ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

‘ধর্ষণ’ নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভিন্ন বক্তব্য দুঃখজনক: হাইকোর্ট

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ জানুয়ারি ২০২২  

কক্সবাজারে ‘স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে এক নারীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের’ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতকে জানান, ঘটনাটির তদন্ত চলমান রয়েছে। পরে এই ঘটনায় করা রিটের শুনানি (স্ট্যান্ডওভার) মূলতবি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল।

এর আগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) কক্সবাজারের ওই ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত চেয়ে রিট আবেদন করা হয়।

জেলা ও দায়রা জজ অথবা মুখ্য বিচারিক হাকিমের নেতৃত্বে এ ধর্ষণকাণ্ডের বিচারিক অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে। এছাড়া ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল চাওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল এই রিট আবেদন করেন।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, র‌্যাবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটকারী আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল হারুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে এ ঘটনার বিচারিক অনুসন্ধানের জন্য আবেদন করেছিলাম। কিন্তু স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছ থেকে এ বিষয়ে সাড়া না পাওয়ায় রিট আবেদনটি করা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশ ও র‌্যাব কর্মকর্তার ভিন্ন বক্তব্য আসছে। সেটিও খুঁজে বের করা দরকার।

রিটের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া বলেছিলেন, ঘটনাটি পুলিশ তদন্ত করছে। তবে বিভিন্ন সংস্থা ঘটনা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে, তাতে গরমিল আছে। তাই প্রকৃত কারণ উদঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিটটি করা হয়। চলতি সপ্তাহে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

রিট আবেদনে দেখা যায়, ওই ঘটনা কক্সবাজারের দায়রা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে বিচারিক অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে।

রিটে স্বরাষ্ট্রসচিব বরাবর গত ২৭ ডিসেম্বর রিট আবেদনকারীর করা আবেদন যুক্ত করা হয়েছে। আবেদনে ২২ ডিসেম্বর কক্সবাজারে সংঘটিত দলবদ্ধ ওই ধর্ষণের ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ঐ আবেদনের (২৭ ডিসেম্বর) ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিতে ও প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটের বিষয়ে তিনি বলেন, আজ রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু কোনো দিন-ক্ষণ ঠিক করা হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহে শুনানির জন্য আবেদনটি কার্যতালিকায় উঠতে পারে।

ভুক্তভোগী ঐ নারীর অভিযোগ, গত ২২ ডিসেম্বর রাতে প্রধান আসামি আশিকের নেতৃত্বে স্বামী-সন্তানকে জিম্মি করে তাকে তুলে নিয়ে তিনজন প্রথমে ঝুপড়ি চায়ের দোকানে ধর্ষণ করেন। এরপর তার স্বামী ও আট মাসের সন্তানকে হত্যার ভয় দেখিয়ে কলাতলীর জিয়া গেস্ট ইনে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় ধর্ষণ করা হয়। চায়ের দোকান থেকে তাকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে হোটেলে নিয়ে যান আশিক।

এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী গত ২৩ ডিসেম্বর কক্সবাজার সদর মডেল থানায় স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় আশিকসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। তাতে চারজনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয় আরো তিনজনকে।

মামলার প্রধান আসামি আশিকুল ইসলাম আশিক, এজাহারভুক্ত অন্য দুই আসামি ও সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ২৮ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হন মামলার ২ নম্বর আসামি ইসরাফিল হুদা জয়কে। তিনি বাহারছড়া এলাকার মো. শফিউদ্দিন শফির ছেলে।