বরুড়ায় স্বাস্থ্যখাতে চলছে চরম নৈরাজ্য

কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলাজুড়ে স্বাস্থ্যখাতে চলছে চরম নৈরাজ্য। যা দেখার কেউ নেই। শুধু পৌর সদর বাজারে ফার্মাসিষ্ট ছাড়াই রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় ৬৭টি ফামের্সীর মালিক কথিত কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্টরা । এর মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি ফার্মেসীর নেই ড্রাগ লাইসেন্স।

অনুসন্ধান করে মিলছে অবাক করা তথ্য। বরুড়ায় একটিও মডেল ফার্মেসী নেই। মডেল মেডিসিন শপ এর তকমা লাগিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের ধান্দাবাজীর ব্যবসা। হাতেগোনা  গুটি কয়েকটি ফার্মেসির ছাড়া বাকিগুলোর মধ্যে কোন ‘এ’ ও ‘বি’ ক্যাটাগরির দূরের কথা-‘সি’ ক্যাটাগরির একজন ফার্মাসিস্ট পর্যন্ত নেই। অথচ যে একজন ঔষধ বিক্রি করবে তাকে সেই ঔষধ সর্ম্পকে নূন্যতম ধারণা রাখতে হবে। বেশীরভাগ ফার্মেসীতে নবম শ্রেণী কিংবা এসএসসি পড়ুয়া শিক্ষাথীদের দিয়েই ফামাসিস্টদের কাজ চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, বরুড়া পৌরসদর বাজারের ৬৭টি ফার্মেসীসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার শতাধিক বাজারে প্রায় ১হাজার ৬৭টি ফার্মেসি রয়েছে। এর অধিকাংশই চলছে ফার্মাসিস্ট ও ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়া। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে এসব ফার্মেসীতে বিক্রি করা হচ্ছে মানহীন ঔষধ। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা।

অভিযোগ রয়েছে, তদারকির অভাবে প্রশিক্ষণহীন ও অদক্ষ ফার্মাসিস্ট দিয়েই যত্রতত্র গড়ে উঠছে ফার্মেসি প্রতিষ্ঠান। এসব ফার্মেসিতে ভূয়া ডাক্তার নিয়মিত প্র্যাকটিসসহ হরহামেশা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি চলছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য জেলাভিত্তিক ও দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে‘মডেল ফার্মেসি প্রকল্প’চালু হলেও এ উপজেলায় তা হয়ে উঠেনি।

এ বিষয়ে বরুড়া উপজেলা ড্রাগিষ্ট এন্ড কেমিষ্ট এর সাবেক সভাপতি ডা. আ: মতিন জানান, আমরা এ বিষয়ে ড্রাগিস্ট এন্ড কেমিস্টের সভায় তাদের সতর্ক করেছি। যাদের ড্রাগ লাইসেন্স নেই তারা যেন দ্রুত লাইসেন্স করে নেয়। যাদের ফামাসিস্ট নেই,তাদেরকে ও কোর্স করার জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টিকে আমরা পুনরায় গুরুত্ব সহকারে দেখবো।

এ বিষয়ে উপজেলা হেলথ্ কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নিশাত সুলতানা জানান, বরুড়া পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারের অনেক ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স এবং ফার্মাসিস্ট নেই, এ বিষয়টি তিনি অবগত হয়েছেন। দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।