ব্রেকিং:
ছেলেকে ভোট না দিলে উন্নয়ন বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি এমপির মন্ত্রী-এমপিরাই আওয়ামী লীগের নির্দেশ মানছে না ছাত্রলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল মার্চে কুমিল্লায় ৭১ অগ্নিকাণ্ড খুন ৭; সড়কে ঝরেছে ২০ প্রাণ মোহনপুরে নৌ-পুলিশের অভিযানে ১৩ জেলে আটক ১০০ পিস ইয়াবাসহ আটক ২ পূজা নিয়ে এমপি বাহারের বক্তব্য ব্যক্তিগত: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেঘনায় মিলল নিখোঁজ জেলের মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেডক্রিসেন্টের অ্যাডহক কমিটি গঠন ইঁদুরের শত্রু, কৃষকের বন্ধু জাকির হোসেন বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে একই পরিবারের তিনজন নিহত, আহত ৩০ কুমিল্লায় ১৭ কোটি টাকার মাদক ধ্বংস নোয়াখালীতে রোহিঙ্গার পেটে মিলল ইয়াবা, গ্রেফতার ৪ দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে প্রাণ গেল ছাগলনাইয়ার দিদারের সুবিধা বঞ্চিত ১৬৫ শিক্ষার্থী পেলো ৮ লাখ টাকা অনুদান দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিকশায় ধাক্কা দিয়ে বাস খালে, নিহত ৩ শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন হবে : কাদের সিদ্দিকী কুমিল্লা জেলা ছাত্র জমিয়তের সদস্য সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত নাঙ্গলকোটে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অনার্স শিক্ষার্থীর মৃত্যু দাউদকান্দিতে বাস চাপায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
  • শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশি ডিভাইস দিয়ে কেনা-বেচা হচ্ছে অতিরিক্ত সৌরবিদ্যুৎ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৪ আগস্ট ২০২০  

বাংলাদেশের গ্রামগুলোতে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগেই। জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের বাইরে থাকা বাড়িগুলোতেই মূলত সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের প্রায় ৫০ লাখ বাড়িতে রয়েছে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা। তবে এই সৌরবিদ্যুৎ বেচা-কেনা হচ্ছে দেশের অন্তত ১৩টি গ্রামে।

সোলার প্যানেল থেকে বিভিন্ন বাড়িতে যে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তা একটি ব্যাটারি স্টোরেজে জমা হয়। কিন্তু একবার সেই ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেলে সোলার প্যানেলের বাকি বিদ্যুৎ আর জমা হয় না। এর ফলে প্রচুর সৌরবিদ্যুৎ নষ্ট হয়৷

বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত গ্রামের মানুষ তাদের ঘরে যে সোলার প্যানেল স্থাপন করেন, তাতে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকে। অর্থাৎ সোলার প্যানেল থেকে উৎপন্ন বিদ্যুৎ ব্যাটারির স্টোরেজে জমা হয়। কিন্তু একবার সেই ব্যাটারির ধারণক্ষমতা পূর্ণ হয়ে গেলে সোলার প্যানেলের বাকি বিদ্যুৎ আর জমা হয় না।

 

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ছবি: সংগৃহীত

দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার শুরু হয়েছে অনেক আগেই। ছবি: সংগৃহীত

আর এই অব্যবহৃত বিদ্যুতের যেন অপচয় না হয়, এটা বিক্রি করে অন্যের চাহিদা যেন মেটানো যায়—এমন ভাবনা থেকে এই সৌর বিদ্যুৎ ভাগাভাগির কাজটি শুরু করে সোলশেয়ার নামে বাংলাদেশি একটি স্টার্টআপ। তাদের তৈরি সোলবক্স মিটার নামের একটি ডিভাইস দিয়েই কাজটি হচ্ছে।

সোলশেয়ারের প্রকল্প পরিচালক সালমা ইসলাম বলেন, ‘আমরা এমন এক ডিভাইস তৈরি করেছি যাতে বাড়তি বিদ্যুৎ জমা রাখা যাবে এবং এটা বিক্রি করে মানুষ অর্থও উপার্জন করতে পারবে। কেউ যদি ডিভাইসটি স্বয়ংক্রিয় মোডে রাখেন, ব্যাটারি পূর্ণ হওয়ার পর বাড়তি বিদ্যুৎ নিজে নিজেই বিক্রি হতে থাকবে।’

সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থার সঙ্গে এই ডিভাইস সংযুক্ত করলে বাড়তি বিদ্যুৎ একটি মাইক্রোগ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। অন্য সোলশেয়ার ব্যবহারকারীরা এই গ্রিড থেকে চাইলে বাড়তি বিদ্যুৎ কিনতেও পারবেন। ফলে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে অপচয় কমানো সম্ভব হবে।

 

সোলবক্স মিটার নামের এই ডিভাইস দিয়ে সৌরবিদ্যুৎ বেচা-কেনা হচ্ছে। ছবি: বিবিসি’র ভিডিও থেকে নেয়া

সোলবক্স মিটার নামের এই ডিভাইস দিয়ে সৌরবিদ্যুৎ বেচা-কেনা হচ্ছে। ছবি: বিবিসি’র ভিডিও থেকে নেয়া

দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ২৭টি মাইক্রোগ্রিড স্থাপন করে তাদের ডিভাইস ইনস্টল করেছে সোলশেয়ার। তাদের তথ্য অনুযায়ী অন্তত তিন হাজার পরিবার এই সৌর বিদ্যুৎ ভাগাভাগির সুবিধা নিচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই কৃষক। যেহেতু বেশি টাকা খরচ হচ্ছে না, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ বিক্রি এবং প্রয়োজনে কেনা যাচ্ছে—তাই এই ডিভাইস স্থাপনে আগ্রহ দেখাচ্ছে অনেক এলাকার মানুষ।

যেসব পরিবারের সোলার প্যানেল কেনার টাকা নেই, তারা এই ব্যবস্থায় যুক্ত হয়ে প্যানেল স্থাপন না করেই বিদ্যুৎ কিনতে পারবেন। ব্রিটিশ দাতব্য সংস্থা অ্যাশডেন জলবায়ু সুরক্ষায় উদ্ভাবনী সমাধানের জন্য সোলশেয়ারকে পুরষ্কার দিয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে অন্তত ২০ হাজার মাইক্রোগ্রিড পরিচালনা করার কথা ভাবছে প্রতিষ্ঠানটি।