ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নান্দনিকতা ছড়াচ্ছে ১৬টি হল

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২০  

দেশের একমাত্র পূর্ণাঙ্গ আবাসিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্পর্কে জানতে চাইলেই চলে আসবে জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা। আবাসিক হলের আসনসংখ্যার ভিত্তিতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি সেশনে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়। 

শিক্ষার্থীদের আবাসিক সুযোগ-সুবিধার নেপথ্যে রয়েছে নান্দনিক ১৬টি আবাসিক হল। আবাসনের চাহিদা মেটাচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই আটটি করে হল। তিনটি করে আরো ছয়টি হল নির্মাণ হচ্ছে। 

আল-বেরুনী হল: ১৯৭২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হলটি নির্মিত হয়। ১৯৭৯ সালে প্রখ্যাত মুসলিম বিজ্ঞানী আল বেরুনীর নামে হলটির নামকরণ করা হয়। চারতলাবিশিষ্ট এই হলটিতে পাঁচশতাধিক আসন রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পাশেই এই হলটির অবস্থান। প্রথমদিকে এটিই ছিল জাবির ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য একমাত্র হল। এজন্য পৃথক চারটি ব্লকে হলটি নির্মাণ করা হয়। তবে পরবর্তীতে ছাত্রী হল তৈরি হলে শুধু ছাত্ররাই থাকতে শুরু করে এই হলটিতে।

মীর মশাররফ হোসেন হল: ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ১৯৭৩ সালে নির্মিত এই ছাত্র হলটি স্থাপত্যশৈলীর এক অনন্য নিদর্শন। প্রজাপতির প্রতিকৃতিতে নকশাকৃত এই হলটির স্থপতি ছিলেন মাজহারুল ইসলাম। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম হল। হলটির আসন সংখ্যা নয় শতাধিক।

শহীদ সালাম-বরকত হল: ছাত্রদের জন্য তৃতীয় এই হলটি ১৯৮৪ সালে নির্মিত হয়। ১৯৮৫ সালে মহান ভাষা সৈনিক শহীদ সালাম ও বরকতের নামে হলটির নামকরণ করা হয়।

আ ফ ম কামালউদ্দিন হল: ১৯৮০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আ ফ ম কামালউদ্দিন এই হলটির ভিত্তিপ্রস্তর করেন। হলটির নির্মানকাজ শেষ হওয়ার আগেই মারা যান তিনি। পরে তার নামেই ছাত্রদের ৪র্থ এই হলটির নামকরণ করা হয়। হলটিতে প্রায় চারশ আসন রয়েছে।

মওলানা ভাসানী হল: ১৯৯২ সালে নির্মিত এই ছাত্র হলটিতে সাত শতাধিক আসন রয়েছে। হলটির সামনে রয়েছে একটি পুকুর; যা হলের সৌন্দর্যকে আরো বেশি ফুটিয়ে তুলেছে। হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র বটতলার সামনে অবস্থিত।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণ করা এই ছাত্র হলটিতে সাত শতাধিক আসন রয়েছে। ২০০০ সালের ২৮ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে ২০০৯ সালে হলটির সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিও নির্মিত হয়।

শহীদ রফিক-জব্বার হল: ২০০৯ সালের ২০ জুন এই হলটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০১০ সালে হলটির উদ্বোধন করা হয়। ছাত্রদের এই হলটিতে সাত শতাধিক আসন রয়েছে।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রণাথ ঠাকুর হল: ছাত্রদের সবচেয়ে নবীনতম হল এটি। ২০১৭ সালের ১৯ আগস্টে ছাত্রদের এ হলটি বসবাসের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। বর্তমানে প্রায় সাতশ ছাত্র এই হলে বসবাস করতে পারেন।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল: এই হলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্য প্রথম স্বতন্ত্র হল। দুই শতাধিক আসনবিশিষ্ট হলটি ১৯৭৮ সালে স্থাপিত হয়। হলটি ‘এক নম্বর’ হল নামেও পরিচিত।

ফজিলাতুন্নেসা হল: ছাত্রীদের ‘দুই নম্বর হল’ নামে পরিচিত ফজিলাতুন্নেসা হলটি ১৯৮৬ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৮৭ সালে হলটিতে ছাত্রীরা থাকতে শুরু করে। ১৯৯০ সালে সিন্ডিকেট সভায় প্রথম বাঙালি স্নাতকধারী নারী ফজিলাতুন্নেসার নামে হলটির নামকরণ করা হয়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট চত্বরের সামনে এবং মেডিকেলের পাশেই হলটির অবস্থান।

জাহানারা ইমাম হল: বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যাধুনিক প্রথম ছাত্রী হল এটি। এই হলের স্থাপত্য নকশা প্রজাপতির দুটি পাখার মতো। ১৯৯৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর এই হলের উদ্বোধন করা হয়। প্রীতিলতা হলের পাশে অবস্থিত এই ছাত্রী হলটিতে আসন রয়েছে চার শতাধিক।

প্রীতিলতা হল: নকশায় অনন্য এই হলটি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। স্থপতি ফয়সাল মাহবুবের নকশায় এই ছাত্রী হলটির দুদিকে রয়েছে লেক। হলটিতে আসন রয়েছে পাঁচ শতাধিক। ১৯৯৭ সালে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের নামে হলটির নামকরণ চূড়ান্ত হয়।

বেগম খালেদা জিয়া হল: ২০০৩ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নামে এই ছাত্রী হলটি নির্মাণ করা হয়। 

শেখ হাসিনা হল: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ২০১১ সালে হলটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ছাত্রীদের জন্য ৬ষ্ঠ এই হলটি ২০১৪ সালের ১২ জুন যাত্রা শুরু করে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। হলটিতে ৬৪৮টি আসন রয়েছে।

বেগম সুফিয়া কামাল হল: বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ছাত্রী হল এটি। বাংলা সাহিত্যে কবি বেগম সুফিয়া কামালের অবদানকে স্মরণ করে ২০১৫ সালে হলটি যাত্রা শুরু করে। 

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল: বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনতম ছাত্রী হল এটি। বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনীর নামে হলটির নামকরণ করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ৮৫০ জন ছাত্রী এই হলটিতে অবস্থান করছেন।