ধর্ম ভীরু তরুণীদের টার্গেট করতো তারা

জঙ্গি সাকিব ও ফাহিম ধর্ম ভীরু সহজ সরল ও শান্তিপ্রিয় তরুণীদের টার্গেট করে উগ্রবাদী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতো। সেইসঙ্গে নাশকতা সৃষ্টিতে উদ্বুদ্ধ করে দেশের আইনশৃঙ্খলা বিনষ্ট, জনসংহতি, নিরাপত্তা ও জনমনে ত্রাস সৃষ্টির প্রয়াস চালিয়ে আসছিল বলে জানায় র‍্যাব।

পাবনা থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত সশস্ত্র ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে আটক করে র‌্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৪টি উগ্রবাদী বই, জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত ট্রেনিং ম্যানুয়েল, ৩টি মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরনের উস্কানিমূলক লিফলেট উদ্ধার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার গভীর রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে পাবনা সদর থানার চরঘোষপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে র‍্যাব-২। উদ্ধার হওয়া মোবাইলসহ অন্যান্য ডিভাইস থেকে জঙ্গিবাদের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে তারা জঙ্গিবাদের বিস্তার ঘটাচ্ছিল।

শনিবার র‍্যাব-২ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন ফারুকী ডেইলি বাংলাদেশকে তথ্য নিশ্চিত করেন। তারা হলো, সাকিব আল ইমতিহান (২১) ও নাজমুস সাদাত ফাহিম (২০)। তিনি বলেন, মুন্সিগঞ্জ ও সিলেট থেকে গ্রেফতার ৪ জঙ্গির কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাকিব আল ইমতিহান ও নাজমুস সাদাত ফাহিমকে নজরদারিতে রেখেছিল র‌্যাব।   

ফারুকী বলেন, অনুসন্ধানের পর গতকাল দিনভর অভিযান চালিয়ে পাবনা সদর থানার চরঘোষপুর থেকে সাকিব আল ইমতিহান ও নাজমুস সাদাত ফাহিমকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় গ্রেফতার সাকিব আল ইমতিহান ও নাজমুস সাদাত ফাহিম নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল ইসলামের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত বলে জানান। সেই সঙ্গে সাকিব আল ইমতিহান ও নাজমুস সাদাত ফাহিম বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো।

তিনি আরো বলেন, এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত জঙ্গি সংগঠনের পলাতক সদস্যদের গ্রেফতারে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।