ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পূর্বাঞ্চলে ১১ মাসে ১৯ ট্রেন দুর্ঘটনা

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০১৯  

দেশে একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। এরইমধ্যে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাসহ ঢাকা-চট্রগ্রম-সিলেট রেলপথে ১১ মাসে অন্তত ১৯টি ছোট-বড় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী ট্রেন। এতে ২০ যাত্রী নিহতসহ রেলওয়ে বিভাগের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসব ঘটনায় দেড় শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন। 

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের ১২ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দাবাগে রাতে চট্রগ্রাম থেকে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর তুর্ণা নিশীথা ও সিলেট থেকে আসা চট্রগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসে ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ১৬ যাত্রী নিহত ও প্রায় শতাধিক যাত্রী আহত হয়েছেন। 

২৪ সেপ্টেম্বর আখাউড়া জংশন ইয়ার্ডে কুশিয়ারা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ৪ সেপ্টেম্বর আখাউড়া জংশন ইয়ার্ডে জালালাবাদ ট্রেনটিও লাইনচ্যুত হয়। 

১০ অক্টোবর ভৈবর বাজারে যাত্রীবাহী লোকাল ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। তবে কোনো যাত্রী হতাহত হননি। ১ অক্টোবর একই স্থানে একই ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। 

আরো জানা যায়, ২৭ আগস্ট ময়মনসিংহের গছিহাটে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। ৮ অক্টোবর হরেষপুরে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। এর আগে ১৪ জুন মনতলা যাত্রীবাহী কুশিয়ারা ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। ১৩ জুলাই আশুগঞ্জের মালবাহী একটি ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।
 
এছাড়া ২৪ জুন কুলাউড়ার বরমচান এলাকায় উপবন ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। এতে চার যাত্রী নিহত ও প্রায় অর্ধশতাধিক যাত্রী আহত হন। তাছাড়া ২৬ জুন কিশোরগঞ্জ এলাকায় ঈশাখা ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। 

১১ জুন মনতলা এলাকায় সুরমা মেইল লাইনচ্যুত হয়। ২ জুন রশিদপুর এলাকায় কুশিয়ারা ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। ২০ মে তালশহর এলাকায় মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়। ৩০ মে ভৈবর বাজার এলাকায় লাইনচ্যুত হয় একটি মালবাহী ট্রেন। ১২ এপ্রিল আখাউড়া জংশন ইয়ার্ডে আরেকটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি মানিকখালি এলাকায় অপর একটি মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়।  

তারও আগে ২ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ এলাকায় মালবাহী ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুতির ঘটনা ঘটে। ১৩ জানুয়ারি আশুগঞ্জ এলাকায় আরেকটি মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত হয়।  

আখাউড়া রেলওয়ে জংশন (লোকো ইনচার্জ) প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, চলতি বছরে দুটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পৃথক দুর্ঘটনার কারণ আলাদা ছিল। প্রাথমিক অনুসন্ধানে অসাবধানতা থাকায় এসব ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রতিটি দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।