতে সক্ষম হন তাহলে এই কার্যক্রম আরও ত্বরান্বিত হবে বলে আমরা আশা করছি।
জানা যায়, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১০ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন। কিন্তু প্রতি বছর মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ জন বিকল কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়। শ্যামলীর সেকেডি সেন্টারে অধ্যাপক কামরুল বছরে একাই ১৫০ জনের বিকল কিডনি রোগীর সফলতার সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন করেন। এর বাইরে প্রতি বছর প্রায় এক হাজার ৫০০ বিকল কিডনি রোগী ভারত ও শ্রীলঙ্কায় গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করাচ্ছেন, এতে প্রতি রোগীর ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়।
বিত্তশালীরা সিঙ্গাপুর ও আমেরিকায় গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপন করান। সেখানে ব্যয় হয় এক থেকে তিন কোটি টাকা। অর্থাৎ বাংলাদেশী রোগীরা কেবল কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য আনুমানিক ৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করেন। ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট চালু হলে যা অনেক কমে আসবে বলে দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ২০১৮ সালের সংশোধিত মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন ১৯৯৯-এর পরিধি অত্যন্ত সীমিত। এই আইন মৌলিক অধিকারের বড় খেলাপ। জীবিত অনাত্মীয় থেকে অঙ্গদানের ব্যবস্থা আইনে নেই। দেশে মানুষের জীবনকাল বেড়েছে, অথচ দাতা ও গ্রহীতার বয়স ৬৫ থেকে ৭০ বছরে সীমিত করা হয়েছে। তারা বলছেন, অনুন্নত দেশে মৃত ব্যক্তি থেকে অঙ্গ সংগ্রহ ও সংরক্ষণ সহজ নয়।
তাই ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট খুব সহজেই জনপ্রিয়তা লাভ করার সুযোগ কম বলে মনে করেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, কয়েক যুগ ধরে পুরো পৃথিবীতেই অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। অসংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম কিডনি বিকল হওয়া, লিভার সিরোসিস, হার্ট ফেইলিওর অন্যতম। বাংলাদেশে প্রতি বছর ৪০-৪৫ হাজার নতুন রোগী বিকল কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
কিন্তু আমরা যেহেতু এখনো মরণোত্তর দেহ দান বা ব্রেইন ডেথ রোগীর স্বজনদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে সক্ষমতা তৈরি করতে পারি নি সেহেতু এই কার্যক্রম এতটা সহজ হবে না বলে আমার মনে হয়। তবে যদি এটি চালু করা যায় বা কোনোভাবে কার্যক্রমটিকে জনপ্রিয় করা যায় তাহলে যে মানুষটি বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ক্লিনিক্যালি ডেথ ডিক্লেয়ার হয়েই থাকে তার শরীর থেকে বিভিন্ন অর্গান অন্য আরেকজন রোগীকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকার সুযোগ করে দিতে পারবে।
তবে কার্যক্রম চালুর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মাঝে এটি নিয়ে তৈরি করতে হবে ব্যাপক সচেতনতা। অন্যথায় অন্য পদক্ষেপগুলোর মতোই এটিও নামকাওয়াস্তেই রয়ে যাবে। আইন যেটি সংশোধন করা হয়েছে এটিকে প্রয়োগ উপযোগী করতে হবে। বাংলাদেশে যদি এটি শুরু করতে পারি তাহলে একটি পর্যায়ে এটি জনপ্রিয় করা সম্ভব। যেমন চোখের কর্নিয়া দান শুরুর সময়েও এটি অনেকে চায়নি। কিন্তু বর্তমানে এটি অহরহই হচ্ছে। তাই প্রয়াসটা বা প্রচেষ্টাটা আমাদের এখনি শুরু করতে হবে।
বিভিন্ন দেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন ॥ যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত ১৮ থেকে ৭০ বছর বয়স্ক যেকোনো সুস্থ ব্যক্তি তিনভাবে কিডনি দান করে থাকেন- ১. পছন্দমতো রোগীর জন্য সরাসরি দানের মাধ্যমে ২. হাসপাতালের প্রয়োজনমাফিক অনাত্মীয় বিকল কিডনিতে প্রতিস্থাপনের জন্য ৩. রক্তের গ্রুপ না মিললে দুজন দাতার কিডনি প্রয়োজন অনুযায়ী দুজন বিকল কিডনি রোগীর মধ্যে প্রতিস্থাপন।
কানাডায় যেকোনো সুস্থ সুহৃদ ব্যক্তি অপরিচিত রোগীর জন্য কিডনি দান করতে পারেন। তিনি ইচ্ছা করলে একটি কিডনি, যকৃতের অংশবিশেষ এবং ফুসফুসের একটি অংশ দান করতে পারেন। জীবিত ও মৃত দাতার শরীরের অংশ দিয়ে আটজনের জীবন রক্ষা করা যায় এবং ৭৫ জন অসুস্থ রোগীর জীবনের উন্নয়ন সম্ভব।
ভারতে জীবিত আত্মীয়স্বজন সরাসরি হাসপাতলে গিয়ে অঙ্গ দান করতে পারেন। অনাত্মীয় ব্যক্তি অঙ্গ দান করতে চাইলে রাজ্যের অনুমোদন কমিটিকে জানাতে হয়। কর্তৃপক্ষ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অনুমোদন কমিটির কাছে আপিল করা যায়। শ্রীলঙ্কায় অনাত্মীয় সুস্থ ব্যক্তি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নৈতিক সততা কমিটি অনুমতিক্রমে অঙ্গ দান করতে পারেন।
বাংলাদেশে অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন পাকিস্তানের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুকরণে সৃষ্ট। পাকিস্তানে অনাত্মীয়কে অঙ্গ দান আইনসিদ্ধ নয়। তবে নিকটাত্মীয় থেকে অঙ্গ পাওয়া না গেলে মানব অঙ্গদান কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জীবিত ব্যক্তি ও মৃত ব্যক্তির অঙ্গ পাওয়ার ব্যবস্থা আছে। মৃত ব্যক্তির অঙ্গ নিতে হলে গোত্রের প্রধানের অনুমতির প্রয়োজন। সব প্রতিস্থাপন জাতীয় মনিটরিং কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হয়।
নিয়ম ভঙ্গ করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ রুপি অর্থদণ্ডের বিধান আছে। তবে সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, নেপাল ও মিয়ানমারে অনাত্মীয় থেকে অঙ্গদান আইনে স্বীকৃত নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের আইনের অনুসরণে নেপালে অঙ্গদান আইন পরিবর্তিত করার প্রক্রিয়া চলমান। অন্য দেশের রোগীরা নিজ দেশের স্বরাষ্ট্র বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আত্মীয়তা সম্পর্কিত প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়ে সিঙ্গাপুরে অঙ্গ প্রতিস্থাপন সুবিধা নিতে পারেন। মিসর একমাত্র মুসলিম রাষ্ট্র যেখানে অঙ্গ সংযোজন কোনো আইন প্রণীত হয়নি।
আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উলামাদের মতে, ক্ষতি না হলে জীবিত অঙ্গদানে শরিয়াহতে বাধা নেই। মৃত ব্যক্তির অঙ্গদানে আপত্তি নেই। কিডনি বেচাকেনা অনৈতিক এবং দরিদ্রদের প্রতারণা থেকে বাঁচানোর লক্ষ্যে আইন তৈরি হয়নি। সৌদি আরবে ১৯৮৩ সাল থেকে মৃত ব্যক্তির অঙ্গ নিয়ে জীবিত বিকল কিডনি রোগীতে প্রতিস্থাপন শুরু হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে জীবিত ব্যক্তির কিডনি, ফুসফুস, যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের ভালো প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে ২৬৭ জন বিকল কিডনি রোগীতে সফলতার সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে আদর্শ অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন কার্যকর আছে ইরানে। সে দেশে ১৯৬৭ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত কেবল জীবিত আত্মীয়রা অঙ্গদান করতে পারতেন।
১৯৮৮ সাল থেকে জীবিত অনাত্মীয়দের অঙ্গদান আইনে স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০০ সাল থেকে মৃত ব্যক্তির অঙ্গদান চালু হয়। ইরানে বিকল কিডনি রোগীদের বেশির ভাগ জীবিত ব্যক্তির কিডনি ধারণ করে স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন ১৫ বছর ধরে। অন্যরা পেরিটোনিয়াল বা হেমোডায়ালাইসিস নিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করছেন।
বাংলাদেশে বর্তমান আইনটি অত্যন্ত সীমিত পরিধির সংকীর্ণ আইন। ইচ্ছায় আত্মীয় বা অনাত্মীয়কে অঙ্গদান করা সুস্থ নাগরিকের মৌলিক অধিকার- এই মর্মে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম প্রতিকার চেয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের কোর্টে রিট আবেদন করলে আদালত সাতজন কিডনি বিশেষজ্ঞের মতামত নেন।
তারা অঙ্গদানের বিষয় সবার জন্য উন্মুক্ত না করার পক্ষে অভিমত দিয়েছেন। তাদের মতে, সমাজের নিম্ন শ্রেণির মানুষ অভাবের তাড়নায় অঙ্গ বেচাকেনায় মেতে উঠবে। অবশ্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ভিন্নমত পোষণ করে আদালতকে জ্ঞাত করেন, টাকা বা সম্পত্তি দান করার মতোই অঙ্গদান মৌলিক অধিকার। তাই কেবল নিকটাত্মীয়ের মধ্যে দানের প্রক্রিয়াটি সীমাবদ্ধ না রেখে যে কোনো সুস্থ অনাত্মীয় নাগরিকের জন্য অঙ্গদান উন্মুক্ত রাখতে হবে। তবে দরিদ্র মানুষ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য আইনে বিশেষ বিধান রাখতে হবে।
- জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের মৃত্যু
- একক প্রার্থী দিতে সমঝোতা বৈঠক, আলোচনায় ৩ কোটি টাকা
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- ভাসানচরে বাগানে পড়েছিল রোহিঙ্গার রক্তাক্ত লাশ
- সরাইলে মাটিকাটা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে আহত ৫০, আটক ২০
- এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ধান শুকানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৫০
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ভাসছিল শিশুর মরদেহ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় রিকশার যাত্রী নিহত
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৯ উপজেলায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে
- হাজীগঞ্জে প্রতিবন্ধীর বাগানের বিভিন্ন ফল ফলাদি গাছ কর্তনের অভিযোগ
- রেমিট্যান্স উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
- চাঁদপুরে পূবালী ব্যাংকের ৮ কর্মকর্তা বদলি
- সমাজ-সংসার, ব্যক্তিজীবনেও সংস্কৃতির পূর্নজাগরত প্রয়োজন ডা.দীপুমনি
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলব উত্তরে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী ও পুরস্কার বিতরণ
- কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী
- মুরাদনগরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন
- দাউদকান্দিতে নির্দেশনা অমান্য করে ওষুধের দোকান খোলা
- সিএনজি ভাড়া তিন গুণ ভোগান্তিতে যাত্রীরা
- মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়দের নির্বাচন করতে মানা-প্রধানমন্ত্রী
- বরুড়ায় পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
- অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানে সেবা দিতে পারবেন না নিবন্ধিত চিকিৎসকরা
- লালমাইয়ে যুবকের আত্মহত্যা
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- গণমানুষের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
- ফেসবুকে লাইভ করায় চাকরি হারালেন এসপি
- মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না
- ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির
- ফলের আড়তের লকার ভেঙে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা লুট
- ফেনীতে ১৭ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ২২ বছর পর গ্রেপ্তার
- কালোবাজারে ট্রেনের ৮৫ টাকার টিকিট ৫০০ টাকা
- লক্ষ্মীপুরে হামলায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
- ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আয়োজিত হল কিচ্ছার আসর
- দাউদকান্দিতে বিধিবহির্ভূতভাবে চালানো ওষুধের দোকান ১১ বছর পর বন্ধ
- ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামের সংঘর্ষে আহত ২০
- ইরানে পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল
- মতলবে সালিশ বৈঠকে সাবেক মেম্বারকে ঘুষি দিয়ে হত্যা
- ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
- মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ
- মতলবে দম্পতির মনোনয়নপত্র দাখিল, স্বামীর বিরুদ্ধে যা বললেন স্ত্রী
- কুমিল্লায় অস্ত্র-কার্তুজসহ যুবক গ্রেফতার
- ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচনে ১২ জনের মনোনয়নপত্র জমা
- ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা, প্রধান আসামিসহ গ্রেফতার ৭
- চাঁদপুরে ব্যাভিচারের মামলায় শিক্ষকের কারাদণ্ড
- তিতাসে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি
- চান্দিনা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ছাই