ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে খুশি ৯৭৬ পরিবার

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নাম ফেলানী বেগম। ভিক্ষা করে চলে তার জীবন-জীবিকা। নিজের ৩ শতক জমি থাকলেও থাকার বসত ঘর ছিলো না তার। তাই সারাদিন ভিক্ষা করে রাতে অন্যের বাড়িতে ঝুপড়ি ঘরে ঘুমাতে হতো তাকে।  প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ কর্মসূচির আওতায় ‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘর পেয়ে খুশি ফেলানী বেগম। তার বাড়ি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের ৯ নং ওয়ার্ডে।

এ রকম শত শত গৃহহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় এনে সবাইকে ঘর নির্মান করে দেয়া হয়েছে।

ফেলানী বেগম ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, নিজের জমি থাকলেও ঘর ছিল না, তাই আজ অনেক শান্তিতে ঘুমাতে পারছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই তিনি তাদের মতো সহায় সম্বলহীন পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িছেন বলে। তাকে ঘর পেতে কাউকে কোনো টাকা পয়সা দিতে হয়নি। হঠাৎ একদিন এক অফিসার এসে বলেন, আমার নামে নাকি প্রধানমন্ত্রী ঘর বরাদ্দ দিয়েছে। তারপরেই কিছুদিনের মধ্যে তাকে তার জমির উপর একটি ঘর বানিয়ে দেয়। এখন আর অন্যের বাড়িতে তাকে রাত কাটাতে হয় না। সে এখন তার নিজের বাড়িতেই শান্তিতে ঘুমোতে পারেন।  

হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিন গড্ডিমারী গ্রামের আব্দুস ছামাদ ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, তিস্তা নদী হামার সব ভাঙ্গি নিয়ে গেইছে। ১৫ বছর থাকি পোয়ালের (খড়) চালাত আছনোং (ছিলাম), এ্যালা (এখন) ঘর পায়া (পেয়ে) হামার ভাল হইছে। আইতত (রাতে) শান্তিতে নিন্দ (ঘুম) পারবের পাই।  
কথা হয় ওই এলাকার ছকিনা বেগম, পার্শ্ববতী গ্রামের আজিয়া বেগমসহ আরো অনেকের সাথে। তারাও ঘর পেয়ে অনেক খুশি। তারাও বলেন, অনেক কিছু সাহায্য পাইছি, কিন্তু টাকা পয়সা ছাড়া সরকার থেকে ঘর পাবে এমন আশা কখনও করেননি তারা। এজন্য তারা আল্লাহর নিকট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।

হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহম্মেদ ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, তিস্তা নদীর ভাঙনের কারণে এ উপজেলায় হাজার হাজার পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ওই সব দুঃস্থ, নদী ভাঙ্গা ও অসহায় পরিবার গুলোর মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করেন। বাস্তবায়িত ঘর গুলোর নিয়ম মোতাবেক শত ভাগ গুনগত মান রক্ষা করে ডিজাইন অনুযায়ী নির্মাণ করা হয়েছে। 

হাতীবান্ধা উপজেলা চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় প্রথম পর্যায়ে সব মানুষকে ঘর দেয়া সম্ভব হয়নি। (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের মাধ্যমে আরো চাহিদা অনুযায়ী তালিকা প্রধানমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। বরাদ্দ সাপেক্ষে বাকীদের পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এজন্য নদী ভাঙ্গন কবলিত পরিবার গুলোর নামের তালিকা ইতিমধ্যে শেষ করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ীই পর্যায় ক্রমে সকলেই ঘর বরাদ্দ পাবেন।

মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এমপি ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রায়ন-২ কর্মসূচীর আওতায় ‘জমি আছে, ঘর নাই’ প্রকল্পের মাধ্যমে জেলায় মোট ৩ হাজার ৯ শত ৮১ টি পরিবারকে বসত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়েছে। এ কর্মসূচি আগামীতেও পর্যায়ক্রমে চলবে। নদী ভাঙন কবলিত তিস্তা পারের কোনো ঘরহীন পরিবার এ কর্মসূচির বাইরে থাকবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ গৃহহীন থাকবেন না।