প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ফসলি জমির মাটি খনন বন্ধ

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের উত্তর শিদলাই এলাকায় দুইটি ড্রেজার মেশিন দ্বারা উজাড় হচ্ছে ফসলি জমি। ওই এলাকার বিভিন্ন জমি থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত মাটি উত্তল করে বিভিন্ন দিকে বিক্রি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে সেলিম সরকার নামের এক ড্রেজার মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে। গতকাল রবিবার দুপুরে অভিযোগ পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী, তাৎক্ষণিক ড্রেজার মেশিন দ্বারা মাটি ক্ষণন কার্যক্রম বন্ধ করেন।

জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মধ্য শিদলাই এলাকার রেজেক আমিনের ছেলে মো. সেলিম সরকার দুটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে একই উপজেলার উত্তর শিদলাই, চান্দলা, কান্দুঘর ও দর্পনারায়নপুর সংযুক্ত বিলের বিভিন্ন জমিতে দীর্ঘদিন যাবত মাটি ক্ষণন করে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। যার কারণে ক্ষণনকৃত জমির আসে পাশের কয়েক একর জমি হুমকির মুখে রয়েছে। এতে একাধিক জমির মালিক তাকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে বাধা প্রদান করলে কারো কথা আমলে না নিয়ে সে তার ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি উত্তলন কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। বর্তমানে ড্রেজার ব্যবসায়ী সেলিম সরকার উত্তর শিদলাই এলাকার সোহেল ভূইয়ার জমি ভরাটসহ তিনটি জমি ভরাট কর্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ জমির একাধিক মালিক জানান, উত্তর শিদলাই, চান্দলা, কান্দুঘর ও দর্পনারায়নপুর সংযুক্ত বিলের বিভিন্ন জমি থেকে ড্রেজার মেশিন মালিক মধ্য শিদলাই এলাকার সেলিম সরকার দীর্ঘদিন যাবত মাটি ক্ষণন করে আসছে। অতিরিক্ত গভীর করে মাটি উত্তল করায় আমাদের আসে পাশের জমি গুলো অনেকটাই হুমকিতে রয়েছে। আমরা তাকে বেশ কয়েক বার বাধা দিলেও সে আমাদের কথা আমলে না নিয়ে সে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানায়, তাকে কেউ কিছু বললে সেলিম জবাবে উত্তর দেয়, আমি প্রশাসন থেকে অনুমতি এনেছি, ইউনিয়ন ভূমি অফিস আমার বিষয়ে জানে।

এব্যাপারে ড্রেজার মেশিন মালিক সেলিম সরকার বলেন, আমি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ক্ষণক করি, চুরি করি না। কারো কোন ক্ষতি হলে সেটা আমার দেখার বিষয় না।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাফর সাদিক চৌধুরী জানান, উপজেলা উত্তর শিদলাই এলাকায় ফসলি জমিতে দুইটি ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি ক্ষণন করছিলো সেলিম নামের এক মাটি ব্যবসায়ী। বিষয়টি তিনি গতকাল রবিবার দুপুরে জানতে পেরে ওই এলাকায় ড্রেজার মেশিন দ্বারা মাটি ক্ষণন কর্যক্রম বন্ধ করেন এবং মেশিন ও পাইপ তাৎক্ষণিক খোলে নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। তিনি জানান, প্রশাসনের বাধা অমান্য করে ড্রেজার মেশিন মালিক সেলিম সরকার পুনরায় তার কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে তার বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।