ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নজরদারিতে গুজব সৃষ্টিকারীরা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২০  

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‌‘গুজব’ ছড়ানোর বিরুদ্ধে সাইবার প্যাট্রলিং করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে এরইমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাসের গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে এমন তিন শতাধিক ফেসবুক আইডি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এরইমধ্যে কিছু মানুষ এমনকি কিছু নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে ‘আগামীকাল থেকে সবার মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড করা হবে, এমনকি হোয়াটস অ্যাপ, টুইটার এবং ফেসবুক একাউন্টও মনিটরিং করা হবে বলে গুজব ছড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এমন কোনো নির্দেশনা কোনো সংস্থাকেই সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, যারা ইচ্ছাকৃতভাবে গুজব ছড়াচ্ছে শুধু তাদেরকেই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ মানুষের ফোন কল রেকর্ড করার মতো কিছুই হয়নি। অযথা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেই একটি মহল বিশ্বব্যাপী করোনাভাইসারের মহামারীর সময় এসব গুজব ছড়াচ্ছে।

এরইমধ্যে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গুজব ও মিথ্যাচার বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে পুলিশ সদর দফতর থেকে। সোমবার রাতে পুলিশ সদর দফতর থেকে এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস নোটে এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে বলা হয়, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাওয়া পুলিশ সদস্যরা মানসিকভাবে অনুৎসাহিত হচ্ছেন। এ ধরনের গুজব ও মিথ্যা রটনাকারীদের খুঁজে বের করতে সাইবার টিমগুলো কাজ করছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

প্রেস নোটে বলা হয়েছে, করোনার বিস্তার রোধে এবং সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবলমাত্র দেশ ও জাতির কল্যাণ নিশ্চিত করতে শুরু থেকেই বাংলাদেশ পুলিশের দুই লক্ষাধিক সদস্য বিভিন্ন প্লাটফর্মে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। করোনার বিস্তাররোধে সারাদেশে লক্ষ-কোটি মানুষের সঙ্গে পুলিশের ইন্টারঅ্যাকশন বা সাক্ষাৎ হচ্ছে প্রতিদিন। এর মধ্যে গুটিকয় ঘটনা বা ইন্টারঅ্যাকশনের সময় পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে অনাকাঙ্খিত বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়গুলো নিউজ মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য যে কোনো উপায়ে পুলিশ সদর দফতরের দৃষ্টিতে আসামাত্রই মাঠ পর্যায়ে ইউনিট কমান্ডারদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গুজব ছড়ানো ও মিথ্যাচার বন্ধ করে পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায়, গুজব ছড়িয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছড়ালে উপযুক্ত আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মূলত সরকারবিরোধী একটি অংশ যেকোনো দুর্যোগের সময়ই এমন গুজব প্রচার করে আসছে গত কয়েক বছর ধরে। আগে যারা গুজব ছড়িয়েছিল, তাদেরকেই নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানা গেছে। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য যারা গুজব প্রচার করছে তাদের আইনের আওতায় আনারও সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস নিয়ে এমনিতেই মানুষের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে একটি চক্র। এরই অংশ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফরম ব্যবহার করে একটি পক্ষ করোনাভাইরাস নিয়ে অসত্য তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করারও অপচেষ্টা চালাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর নিজস্ব পরিসংখ্যান দেওয়াসহ নানাভাবে গুজব সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ সূত্র জানায়, মূলত দুভাবে করোনা নিয়ে গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করা হচ্ছে। একটি হচ্ছে সফট পুশ, যেখানে মানুষকে বলে বুঝিয়ে কনটেন্ট মুছে ফেলা হচ্ছে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম প্রচার করা হচ্ছে। ডিএমপি এবং পুলিশ সদর দফতরের পেজ থেকে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে হার্ড পুশ, যেখানে গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতে চায় তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। এরইমধ্যে গুজব ছড়ানো অন্তত ১৫টি কনটেন্ট ইন্টারনেট থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

র‌্যাব সূত্র জানায়, এক মাস ধরে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব সৃষ্টির বিরুদ্ধে সাইবার মাধ্যম মনিটরিং করছে র‌্যাবের সাইবার প্যাট্রলিং ইউনিট। এছাড়া গুজব সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানও পরিচালনা করছে। এরই অংশ হিসেবে সারাদেশে এখন পর্যন্ত অন্তত ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দেড় শতাধিক আইডি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ ও র‌্যাব ছাড়াও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগসহ (সিআইডি) বিভিন্ন ইউনিট ইন্টারনেটে করোনাভাইরাস নিয়ে গুজব ছাড়ানোর বিরুদ্ধে কাজ করছে।