ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পল্লী চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে ঝলসে গেছে শিশুর দেহ!

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২  

কুমিল্লার দাউদকান্দিতে এক পল্লী চিকিৎসকের দেয়া ওষুধ খেয়ে ঝলছে গেছে পাঁচ মাস বয়সী এক শিশুর শরীর।

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার দীপক চন্দ্র নন্দী বাবু নামের ওই পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শিশুর চাচা মো. ফিরোজ সিকদার। এ নিয়ে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। 

বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান।

জানা গেছে, উপজেলার বিটেশ্বর ইউপির বীরবাগগোয়ালী গ্রামের প্রবাসী মো. কামরুল হাসানের স্ত্রী সাহারা আক্তার তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু মো. আবরার হোসেন অসুস্থ হলে গত ১২ মার্চ স্থানীয় নৈইয়ার বাজারের নন্দী ফার্মেসিতে নিয়ে যান। 

ফার্মেসির মালিক পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দী বাবুর দেয়া ওষুধে অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় পরদিন ১৩ মার্চ আবারো সেখানে নিয়ে যান। তার দেয়া ওষুধ খাওয়ার পরদিন শিশুটির শরীরের অনেক অংশের চামড়া উঠে যায়। দেখতে ঝলসে যাওয়ার মতো অবস্থা শিশুটিকে ঢাকার মাতুয়াইল শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সে বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। 

শিশুর মা সাহারা আক্তার বলেন, আবরার হাসতো খেলতো। প্রবাসী বাবার সঙ্গে হাসি দিয়ে মন ভুলাতো।  কোনো মানুষ আগুনে পুড়লে যেমন হয়, দীপক চন্দ্র নন্দী ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে আমার বাচ্চার অবস্থা এখন তেমন হয়েছে। এখন আমার বাচ্চা সারাদিনে একবারও চোখ খোলে না। সেই ফুটফুটে শিশুটির দিকে এখন তাকানো যায় না!  ওই পল্লী চিকিৎসকের বিচার দাবি চাই। 

শিশুর চাচা মো. ফিরোজ সিকদার বলেন, নন্দী ডাক্তারের ওষুধ খাওয়ার পর আমার ভাতিজার শরীরের চামড়া ওঠে যায়। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করাই। তিন দিনেও ভাতিজার শরীর ঠিক হয়নি।

এ ঘটনার বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক দীপক চন্দ্র নন্দী বাবু বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে গরমে শিশুটির শরীরে ছোট ছোট গোটার মতো হয়েছে। প্রথম দিনের ওষুধে ভালো না হওয়ায় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়েছিলাম। আমার কাছে যখন এসেছিল তখন তার শরীরটা লাল ছিল। পরে তাকে ওষুধ দেই। এটা অপ্রত্যাশিতভাবে হয়ে গেছে।

দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান বলেন, আমরা তদন্ত কমিটিতে শিশু বিশেষজ্ঞ রেখেছি। তারা সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবেন। তারপর ওই পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।