ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নবীনগরে এবার হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২০  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর এককালীন ২৫০০ টাকা সহায়তার তালিকায় একাধিক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের পর এবার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া হতদরিদ্রদের মাটি কাটার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠেছে। ওই অভিযুক্ত চেয়ারম্যনের নাম মো. আবু মোছা। তিনি উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত আছেন। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসকের কাছে এর প্রতিকার চেয়ে হতদরিদ্রদের পক্ষ থেকে লিখিত আবেদন করেছেন পাঁচ ভুক্তভোগী। তবে এ অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলেছেন চেয়ারম্যান আবু মোছা।

প্রাপ্ত ওই অভিযোগ থেকে জানা যায়, ওই ইউনিয়নে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নে হতদরিদ্র তহবিল কর্মসূচির আওতায় সরকারের ৪০ দিনের কমর্সূচিতে মাটি কাটার কাজে অংশ নেওয়া ৯৪ জন শ্রমিক বছরে দুই বার (নভেম্বর ডিসেম্বর ও এপ্রিল মে)  অংশ নেয়। সপ্তাহে পাঁচ দিন অংশ নিয়ে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে ৪০ দিনে একজন শ্রমিক ৮ হাজার টাকা করে সরকারি ওই টাকা পায়। 

কিন্তু ওই ৯৪ জন শ্রমিকের অনেকেই ওই টাকা পাননি বলে দাবি করেন। জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগে তারা জানায়, চেয়ারম্যান আবু মোছা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে তার কয়েকজন নিকট আত্মীয়ের নাম অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের পুরো টাকা আত্মসাত করেন।

টাকা না পাওয়া তালিকায় নাম থাকা আবেদনকারী স্থানীয় মাটি কাটার শ্রমিক আলাউদ্দিন, আক্তার মিয়া, রেজাউল করিম, আবুল হোসেন, এরশাদ মিয়া জানান, চেয়ারম্যান মোছা পাশ্ববর্তী ভোলাচং জনতা ব্যাংক শাখা থেকে শ্রমিকদের একাউন্ট স্থানান্তর করে ইব্রাহিমপুর ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায়  প্রত্যেকের নামে নতুন করে ব্যাংক হিসাব খোলায়।

কিন্তু কাজ শেষে অনেক শ্রমিকই তাদের শ্রমের মজুরী এখনও পাননি। শ্রমিকদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ার লোকজনের যোগসাজশে তাদের সমুদয় টাকা আত্মসাত করেন। এ বিষয়ে ব্যাংক এশিয়া এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।

তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আবু মোছা অভিযোগটিকে হাস্যকর ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে বলেন,"এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ ব্যতীত একজনের টাকা অন্যজন কোনোভাবেই তুলতে পারে না। মূলত: সামনের নির্বাচনের আগে আমার ভাবমূর্তি এলাকায় ক্ষুন্ন করতেই একটি চিহ্নিত মহল কিছু শ্রমিক দিয়ে এমন জঘন্য মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করিয়েছে।"

এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার রাতে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাসুম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অভিযোগের অনুলিপি এখনও পাইনি। পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তবে তিনি জানান, 'বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ ছাড়া একজনের টাকা অন্যজন কিভাবে তুলে নিল, এটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।'

প্রসঙ্গত, গত ১৯ ও ২০ মে নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নে বিত্তশালীদের নাম অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কালের কণ্ঠে পরপর দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে তদন্ত শেষে এর সত্যতা পাওয়ার পর বীরগাঁওয়ের চেয়ারম্যান কবির আহমেদ ও মেম্বার তাহের মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এরপর গত ২ জুন উপজেলার লাউর ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও একাধিক মেম্বারের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ নিয়ে কালের কণ্ঠে অনুরূপ সংবাদ প্রকাশিত হয়।