ব্রেকিং:
পুকুর থেকে মাদরাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশি জিনাতের সোনা জয় দক্ষিণ আফ্রিকার বক্সিংয়ে নিয়মিত দ্বিগুন মাত্রার শব্দে দূষণের শিকার কুমিল্লা নগরী দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধ-র্ষ-ণে-র অভিযোগ দেশের যত অপরাধ তার সবই করে বিএনপি: প্রধানমন্ত্রী শিশু সন্তানসহ মায়ের আত্মহত্যা বিশেষ কায়দায় ৪০ কেজি গাঁজা পাচার দুদিনব্যাপী পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তিভিত্তিক কৃষক প্রশিক্ষণ ৪ মে থেকে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া সেকান্দর চেয়ারম্যানসহ ১৪ জনের যাবজ্জীবন মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের
  • বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রশ্নফাঁস চক্রের সদস্যদের উপার্জিত সম্পদের খোঁজ নিচ্ছে সিআইডি

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২০  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস চক্র চিহ্নিত করেছে সাইবার পুলিশ সিআইডি। সে মামলায় মূল হোতাসহ গ্রেফতার হয় ৪৭ জন। সর্বমোট ১২৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট হয়, যার মধ্যে ৮৭ জন ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

শুক্রবার দুপুরে সিআইডির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে আরো একটি সক্রিয় চক্রের সন্ধান পায় সাইবার পুলিশ; যারা সরকারি মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত। 

মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে মাঠে নামে সাইবার পুলিশ। 

 

প্রশ্নফাঁস চক্রের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন ব্যাংকের চেক- ছবি: সংগৃহীত

প্রশ্নফাঁস চক্রের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত বিভিন্ন ব্যাংকের চেক- ছবি: সংগৃহীত

গত ১৯ জুলাই এস এম সানোয়ার হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের চাঞ্চল্যকর সব তথ্য দেয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সারাদেশে মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস চক্রের মাস্টারমাইন্ড জসিম উদ্দিন, জাকির হোসেন এবং পারভেজ খানকে। পরবর্তীতে নাটোর থেকে গ্রেফতার করা হয় মেডিকেল প্রশ্নফাঁস করা চক্রের আরেকজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মোহাইমিনুল বাঁধনকে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে সাইবার পুলিশ সিআইডি।

গ্রেফতারের সময় জসিমের কাছ থেকে দুই কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং পারভেজের কাছ থেকে ৮৪ লাখ টাকার চেক উদ্ধার করা হয়। যেগুলো তারা মেডিকেল ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে।

সিআইডির অনুসন্ধান বলছে, এদের অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান শুরু করেছে সাইবার পুলিশ। অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদের খোঁজ পাওয়ার পর তাদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করে তাদের সব অবৈধ সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা করবে সাইবার পুলিশ।

সিআইডি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। সেই মেরুদণ্ড শক্তিশালী রাখতে প্রশ্নফাঁস বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। গত কয়েক বছরে সাইবার পুলিশের টানা অভিযান এবং আসামি গ্রেফতারের ফলে প্রশ্নফাঁসের সংবাদ পাওয়া যায়নি। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলার মতো এবারও সাইবার পুলিশ যারা প্রশ্নফাঁসের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে তাদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এসব আসামিদের ধরতে সাইবার পুলিশ বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানগুলোর নেতৃত্বে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, এএসপি সুমন কুমার দাস, এএসপি জুয়েল চাকমা, এএসপি কাজী আবু সাঈদ এবং এএসপি ফাতেমা-তুজ-জোহরা।