ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বাংলাদেশে খাদ্য-নিরাপত্তা বেড়েছে

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯  

বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় থাকা মানুষের সংখ্যা কমেছে। জাতিসংঘ প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষিবিষয়ক সংস্থা (এফএও), শিশু তহবিল ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইএফএডি) ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উদ্যোগে ‘বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি বাস্তবতা ২০১৯’ শিরোনামে প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত নেয়া তথ্যের ভিত্তিতে রচিত  প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে ৮২ কোটি মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এর মধ্যে ৫১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষ এশিয়ার এবং ২৫ কোটি ৬১ লাখ মানুষ আফ্রিকার বাসিন্দা।

জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশে ২০০৪-২০০৬ সালে যেখানে অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যা ২ কোটি ৩৮ লাখ ছিল,  ২০১৮ সালে এসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৪২ লাখে। তবে খাদ্য নিরাপত্তাহীন মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৪-২০১৬ সালে এ সংখ্যা ১ কোটি ৭৮ লাখ ছিল। তবে ২০১৬-২০১৮ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দশকের পর দশক ধরে অপুষ্টিজনিত পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তবে ২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তা অপরিবর্তিত আছে। তখন থেকে বিশ্বে পুষ্টিহীনতার শিকার মানুষের হার ১১ শতাংশ। কৃষির ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব পড়ছে এবং কৃষকের সংখ্যা কমে গেছে। আর এগুলো সব মিলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া, বিতরণ ও ভোগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে এবং নতুন খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যবিষয়ক চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে তীব্র খাদ্য অনিরাপত্তাজনিত পরিস্থিতির ব্যাপকতা কমলেও গত দুই বছরে তা বেড়েছে। অপুষ্টির ক্ষেত্রে অনাহারের দায় বেশি হলেও স্থূলতারও ভূমিকা রয়েছে। সব অঞ্চলেই স্থূলতাজনিত অপুষ্টির হার বেড়েছে। অবশ্য পুষ্টির মাত্রা নির্ধারণকারী অপর এক মানদণ্ড হলো বয়সের তুলনায় কম উচ্চতাসম্পন্ন ৫ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা। এই সমস্যার শিকার শিশুর সংখ্যার দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের খানিকটা অগ্রগতি হয়েছে।

২০১২ সালে বয়সের তুলনায় কম উচ্চতার সমস্যায় আক্রান্ত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুর সংখ্যা যেখানে ৬৫ লাখ ছিল, ২০১৮ সালে এসে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৫ লাখে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের স্থূলতা ও নারীদের রক্তশূন্যতা হওয়ার হার পূর্বের তুলনায় বেড়েছে। ২০১২ সালে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতার শিকার মানুষের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ। ১১ লাখ বেড়ে ২০১৬ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৬ লাখে। একইভাবে ২০১২ সালে রক্তস্বল্পতায় আক্রান্ত নারীর সংখ্যা যেখানে ১ কোটি ৭৪ লাখ ছিল, ২০১৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখে।