দেড় মাসে ১১৫ মামলা, জরিমানা ৬ লক্ষাধিক টাকা

চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ দেড় মাস বন্ধের মধ্যে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, সামাজিক দূরত্ব অমান্য করা, জনসমাগম করা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অপরাধে ১১৫টি মামলা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ৬ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কঠোর সতর্কতা গ্রহণ করেছে সরকার। দফায় দফায় সাধারণ ছুটি বৃদ্ধিসহ স্কুল-কলেজ, দোকান-পাট, মিল-ফ্যাক্টরি বন্ধ রাখার নির্দেশও দেয়া হয়। 

সেগুলো বাস্তবায়নে মাঠে রয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সরকারের নির্দেশ অমান্যকারীদের করা হচ্ছে বিভিন্ন আইনে জরিমানা। 

সারা দেশের মতো কুমিল্লার চান্দিনায়ও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মানুষকে ঘরে ফেরাতে দিন রাত অভিযান চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

তারপরও চান্দিনায় এ পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১ জনের মৃত্যু ঘটে। যাদের অধিকাংশই উপজেলা সদরের বাসিন্দা। গত ১৪ এপ্রিল চান্দিনা উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্তের মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ১১জন আক্রান্ত ও ১ জনের মৃত্যু ঘটনায় চান্দিনা উপজেলাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নেহাশীষ দাশ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন গত মার্চ মাসে দেশে প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর জনসমাগম রোধ ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে ডিসির নির্দেশনা মোতাবেক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। 

তিনি আরো জানান, বাজারে নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে করা হয়েছে। পাশের দেবিদ্বার উপজেলা থেকে চান্দিনাকে সুরক্ষিত রাখতে উপজেলার প্রধান বাজার ও আশপাশের এলাকাতে লকডাউনসহ প্রশাসনের অভিযান জোরদার করা হয়েছে।