ব্রেকিং:
মোবাইল ব্যাংকিং: ২২ কোটি গ্রাহকের লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা ইসরায়েলে হামলার পর বাইডেনকে ফোন দিলেন নেতানিয়াহু ৩১ দিন পর বাংলাদেশি সেই ২৩ নাবিক মুক্ত তরুণ-তরুণীর ধস্তাধস্তির ভিডিও ভাইরাল, কারা তারা? তরমুজের গায়ে এবার ‘মৌসুম শেষের’ হাওয়া, বেড়েছে দাম চালক-সুপারভাইজারের মৃত্যু নিয়ে গল্প সাজিয়েছেন হেলপার: পুলিশ এবার কুকি-চিনের সহযোগী লাল বম গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ৫০ বস্তা চিনিসহ আ.লীগ নেতা আটক কেএনএফের ৩ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৪ ঢাকাসহ ৭ অঞ্চলে ৮০ কিলোমিটার বেগে ধেয়ে আসছে ঝড় সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার প্রকাশ, ধনীদের তালিকায় বাংলাদেশের আজিজ খান ইতালি থেকে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সম্মাননা পেলেন ৫ বাংলাদেশি বিএনপির ‘বয়কট ভারত’ আন্দোলনের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস ভাড়া কমিয়ে প্রজ্ঞাপন বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে জামায়াতের অনুসারী বেশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে কুমিল্লা উত্তর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড কয়েকটি গ্রাম মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক বুয়েটে ছাত্রলীগের প্রবেশ: অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সিট বাতিল
  • বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

নারীকে কুপ্রস্তাবের অভিযোগে পুলিশের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২  

কুমিল্লায় কুপ্রস্তাবের অভিযোগে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছমির উদ্দিন(৫০) ও উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মোশাররফ হোসেনের (৪০) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী। রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এ মামলাটি দায়ের করেন ওই নারী। পরে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন সহকারী পুলিশ সুপার পদ মর্যাদার একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মেঘনা থানার শিকিরগাও এলাকার এক প্রবাসী স্ত্রী তাদের পারিবারিক ও আত্মীয়-স্বজনের জায়গা জমির বিরোধের বিষয়ে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেশ কয়েকবার থানায় আসা যাওয়া করে। এতে ওসি ছমির ও এসআই মোশাররফ তাকে প্রায়ই ফোন করতো। এক পর্যায়ে ওসি ছমির তাকে মেঘনা রিসোর্টে সময় কাটাতে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। এসআই প্রায়ই ফোন করে তাকে অশোভন প্রস্তাব দিতো। তারা ওই নারীর ফোন নম্বরে এবং হোয়াটস্অ্যাপ নম্বরে ফোন দিত। তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দুজনেই রুমানার ওপর ক্ষুব্ধ ছিল।

 

২৬ আগস্ট এক ঘটনাক্রমে রুমানার বোনের জামাইকে গ্রেফতার করতে যায় ওসি ছমির ও এস আই মোশাররফ। সেদিন রুমানা মামলার ওয়ারেন্ট চাওয়াতে এসআই মোশাররফ রুমানাকে টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এস আই মোশাররফ পুলিশদের সহায়তায় টেনে হেঁচড়ে  রুমানাকে ওসির রুমে নিয়ে যায়। রুমের দরজা বন্ধ করে দেয়। 

এ সময় ওসি তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং রুমানা চিৎকার করলে তাকে মেরে ফেলার ও ধর্ষণ করার হুমকি দেন। এ সময় তিনি রুমানার মুখ চেপে ধরেন। তখন ওসিকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি তাকে চড়, থাপ্পড় এবং লাথি মারতে থাকে। সে চিৎকার শুরু করলে এস আই মোশাররফ এসে তার গলা চেপে ধরে যাতে সে চিৎকার করতে না পারে। এ সময় মোশাররফ তাকে যৌন নির্যাতন করার হুমকি দেয়। পরে ২৭ আগস্ট সকালে ওসি ও এসআই আবার তাকে প্রস্তাব দেয়, তাদের কথায় রাজি হলে তাকে ছেড়ে দেবে। এতেও ওই নারী রাজি হননি। পরে ওই নারীর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ তুলে একটি মামলা দায়ের করে কোর্টে চালান করে দেয়া হয়। পরে আট দিন জেলে থাকার পর ওই নারী জামিনে এসে মামলার প্রস্তুতি নেন এবং মামলাটি দায়ের করেন।

 

এ বিষয়ে ওই নারী সময় সংবাদকে বলেন, আমার মানসম্মান সব শেষ করেছে তারা। তারা ভেবেছিল আমি প্রবাসীর স্ত্রী আমি তাদের প্রস্তাবে রাজি হব, কিন্তু আমি রাজি হইনি। ওসি আমাকে রিসোর্টে যেতে বলেছিল। অথচ আমি সেদিনের আগে রিসোর্টই চিনতাম না। পরে আমি বললাম রেস্টুরেন্টে কেন যাব আপনি যা বলার আমাকে থানাতেই বলেন। এতে তিনি বলেন রিসোর্টে আমার সঙ্গে ব্যক্তিগত কথা বলবেন। তিনি আমাকে রাতের বেলায় ফোন দিতেন। অন্য একটি মামলার কারণে আগে থেকে পরিচিত থাকায় তিনি আমার বাড়িতেও আসতে বলতেন। কিন্তু আমি কোনদিনও রাজি হইনি। আমি এসবের বিচার চাই। তারা ভেবেছে আমি ভয়ে কথা বলব না। কিন্তু আমি চাই আমার মতো যাতে কোনো নারী এমন নির্যাতনের শিকার না হন।

এ বিষয়ে ওসি ছমির উদ্দিনের দাবি, এই মহিলা ভীষণ উগ্র। আমরা আসামি গ্রেফতার করতে গেলে সে ওয়ারেন্ট চায়। ওয়ারেন্ট দেখালেও তিনি আমাদের আসামিকে আনতে দেননি। পরে আমরা তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধায় দেয়ায় বাধ্য হয়ে মামলা দায়ের করি। এরপর তিনি জেল থেকে বের হয়ে এসব করছেন। মামলা করতেই পারেন। এটা বানোয়াট মামলা।

 

এছাড়া এসআই মোশাররফের দাবি, আমাদের কাছে ভিডিও রেকর্ড আছে তিনি কী করেছেন। আমরা তাকে নারী কনস্টেবল দিয়ে ধরিয়ে এনেছি। আমরা তাকে কুপ্রস্তাব দেইনি। সে খুবই উগ্র মহিলা। এগুলা তার বানানো।

 

এ বিষয়ে কুমিল্লার জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমি মাত্রই শুনলাম। এখনও কোর্ট থেকে কোনো কাগজপত্র পাইনি। কাগজপত্র পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।