ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরীক্ষায় নকল সরবরাহের দায়ে হল সুপারকে অব্যাহতি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৯  

জিয়ারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পিইসি পরীক্ষায় নকল সরবরাহেরর সময় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নিকট হাতেনাতে ধরা পরেন কেন্দ্রের হল সুপার ও একলারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম।

বিষয়টি মোবাইল ফোনে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে জানালে তিনি কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে হল সুপার জহিরুল ইসলামকে আটক করে নিয়ে আসে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোসাম্মৎ রাশেদা আক্তার হল সুপারকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার ও বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার শরীফ রফিকুল ইসলামকে নির্দেশ দেন।

ঘটনাটি ঘটে গত ২০ নভেম্বর বিজ্ঞান পরীক্ষার সময়। অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলামকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেখুন বিষয়টি হলো কে বা কারা পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল ফেলে দেয়, পরীক্ষার্থীর পায়ের নিচে দেখে তারা আমাকে দেখায় এবং আমার হাতে তুলে দেয় বাইরে ফেলে দেবার জন্য। ঠিক সেই সময় দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক আমার হাতে নকল দেখে ফেলে। আমি এটা ফেলে দিতে উদ্যত হতেই ঘটনাটি ঘটে। আমি নকল সরবরাহ করিনি।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত গৌরীপুর থাকেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ান এবং পিইসি পরীক্ষায় মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে এ প্লাস কিংবা বৃত্তি পাইয়ে দেবার কথা বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এটা দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল। নকল সরবরাহে ধরা পড়ার পর বিষয়টি সামনে আসে এবং অনেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার দীঘদিনের কার্যাকলাপ তুলে ধরেন। তারা বলেন, এটা নতুন কিছু না, তিনি সব সময় এ রকম করে থাকেন।

শুধু জহিরুল ইসলাম নন। তিতাসের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে অবাধে নকল চলেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের খাতায় লিখে দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক। সচেতন মহলে প্রশ্ন উঠেছে কি হবে এই পরীক্ষা নিয়ে। কোমলমতি শিশুরা কি শিখছে? তারা ছোটবেলা থেকেই একটি খারাপ ধারণা নিয়ে বড় হবে। আমাদের জন্য বিষয়টি কি লজ্জাজনক নয়?

তবে বিষয়টি বিরাট আকার ধারণ করার আরেকটি কারণ হচ্ছে সৃজনশীল পদ্ধতি। বিষয়টি শিশুদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। তাই ভাবা উচিত সৃজনশীল রাখা হবে কিনা? আরেকটি কারণ হচ্ছে শিক্ষকদের অসুস্থ প্রতিযোগিতা। কারণ কোন স্কুল কত % পাশ করেছে, কে কতটা বৃত্তি পেল এবং কে কতটা জিপিএ ৫ পেল এই নিয়ে চলে প্রতিযোগিতা। কোন কোন শিক্ষক গ্যারান্টি দিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন, আমার কাছে পড়লে ছেলেটি বা মেয়েটি ভালো ফলাফল করবে নিশ্চিত। আর ওই শিক্ষক অভিভাবকদের কাছ থেকে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

স্বাভাবিকভাবেই ওই শিক্ষকের তাড়না থাকে কিভাবে তার কাছে প্রাইভেট পড়া ছাত্রটিকে সহযোগিতা করা যায়? এমনও শোনা যায় যাদের কোন দায়িত্ব নেই তারা হলে অযথা ঘুরাফেরা করেন। এমন কয়েকজন শোকজ নোটিশও খেয়েছেন। সাধারণ মনে ধারণা জাতিকে নষ্ট করে দিচ্ছেন তারা। এভাবে চললে পিইসি পরীক্ষা রাখার আদৌ কোন যুক্তি নাই বলে অভিমত ব্যক্ত করেন সাধারণ জনগণ।