ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

নবীনগরে এসএসসি পাস শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্রে নেয়া হচ্ছে হাজার টাকা!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজে চলতি বছর এসএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) প্রদানের সময় প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত ক্রমেই এ টাকা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্যামগ্রাম মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর ২২২ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। 

অভিযোগ উঠেছে, এসএসসিতে পাস করা ওই সব শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে ছাড়পত্র (প্রশংসাপত্র) আনতে গেলে কর্তৃপক্ষ প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রশিদের মাধ্যমে এক হাজার টাকা করে আদায় করছে। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় অভিভাবক বলেন, নবীনগরের অন্য কোনো স্কুলে ছাড়পত্র নেয়ার সময় এভাবে এক হাজার টাকা করে নেয়া হয় বলে আমাদের জানা নেই। টাকাটা মাত্রাতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মোহিনী কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তাক আহমেদ বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রত্যেকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এছাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ হওয়া সত্ত্বেও কেন শিক্ষার্থীরা এ কলেজে না থেকে অন্যত্র চলে যাচ্ছে, এ কারণে তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে নবীনগর সদরের ইচ্ছাময়ী পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাউছার বেগম বলেন, আমরা ছাড়পত্র দেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ (দুইশত) টাকা করে নিচ্ছি।

এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকারম হোসেন বলেন, ছাড়পত্র নেয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার কোনো সরকারি নির্দেশনা নেই। এটি স্কুলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। এর বাইরে আপাতত আমরা কিছু বলতে পারছি না। 

এদিকে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য ও নবীনগর ইউএনও মোহাম্মদ মাসুম বলেন, গতমাসে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ছাড়পত্র বাবদ এক হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। এর পরও যদি কোনো শিক্ষার্থী দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে মানবিক বিবেচনা করে ওই শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা কম রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত রয়েছে।