ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বদলে যাবে পৃথিবী

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২ মে ২০২১  


মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি সৃষ্টিই রহস্যময়।  যেমন আমাদের দেহ সৃষ্টি করা হয়েছে অজস্র কারু কাজের সমন্বয়ে।  আবার সেই দেহের স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখার  জন্য সৃষ্টি  করা হয়েছে উপযোগী  বায়ুমণ্ডল যার ২১ ভাগ রয়েছে অক্সিজেন।  মহান সৃষ্টিকর্তা যদি ৫ সেকেন্ড সে অক্সিজেন  বন্ধ করে দেয় তাওহলে কি হবে জানেন? হয়ত অনায়সেই বলে দিবেন, নিঃশ্বাস  বন্ধ করে রাখব, কারণ একজন মানুষ অনায়াসেই ৩০ সেকেন্ড  শ্বাস  না নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে।

কিন্তু বাস্তবতা একেভারেই ভিন্ন। ৫ সেকেন্ড পৃথিবীর অক্সিজেন  বন্ধ থাকলে কংক্রিট  সিমেন্টের মিশ্রন খসে সুউচ্চ ভবনগুলু বালুময় হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়বে, দহন প্রক্রিয়া  বন্ধ হয়ে লাখ লাখ গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে  যাবে, আকাশ থেকে বিমানগুলু টপ টপ করে মাটিতে পড়বে, বাতাসের অস্বাভাবিক চাপে  কানের পর্দা ফেটে যাবে, ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগ ভেংগে সব স্থাপনা তলিয়ে যাবে,  সুতরাং  আপনিও মাত্র ৫ সেকেন্ডেই তলিয়ে যাবেন। স্রষ্টার  প্রদত্ত সে অফুরাণ অক্সিজেন  যে প্রতিটি  মূহুর্তে কতটা গুরুত্বপূর্ণ  তা ভুক্তভোগী  মাত্রই হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

এসব লিখার মূল উদ্দেশ্য হল আত্ন অহংকার,  ক্ষমতার দম্ভ ও অনৈতিক  কর্মকাণ্ড  ছেড়ে স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য  স্বীকার করা। কিন্তু আমরা সেটি না করে উল্টোপথে  হাটছি আর পৃথিবীকে নরকে পরিণত করেছি। তাই  নিপীড়িতদের আত্ন- চিৎকারে মহান সৃষ্টিকর্তা  হয়ত পৃথিবীকে পুনরায় বদলাতে চাচ্ছেন। সৃষ্টিকর্তা সামান্য ক্ষুদ্র একটি ভাইরাস দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন আমরা কতটা অসহায় !! 

এত পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন  বোমা, মিশাইল, ক্ষেপণাস্ত্র  বানিয়ে কি হল? বলা হল এমিরিকার বি- ষ্টেলথ বোমারু বিমান  নাকি আলপিনের ডগায় বোমা ফেলতে পারে অনায়াসেই।  AK-107 রাইফেল  নাকি আস্ত একটি ট্যাংক উড়িয়ে দিতে পারে। মানুষ মারার কত আয়োজন,  কত শক্তি প্রদর্শন,  কত দম্ভ! অথচ সে মহা পরাক্রমশালীরা আজ একটি ক্ষুদ্র ভাইরাসের  কাছে অসহায়ের মত ধরাশায়ী। 

মনে আছে বোমায় ক্ষত বিক্ষত সিরিয়ার সেই অবুঝ শিশুটির  কথা। মরার আগে যে বলেছিল আমি ইশ্বরকে  সব বলে দেব। সে হয়ত বলে দিয়েছে আমাদের পৈশাচিকতার কথা, লোভের কথা,অসভ্যতার কথা, নির্মম নির্যাতনের  কথা।

আমরা মানুষ মেরেছি  হাজারে হাজার, মরনাস্ত্র বানিয়েছি লক্ষ-কোটি।  মানুষে মানুষে বিবেদ তৈরি করার জন্য  বানিয়েছি  নানান গোপন  অস্ত্র। এক গবেষণা  বলছে ২০২০ সালে কেবল মাত্র যুদ্ধের প্রস্তুতির জন্য খরচ হয়েছে ১.৯২ ট্রিলিয়ন  মার্কিন ডলার।

 সে হয়ত ইশ্বরকে বলে দিয়েছে, হে ইশ্বর  দেখ, তোমার নীল আকাশ আজ কালো ধোয়ায় চেয়ে গেছে, বাতাসে বারুদের গন্ধ। সে হয়ত বলে দিয়েছে তুমি সবার জন্য যে পৃথিবী  সৃষ্টি  করেছ তা আর সবার নেই।
দেখ তোমার পৃথিবীকে তারা  ভাগ করেছে ধর্মের নামে, ভাষার নামে, শরীরের রঙ দিয়ে। শাসন ব্যবস্থার নামে কেটে টুকরো টুকরো করেছে।

মনে আছে ভূমধ্যসাগরের পাড়ে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা নিস্পাপ  শিশু এলান কুর্দি বা কাটা তারে ঝুলে থাকা ফেলানীর কথা। তারা হয়ত ইশ্বরকে সব বলে দিয়েছে। ইশ্বর হয়ত শুনেছেন তাদের আর্তনাদ।তাই এই ক্ষুদ্র ভাইরাসটি হয়ত ইশ্বরের মার, চরম প্রতিশোধ। 

বৈভবে মোড়ানো দুবাইয়ের ৮২৮ মিটারের বুর্জ খলিফা এখন নাকি খাঁ খাঁ করছে। সোনা আর পেট্রো ডলারে মুড়ে রাখা অহংকার এখন থর থর করে কাঁপছে। দিল্লির আকাশ চিতার ধোয়ায় আচ্ছন্ন, বাতাসে লাশের গন্ধ।

প্রবল পরাক্রমশালীরা আজা ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে আছে উসকো খুসকো চুলের কলার ফাটা গবেষকদের দিকে, অথবা নির্ঘুম রাত জাগা ক্লান্ত, অবসন্ন অথচ হার না মানা  ডাক্তার ও নার্সদের দিকে। চরম উন্নাসিকতায় একসময় যখন তাদের দিকে তাকানোর  সময় হয়নি।

 তবে এই যুদ্ধ কি শুধু কি একটি ক্ষুদ্র ভাইরাসের  বিরুদ্ধে? বোধ হয় না!  একদিন হয়ত সব ঠিক হবে, তবে আমরা কি মানুষ হব? ইশ্বর  হয়ত আমাদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে  পৃথিবীকে সবার বাসযোগ্য  করেই ছাড়বেন।
বদলে যাবে পৃথিবী। 

 সে পর্যন্ত ঘরে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।। ভাল থাকুন।