নারীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের ধূম্রজাল

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় হত্যার অভিযোগে ওই নারীর পুত্রবধূকে মারধর করেছে তার স্বজনরা।

রোববার দুপুরে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। নিহতের নাম কুলছুম বেগম। তিনি উপজেলার দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের মৃত গোলাপ হোসেনর স্ত্রী।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই বিষ পান করে বমি করতে থাকে। ছেলে সৌদি প্রবাসী মহিন উদ্দিনের স্ত্রী শিল্পী আক্তারের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে ছুটে যায় ভাই সহ অন্য স্বজনরা। মূমূর্ষ অবস্থায় কুলছুম বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে। সেখান থেকে রাতেই মরদেহ বাড়ীতে আনা হয়।

এরপর কাউকে কিছু না জানিয়ে রোববার সকালে নিহতের সৎকারের চেষ্টা করা হলে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিষপানে ওই নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে এসে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।  

নিহতের স্বজনদের দাবী, ওই নারীকে তার ছেলের বউ শিল্পী আক্তার হত্যা করেছে। যেকারনে নিহতের মরদেহ পুলিশ বাড়ী থেকে বের করে নিয়ে আসার সাথে সাথে শিল্পীকে মারধর করে নিহত কুলছুমের স্বজনরা। এসময় নাঙ্গলকোট থানার এসআই শফিকুল ইসলাম তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠায়। বর্তমানে শিল্পী আক্তার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এদিকে ওই নারীর চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র দেখতে চাইলে সেগুলো ছিনতাই হয়ে গেছে বলে পুলিশকে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে নিহতের ভাই মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, আমার বোন কুলছুমকে ভাগিনা মহিনের স্ত্রী শিল্পী আক্তার মেরে পেলেছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই।

জানতে চাইলে নাঙ্গলকোট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শশফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা জাতীয় সেবা নাম্বার ৯৯৯ এর মাধ্যমে বিষপানে আত্মহত্যার কথা শুনে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। এর প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারন জানা যাবে। তবে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশকে সঠিকভাবে সহযোগীতা না করাটাকে রহস্যজনক মনে করছেন তিনি।