ব্রেকিং:
৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত সিদ্দিকী নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি না থাকলে সেটা কলঙ্কজনক হবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ প্রস্তুত বিজিবি
  • মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

‘পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নথিতে বঙ্গবন্ধু’ পড়ার আহ্বান শেখ হাসিনার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপ ও অবদান জানতে ‘পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের নথিতে বঙ্গবন্ধু’ সংকলিত বইগুলো পড়তে দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা যে রিপোর্ট দিয়েছে, ৪৮ থেকে ৭১ সাল পর্যন্ত, এ রিপোর্ট নিয়ে আমরা সাত খণ্ডে বই আকারে প্রকাশ করেছি। এগুলো পড়লে আপনারা সব জানতে পারবেন; কবে কোন আন্দোলনের লিফলেট বিতরণ করেছেন বঙ্গবন্ধু, কোথায় কোন আন্দোলনে কি বক্তব্য দিয়েছেন, তার গতিবিধি নিয়ে তারা রিপোর্ট করেছে। আপনারা এগুলো পড়বেন। বইগুলোতে ৪৮ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু আন্দোলনের অংশটুকু সব আছে। এই রিপোর্টগুলো ছিল বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে। কিন্তু এর থেকেই আমরা ইতিহাসের মহামূল্যবান তথ্য জানতে পারি।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে আর কোনো দেশে আর কোনো নেতার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এভাবে প্রকাশ হয়েছে কিনা জানি না। আমাদের দেশেও অন্য কোনো নেতার বিরুদ্ধে এমন রিপোর্ট আছে কিনা জানি না, থাকলেও তা কয়েক পৃষ্ঠার হয়ত। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৪৬টি ফাইলে ৪৮ খণ্ডের রিপোর্ট ছিল, তার পৃষ্ঠা ছিল ৪৬ হাজার। বেবি মওদুদসহ আমি ২০ বছর এটার ওপর কাজ করেছি। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে আমি এসবির কিছু অফিসারদের সহায়তায় এই রিপোর্টগুলো সংগ্রহ করেছি। বিভিন্ন জেলা থেকেও তথ্য সংগ্রহ করেছি। ভাষা আন্দোলনসহ বঙ্গবন্ধুর সব আন্দোলন-সংগ্রাম জানতে এই বই পড়তে হবে। এই বইয়ে প্রতিটি খণ্ডে আমাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের কথা ব্যক্ত করা হয়েছে।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে স্বাধীনতা সংগ্রামের যাত্রা ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে হয়েছে, সেটি স্বাধীনতা সংগ্রামের বিজয়ের মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পেয়েছে। স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র গঠনে সব পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সবক্ষেত্রে অভাবনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রতিটি কাজই তিনি করে গেছেন খুব অল্প সময়ে। আমরা এগুলো দেখে খুব অবাক হই। ১৫ আগস্ট না ঘটলে অনেক আগেই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে উঠত। তবে আমরা তার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গঠনে কাজ করছি।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির পর ২১ বছর যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করেনি। নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নেই ব্যস্ত ছিল। ২১ বছর পর আমরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছি। উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদাও পাব, সেদিকে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছি। বাংলাদেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গঠন করতে পারব, ইনশাআল্লাহ।

বঙ্গবন্ধুর উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাত শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবল ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এ আন্দোলন সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।’ এই কথার মধ্যে এতটুকু শিক্ষা নিতে পারি, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতি হিসেবে আমাদের সার্বিক অর্জনের আন্দোলন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল- বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। আমরা এখন সেটি নিশ্চিত করছি। ৯৬ থেকে এ কাজ শুরু করেছি। প্রত্যেকটি মানুষকে একটা ঠিকানা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। সেটাতে সফলও হয়েছি। এ পর্যন্ত ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৩৪৩ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে ভূমি ও গৃহ দিয়েছি। ভূমি ও গৃহ প্রদানই শুধু নয়, প্রতিটি ঘর আলোয় আলোকিত হবে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও মৌলিক চাহিদা পূরণ করবো।

করোনা সংকটে স্বাস্থ্য সচেতনতার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, টিকা নিলেও মাস্ক পরা, হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে। অন্তত নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। কারণ দ্বিতীয় ডোজ রয়েছে। আবার করোনা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কতটুকু বা কেমন, এটিও গবেষণার পর্যায়ে আছে।

তিনি বলেন, করোনায় ভ্যাকসিন সবাই নেবেন। টিকা নিলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলবেন। আমরা আগাম টিকা সংগ্রহ করেছিলাম, অনেক দেশ করতে পারেনি। কিন্তু টিকা নিলেও সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে হবে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ধর্ম সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি প্রমুখ।