ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে প্রথমবার ট্রিলিয়ন ডলারের বাংলাদেশ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২২  

১ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি এখন বাংলাদেশের!
কথাটা পড়তে যতটা সহজ ব্যাপারটা ধারণ করা ততটাই কঠিন। ১ ট্রিলিয়ন লিখতে কতটা শুণ্য (০) লাগে তাই আমরা অনেকে জানিনা। সেই আমাদের দেশের অর্থনীতি এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলার!
জ্বি হ্যাঁ, ১ ট্রিলিয়ন টাকাও নয়, ১ ট্রিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। কিভাবে? তা বলার  আগে আপনাদের ধারণা দেই ১ ট্রিলিয়ন আসলে কত কোটি টাকা?
১ ট্রিলিয়ন অনেক বড় একটা অঙ্ক। ১০০ কোটি সমান ১ বিলিয়ন আর ১০০০ বিলিয়নে ১ ট্রিলিয়ন। মানে দাঁড়াচ্ছে ১ লক্ষ কোটি। অর্থাৎ আমাদের দেশের ক্রয় ক্ষমতা এখন ১ লক্ষ কোটি ডলার!
IMF বা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, “বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ২০২১ সালে ছিল ৯৬৬ দশমিক ৪৮৫ বিলয়ন ডলার। চলতি ২০২২ সালের জানুয়ারিতেই- যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৬১.৫৭১ বিলিয়ন ডলার”। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার দাঁড়াবে ১ হাজার ১৬৪ দশমিক ৮২৫ বিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া ২০২৪ সালে ১ হাজার ২৭৬ দশমিক শূন্য ২২ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার ৩৯৫ দশমিক ৪০৯ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৬ সালে গিয়ে দেড় ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অর্জন করবে দেশের অর্থনীতির আকার। পিপিপির ভিত্তিতে ওই সময় অর্থনীতির আকার হবে ১ হাজার ৫২২ দশমিক ৪৭৮ বিলিয়ন ডলার।
চলতি মূল্যের ভিত্তিতে সম্প্রতি দেশের অর্থনীতির আকার ছাড়িয়েছে ৪১০ বিলিয়ন ডলার। আগামী অর্থবছরে জিডিপির আকার ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) দেশের অর্থনীতির আকার প্রথমবারের মতো চলতি মাসে হাজার বিলিয়ন ডলার বা ১ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পেরিয়েছে বলে প্রক্ষেপণ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)।
জানা গেছে, বিশ্বের যেকোনো দেশের অর্থনীতির আকার মূল্যায়নের মাপকাঠি হলো মোট দেশজ উৎপাদন (GDP)। দুটি পদ্ধতিতে জিডিপির আকার মূল্যায়ন করা হয়। এগুলো হলো চলতি মূল্যের ভিত্তিতে (Based on current price) এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (Based on purchase power)। এ দুই পদ্ধতিতেই বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মতো বিশ্বের প্রভাবশালী সংস্থাগুলো প্রতিবেদন প্রকাশ করে। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান Center for Economic and Business Research (CEBR) ২০১৯ সালের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৩০তম। বাংলাদেশের জিডিপির পরিমাণ ছাড়িয়েছিল ৮০০ বিলিয়ন ডলার। বর্তমানে তা আরো এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আইএমএফের তথ্য বলছে, ২০০৫-০৬ অর্থবছরে পিপিপির ভিত্তিতে দেশের অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ২৬৭ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন ডলার। অর্ধ ট্রিলিয়ন ডলার বা ৫০০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে প্রায় এক দশক সময় লাগে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে অর্থনীতির আকার ছিল ৫২০ দশমিক ৪২ বিলিয়ন ডলার।
এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতিতে বাংলাদেশের গত ১২ বছরের অভাবনীয় অর্জন, রূপকথার গল্পগাথাকেও হার মানায়। করোনার আগের ১০ বছরে ১৮৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি অর্জনে প্রথম স্থান অর্জন করেছে। এমনকি করোনায় যখন বিশ্বের অর্থনীতি ৩.১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে; সে সময়ও বাংলাদেশের অর্থনীতির সব সূচক ছিল ঊর্ধ্বমুখী। 
বিশ্বব্যাংক বলছে, দেশের প্রবৃদ্ধি বেশ ভালো অবস্থানে থাকবে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতার সুযোগ কম। দেশের অর্থনীতি একটি টেকসই ও গতিময় অবস্থানে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনীতির আঙিনায় অসীম সাহস ও দূরদর্শিতার প্রতীক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় উন্নয়ন অভিযাত্রায় পর্যায়ক্রমে একের পর এক লক্ষ্য অর্জন করতে গোটা জাতি আজ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। ২০৩০ সালের মধ্যে SDG অর্জনের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ এবং ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ।
জানা গেছে, চলতি মূল্যের ভিত্তিতে জিডিপির আকারে ২০০৮ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৬০তম। এখন ৪১তম অবস্থানে এসেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের গবেষণার তথ্য বলছে, ২০৩৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করতে স্বাধীনতার প্রথম ৩৮ বছর সময় লেগেছিল। তার বিপরীতে মাত্র ১২ বছরে অর্থনীতির আকার ৪ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১০০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৪১১ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে।