ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নারীর গোপন ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি: ইসলাম যা বলে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০১৯  

নারীর ক্ষমতায়ন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্বব্যাপী আন্দোলন চলছে। এর জন্য আন্তর্জাতিক  ও স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠন গড়ে উঠছে। সরকার ও বিভিন্ন এনজিও নারীদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে নারীরা আজ সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সাম্প্রতিক কালে নারী কেলেঙ্ককারী নিয়ে প্রচারিত ভিডিওগুলোই এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ।

নারীর গোপন বিষয়ে ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে তাকে ব্লাকামেইল করা, পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয়া, অফিস বা কর্মস্থলে শীলতাহানি এখন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যানবাহনে ধর্ষণের পর হত্যার মতো বর্বর ঘটনাও দেখতে হচ্ছে আমাদের দেশে। মোটকথা নারীর সামাজিক নিরাপত্তা চরম হুমকির মুখে। এই পরিস্থিতিতে আপনাদের সামনে নারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো তুলে ধরছি। আশা করা যায়, আমাদের মা বোনেরা এগুলো মেনে চললে নিরাপত্তহীনতা অনেকটা কাটবে।

যে প্রেক্ষাপটে নারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিধানাবলী নাজিল হয়েছিল:
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ইসলামের ভূমিকা ও পদক্ষেপগুলো আলোচনার আগে, ইসলামে নারীর সামাজিক নিরাপত্তার আইন নাজিল হওয়ার প্রেক্ষাপট জেনে নেয়া দরকার। ইসলামে এ বিধান নাজিল হওয়ার দু’টি প্রেক্ষাপট আলোচনা করা হয়। এক. ‘ইফ্ক’ এর ঘটনা। দুই. মুসলিম মুহাজির নারীদের ওপর ব্যাভিচারের অপবাদ দেয়া।

‘ইফ্ক’ এর ঘটনা বা আয়শা (রা.) ওপর অপবাদ:
নারীর সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়গুলো ইসলামে প্রবর্তিত হয়েছে হজরত আয়শা (রা.) এর ওপর অপবাদের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। তাফসির ও হাদিসের গ্রন্থসমূহে ‘ইফ্ক’ এর ঘটনা হিসেবে যা খ্যাত। ‘ইফ্ক’ মানে মিথ্যা অপবাদ। ‘ইফ্ক’ এর ঘটনা দ্বারা প্রতিয়মাণ হয়, কোনো নারী যদি কোনো অসামাজিক কাজে না জড়ায়, তারপরও তাকে অপবাদ দেয়া হলে নারী জীবনে এটা কলঙ্ক নয়। রাসূল (সা.) সফরে গেলে কোনো একজন স্ত্রীকে সঙ্গে নিতেন। বনু মুসতালিকের যুদ্ধে হজরত আয়শা (রা.)-কে সঙ্গে নিয়ে যান। ফিরে আসার সময় রাস্তায় যাত্রা বিরতি দেন। হজরত আয়শা (রা.) প্রয়োজন সেরে আসার সময় তার গলার হারটি হারিয়ে যায়। তিনি তা খুঁজতে লাগলেন। অন্যদিকে রাসূল (সা.) রওয়ানা হওয়ার নির্দেশ দেন। তখন হজরত আয়শার (রা.) বাহনের পালকিটিও উঠিয়ে রওয়ানা দেয়া হয়। হজরত আয়শা (রা.) হালকা হওয়ার কারণে, ভেতরে তার থাকা, নাথাকার বিষয়টি বাহনকারী আন্দাজ করতে পারেনি। হজরত আয়শা (রা.) হার নিয়ে এসে দেখেন ওখানে কেউ নেই। রাসূল (সা.) এর নিয়ম ছিল কাফেলার পেছনে একজনকে রেখে আসা। যেন কোনো বস্তু পড়ে গেলে সে উঠিয়ে নিয়ে আসতে পারে। এই সফরে পেছনে ছিলেন সফওয়ান ইবনে মুআত্তাল (রা.)। তিনি আয়শা (রা.)-কে কাপড়মুড়ি অবস্থায় দেখেও চিনে ফেললেন। আম্মাজান আয়শাকে তিনি উটের ওপর বসিয়ে নিয়ে আসলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নামে এক কপট ব্যক্তি ছিলেন। সে মুসলমানের লেবাস ধরে ইসলামের ক্ষতি করতো। ওই লোক, হজরত আয়শার চরিত্রে কলঙ্কের দাগ লাগানোর অপচেষ্টা চালায়। অবস্থা এত অবনতি হয় যে, মুসলমানদের পরস্পর এনিয়ে যুদ্ধ বেঁধে যায় যায়।

