ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

পানি সংকটে বিপাকে জেলে ও মৎস্য চাষিরা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১  

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মৌসুমি বৃষ্টিপাতের অভাবে অধিকাংশ পুকুর, হাল বিল নদী নালা জলাশয়ে পানি নেই। পানি না থাকায় হাল বিল জলাশয় ও নদীতে পানি না থাকায় চারদিকে শুধু মরুভূমির মতো বালু আর বালু চোখে পড়ছে। ফলে স্থানীয় মৎস্য চাষী ও জেলেরা অনেকেটাই বিপাকে পড়েছেন।

জেলেদের ছোট বড় নৌকাগুলো শুকনো জায়গায় আটকে পড়ে আছে। সেই সঙ্গে মাছ ধরার জাল রাখা হয়েছে বাড়ির এক কোনায়। ওইসব স্থানে পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তারা মাছ ধরতে না পাড়ায় এক প্রকার মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অনেকে জেলে মাছ ধরা পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যোগ দিয়েছেন। 

উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদফতরের সূত্রানুসারে, এ উপজেলার ১০২.১১ বর্গ কিলোমিটার আয়তনে মোট গ্রাম রয়েছে ১৩০টি। এরমধ্যে ছোট বড় পুকুরসহ প্রজেক্ট রয়েছে ১ হাজার ৬৩২টি, বিল রয়েছে ১৩টি ও নদী রয়েছে ৩টি। তাছাড়া কমার্শিয়াল পুকুর রয়েছে ১টি। 

উপজেলার কাদমা বিল, বোয়াল্লা বিল, কুড়ি বাজার বিল,তিতাস অতি প্রচীন বিল হিসাবে পরিচিত। ওইসব বিলসহ পুকুর, হাল বিল নদী নালা ও জলাশয়ে বর্তমানে পানি তীব্র সংকট চলছে। পানির অভাবে মাছ চাষ যেমন ব্যাহত হচ্ছে সেইসঙ্গে জেলেরা ও মাছ ধরা থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে।

জেলেরা জানায়, বছরের চার মাসের বেশি সময় খাল-বিল জলাশয় পানিতে থৈ থৈ করতো। ওই সময় তারা মনের আনন্দে রাত-দিন মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করছে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুম শুরুর আগেই জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাওয়ায় শতাধিক জেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।

বনগজ গ্রামের নারায়ন বর্মণ বলেন,  স্ত্রী, ৪ ছেলে, ৩ মেয়ে নিয়ে তার ৭ জনের সংসার। দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে মাছ ধরে জীবিকা অর্জন করে আসছেন। কিন্তু জলাশয় ও নদীতে পানি না থাকায় এখন মাছ ধরতে না পারায় অর্ধাহারে-অনাহারে তার দিন কাটছে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে ইচ্ছে করলেই কোনো কাজ করতে পারছেন না। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে খুবই কষ্টে আছেন।

জীবন বর্মণ বলেন, ছোট বেলা থেকে বাপ দাদার সঙ্গে খাল-বিল ও নদীতে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে দিনানিপাত করছেন। বয়সের কারণে এখন অন্য কোনো কাজও করতে পারছেন না। যে টাকা জমানো ছিল বসে বসে খেয়ে শেষ হয়েছে। কাজ কর্ম না থাকায় খুবই কষ্টে সংসার চলছে।

মাছ চাষি মো. মিলন বলেন ২টি বড় প্রজেক্ট মাছ চাষের জন্য ইজারা নেয়া হয়। পানির অভাবে মাছ ছাড়তে পারিনি। তাই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে সেচের মাধ্যমে এখন পানি দেয়া হচ্ছে। 

মৎস্য চাষি মো. আজাদ বলেন, মাছ চাষ করতে এ মৌসুমে ৪টা পুকুর বাৎসরিক ইজারা নেয়া হয়। পুকুরে যে পানি রয়েছে তা মাছ চাষের জন্য যথেষ্ট নয়। মাছ রক্ষা করতে এরইমধ্যে শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি দিতে হচ্ছে। 

আখাউড়া মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো.রেজাউল করিম বলেন, জেলেদের সমস্যার বিষয়টি তিনি ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। সরকারি কোনো অনুদান ও সহায়তা বরাদ্দ আসলে অবশ্যই তাদেরকে দেয়া হবে।