ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

পছন্দের শিক্ষকের পাঠদান এখন মোবাইলে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৪ জুন ২০২০  

করোনা দুর্যোগে পড়াশোনা নিয়ে বিপাকে পড়া প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য টেলিভিশন ও বেতারে পাঠদানের পর এবার চালু করা হচ্ছে বিশেষ হেল্প লাইন নম্বর-৩৩৩৬। যে কোনো মুঠোফোন অপারেটর থেকে এ নম্বরে ডায়াল করলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে তার নিজ শ্রেণির পাঠদান পরামর্শ পাবে। পাঁচ মিনিট পর্যন্ত কলটি হবে টোল ফ্রি। সারাদেশের প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এই হেল্প লাইন নম্বরে যুক্ত থাকবেন।

বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে এ ধরনের উদ্যোগ এবারই প্রথম। চলতি জুনেই এ কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে। উদ্যোগটি সফল হলে তা কোচিং সেন্টারের বিকল্প হবে বলে মনে করছেন প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্নিষ্টরা। সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের সম্মিলিত উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন এ প্রসঙ্গে বলেন, সংসদ টেলিভিশনের পর বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে প্রাথমিকের পাঠদান প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। টেলিভিশনে পাঠদান সম্প্রচারে দেশের ৫০ ভাগ শিক্ষার্থী উপকৃত হচ্ছে। বাকি ৫০ ভাগ এর বাইরে থাকছে। রেডিওর পাঠদানে আরও স্বল্প কিছু শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা যাচ্ছে। তবে মোবাইলের মাধ্যমে অন্তত ৯৮ ভাগ শিক্ষার্থী বা অভিভাবকের কাছে পাঠদান পৌঁছানো সম্ভব হবে। এ কারণেই সরকারের এই হেল্প লাইন চালুর উদ্যোগ।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ গতকাল মঙ্গলবার বলেন, এই হেল্প লাইন এ মাসেই পরীক্ষামূলক চালু করা হবে। এটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক- সবারই কমন প্ল্যাটফর্ম। সরকারের এ উদ্যোগ সফল হলে তা কোচিং সেন্টারের বিকল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।

মহাপরিচালক জানান, এর আগে স্বাস্থ্যসেবায় ১৬২৬৩ হেল্প লাইন চালু হয়েছে। একই রকমভাবে শিক্ষায় ৩৩৩৬ চালু হচ্ছে। দেশের প্রায় পৌনে চার লাখ শিক্ষক এতে নিবন্ধিত হয়ে যুক্ত থাকবেন। এক কোটি ৪০ লাখ প্রাথমিক শিক্ষার্থীও যুক্ত হবেন। হেল্প লাইন নম্বরে কল করে শিক্ষার্থীরা পছন্দের শিক্ষক বাছাই করতে পারবে। এর পর তাদের জিজ্ঞাসা ও প্রশ্নের জবাব তারা ওই শিক্ষকের কাছে থেকে পাবে। এটুআইয়ের শিক্ষক বাতায়নে থাকা শিক্ষকরা এতে সরাসরি যুক্ত হবেন। বাকি শিক্ষকদের ও শিক্ষার্থীদের ডাটাবেস আপডেট করে দেওয়া হচ্ছে। মোবাইলে পাঠদান ও পরামর্শ সেবার পদ্ধতি নিয়ে এরই মধ্যে একটি মডিউলও তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছে থাকা সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর ওই হেল্প লাইনে যুক্ত করা হচ্ছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পরিচিতিও সেখানে থাকছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, হেল্প লাইন ৩৩৩৬-এ কল করে শিক্ষার্থীরা প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির কোনো বিষয়ে সরাসরি পছন্দের শিক্ষকের পরামর্শ নিতে পারবে। এটি দিনরাত ২৪ ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। এখান থেকে প্রাথমিকের সিলেবাস, কারিকুলাম, পরীক্ষা-সংক্রান্ত তথ্য কিংবা প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক অন্যান্য যে কোনো আদেশ, নির্দেশ, তথ্য এবং ফোন নাম্বার পাওয়া যাবে। প্রাথমিক শিক্ষাবিষয়ক যে কোনো অভিযোগ কিংবা পরামর্শ থাকলেও এই নম্বরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানাতে পারবে। এ অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গৃহীত ব্যবস্থাও পরে অভিযোগকারীর মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ হেল্প লাইন কোনো বাণিজ্যিক উদ্যোগ নয়। সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট পর্যন্ত এটি হবে সম্পূর্ণ বিনা পয়সায় মোবাইল শিক্ষাসেবা। সচেতন অভিভাবকরাও সন্তানের পক্ষে ফোন করে শিক্ষা পরামর্শ নিতে পারবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, এ হেল্প লাইন শুধু করোনাকালীন নয়, এটি স্থায়ী একটি সেবা, যা বছরজুড়েই চালু থাকবে।