মুহাজির নারীদের ওপর অপবাদ:
ইসলামের সূচনা হয়েছিল মক্কায়। কিন্তু মক্কাবাসীর অনাগ্রহ ও মুসলমানদের ওপর অকত্য নির্যাতনের কারণে বাধ্য হয়ে মুসলমানরা মদিনায় হিজরত করে। যে নারী হিজরত করতো, মক্কার মুশরিকরা তার চরিত্র নিয়ে বাজে মন্তব্য করতো। অপপ্রচার চালাতো যে, তারা নিজেদের কুকামনাকে পুরো করার জন্য মদিনায় চলে যাচ্ছে। এই দু’টি ঘটনাকে কেন্দ্র করে, নারীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য আল্লাহ তায়ালা বিধান নাজিল করেন।

নারীর গোপন বিষয় দেখা রোধ করার জন্য ইসলামের বিধান: 
বর্তমান সময় নারীর নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে, তাদের গোপন কোনো বিষয়ের ভিডিও করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়া। ইসলাম নারীদের গোপন বিষয় তালাশ করাকে নিষেধ করেছে। আল কোরআনে বলা হয়েছে ‘হে ঈমানদারগণ তোমরা নিজেদের ঘর ছাড়া অন্যকোনো ঘরে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না অনুমতি গ্রহণ কর এবং তার বাসিন্দাদের সালাম কর।... আর যদি তোমরা তাতে কাউকে না পাও, তবে প্রবেশ করো না, যতক্ষণ না তোমাদের অনুমতি দেয়া হয়। আর যদি তোমাদের বলা হয় ‘ফিরে যাও’, তবে তোমরা ফিরে যেও-এই তোমাদের জন্য পরিচ্ছন্ন (পন্থা)। আর তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সম্যক অবগত।’ (সূরা নূর: ২৭-২৮)। এখানে স্পষ্ট বিষয় যে, অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ নিষেধের কারণ হচ্ছে, এতে নারীদের গোপন বিষয় দেখে ফেলার আশংকা। তাই অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা নিষেধ। আর যদি ঘর থেকে বলা হয় ‘ফিরে যাও’ তাহলে ফিরে যেতে হবে। উঁকি দিয়ে দেখা বা অন্যকোনো পন্থায় ভেতরের খোঁজখবর নেয়ার চেষ্টা করাও ইসলামের দৃষ্টিতে জঘন্যতম অন্যায়।

আল্লামা কুরতুবী বলেন, ‘এই আয়াত দ্বারা মানুষের ওপর আইন করা হয়েছে যে, বাহির থেকে ঘরের ভেতরের কোনো বিষয় দেখা বা অনুমতি ছাড়া ঘরে প্রবেশ করা নিষেধ।’ কুরতুবী (রাহ.) এর এই কথা দ্বারা প্রমাণ হয়, গোপন ভিডিও ধারণ, তা যেভাবেই হোক এই আয়াতের নিষিদ্ধের অন্তর্ভূক্ত। সহীহ মুসলিম শরিফে আবু হুরায়রা (রা.) এর সূত্রে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যে লোক অনুমতি ছাড়া কারো ঘরে উকি দেবে, ঘরবাসীদের জন্য বৈধ ওর চোখ অন্ধ করে দেয়া।’ অর্থাৎ কেউ কারো ঘরের ভেতরের গোপন কিছু দেখতে চাইলে তার চোখ অন্ধ করে দেয়া বৈধ এবং এর জন্য তাকে কোনো শাস্তিও ভোগ করতে হবে না; এমনটিই মনে করেছেন ইমাম কুরতুবী (রাহ.)। (তাফসীরে কুরতুবী, খন্ড-৬, পৃষ্ঠা-৫০৫)। তাহলে শুধু দেখা যদি এত মারাত্মক হতে পারে, এর জন্য চোখ অন্ধ করে দেয়াও বৈধ হয় তাহলে যে দেখার দ্বারা নারীর নিরাপত্তা আরো জটিলতার সম্মুক্ষীণ হয় তার শাস্তি কত কঠিন হতে পারে? 

নিরাপত্তার খাতিরে নারীর এককী ভ্রমণ নিষেধের আইন:
নারীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে একাকী ভ্রমণ করাকে নিষেধ করা হয়েছে। এমনকী হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিধান আদায়ের ক্ষেত্রেও নিজের মাহরাম আত্মীয় না থাকলে, যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সহীহ মুসলিমে হজরত ইবনে উমর (রা.) এর সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, রাসূল (সা.) বলেন, কোনো নারী যেন তিন দিনের দূরত্বে মাহরাম আত্মীয় ছাড়া ভ্রমণে না যায়। সফর না করে।’ (হাদিস নম্বর- ৪১৮)। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘যে নারী আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের ওপর ঈমান রাখে সে যেন তিন দিনের দূরত্বে মাহরাম ছাড়া না যায়।’ হজরত আবু সাইদ কুদরী (রা.) থেকেও এ রকম হাদিস বর্ণিত হয়েছে।

আমরা দেখেছি, বগুড়া থেকে এক মেয়ে একা একা সফর করার পর রাস্তায় বাসের ড্রাইভার ও অন্যদের দ্বারা নির্মম নির্যাতন ও হত্যার দৃশ্য। ইবনে সিনার নাস কিশোরগঞ্জ রওয়ানা দিয়ে পাশবিকতার শিকার হয়ে নির্মম মৃত্যুর কাহিনীও আমাদের পত্রিকায় পড়তে হয়েছে। এগুলো নিয়ে আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু যে নারীর জীবন কেড়ে নেয়া হয়েছে সে কি ফিরে এসেছে? তাই ইজ্জতের হেফাজত করতে হলে নিজেদের সতর্ক হতে হবে। ইসলামের অনুশাসন মেনে চলতে হবে।

নারী-পুরুষ দু’জনের একান্ত সাক্ষাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা:
একা একা কোনো নারী ভ্রমণে বের হওয়া যেমন হারাম বা নিষেধ তেমনি একজন পুরুষ ও নারী নির্জনে মিলিত হওয়াও হারাম বা নিষেধ। নারীদেরকে একা পেয়েই মূলত বিভিন্ন রকম হয়রানি করার সুযোগ পায়। সুনানে তিরমিজীতে ইবনে উমর (রা.) এর সূত্রে বর্ণীত হয়েছে, নবী করীম (সা.) বলেন, তোমাদের কেউ যেন, কোনো নারীর সঙ্গে একান্তে মিলিত না হয়। কারণ, একান্তে মিলিত হলে তৃতীয় জন হিসেবে শয়তান সেখানে উপস্থিত হয় (খারাপ কাজের প্ররোচনা দেয়ার জন্য)। নিশ্চয় শয়তান একজনের সঙ্গে থাকে আর দু‘জন হলে দূরে চলে যায়।’ (হাদিস নম্বর-২১৬৫) নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে একজন নারী ও পুরুষের একান্তে মিলিত হওয়ার পথ রোধ করতে হবে। আমাদের অফিসগুলোতে দূর্ঘটনা ঘটার এটাও একটা কারণ। তাই আইন করে কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীর একান্ত সাক্ষাত নিষিদ্ধ করতে হবে।

নারীর ইজ্জতের ওপর অপবাদ আরোপকারীর কঠিন শাস্তি:
আমাদের সমাজে অবস্থা হচ্ছে, কেউ কোনো নারীর ইজ্জতের ওপর অপবাদ দিলে তার কোনো বিচার হয় না বরং অবলা নারীই তা সইতে না পেরে নিজের জীবনটা দিয়ে দেয়। আল্লাহ তায়ালা যে চারটি অন্যায়ের শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছেন, এর একটি হচ্ছে নারীর ইজ্জতের ওপর অপবাদ। যদি পরপুরুষ এই অপবাদ দেয় তাহলে তাকে আশিটি বেত্রাঘাত করা হবে। এর মধ্যে কম করার অধিকার কোনো বিচারপতির নেই। আর স্বামী অপবাদ দিলে ‘লিআন’ এর মাধ্যমে স্ত্রী, স্বামী থেকে বিচ্ছেদ নিয়ে নেবে।

যৌন হয়রানির মোকাবেলায় কঠোর আইন প্রণয়ন: 
ইসলাম যৌন হয়রানি বন্ধের আইন করেছে, অবিবাহিত পুরুষ এ অপকর্ম করলে তার শাস্তি হবে একশ বেত্রাঘাত। আর বিবাহিত ব্যক্তি করলে এর শাস্তি পাথর মেরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা। অনেকে বলেন, ইসলামের আইন খুবই নিষ্ঠুর। আসলে তারা ইসলামের আইন ব্যবস্থার উদ্দেশ্য বুঝতে পারেননি। আল্লাহ তায়ালা এ সংক্রান্ত আইন জারি করার সময় বলে দিয়েছেন ‘মুসলমানদের একটি দল যেন ওদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’ প্রত্যক্ষ করার কারণ হচ্ছে, এই মর্মান্তিক ও লাঞ্চনাকর দৃশ্য দেখে নিজেরা ওই অন্যায়ের ব্যাপারে সতর্ক হবে। এর দ্বারা মূলত একজনের জীবন শেষ হলেও বেঁচে যায় হাজার হাজার নারীর ইজ্জত ও শাস্তির ভয়াবহতা দেখে হাজারো অন্যায়কারীর হুশ ফিরে আসে।

সর্বশেষ কথা হচ্ছে, হজরত উমর (রা.) নির্দেশ দিয়েছিলেন, নারীদেরকে সূরা নূর পড়াতে। কারণ, এখানে নারীর ইজ্জত রক্ষার বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই আমরাও আমাদের মা-বোনদেরকে সূরা নূর পড়াবো। এর থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের জীবন সে আলোকে পরিচালিত করবো।