ব্রেকিং:
বিএনপি নেতারা বউদের ভারতীয় শাড়ি পুড়িয়ে দিচ্ছে না কেন? এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির সিলিন্ডার ফেটে অটোরিকশায় আগুন, ভেতরেই অঙ্গার চালক ভুটানের রাজা ঢাকায় আসছেন আজ, সই হবে তিন এমওইউ মেঘনায় ট্রলারডুবি: দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু দুপুরের মধ্যে তিন অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস যৌন হয়রানি রোধে কাজ করবে আওয়ামী লীগ জলবায়ু সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব: রাষ্ট্রপতি ইসরায়েলকে অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা কানাডার ‘ইফতার পার্টিতে আল্লাহর নাম না নিয়ে আওয়ামী লীগের গিবত গায়’ গাজায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডার নিহত রাফাহতে ইসরায়েলের হামলার ব্যাপারে বাইডেনের আপত্তি নির্বাচনে জয়লাভের পর পরমাণু যুদ্ধ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন পুতিন কুমিল্লায় বিজয় এক্সপ্রেসের ৯ বগি লাইনচ্যুত বাংলাদেশকে ২০ টন খেজুর উপহার দিল সৌদি আরব মায়ের আহাজারি ‘মেয়েটাকে ওরা সবদিক থেকে টর্চারে রাখছিল’ এই প্রথম ত্রাণবাহী জাহাজ ভিড়ল গাজার উপকূলে জিম্মি জাহাজের ৪ জলদস্যুর ছবি প্রকাশ্যে নাইজেরিয়ায় রমজানে রোজা না রাখা মুসলমানদের গ্রেফতার করছে পুলিশ বৃষ্টি নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের নতুন বার্তা
  • শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের ফসল বিডিআর বিদ্রোহ

কুমিল্লার ধ্বনি

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ল্যান্ডমার্ক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে নির্বাচনে জয় লাভ করে আওয়ামী লীগ। এর মাত্র ৫২ দিন পর ঘটে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা। একাত্তরের পরাজয়ের পর যেমন নেমে এসেছিল ষড়যন্ত্রের ঘনঘটা, ষড়যন্ত্রকারীরা মেতে উঠেছিল হত্যাযজ্ঞে। নেমে এসেছিল পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট। ঠিকই একইভাবে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিটি চেয়েছিল স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, বিতর্কিত করতে। প্রতিশোধ হিসেবে তাই বিএনপি-জামায়াত পাকিস্তানের আইএসআই এর সহযোগিতায় পিলখানা হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট রচনা করে। তারা চেয়েছিল, এর মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে।

দায়িত্বশীল সূত্রের তথ্যমতে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ও হাজার হাজার সেনার রক্ত ঝরিয়ে বিএনপির রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তারা সব কিছু অবৈধভাবে হাসিলের চেষ্টা করে আসছে। তারই পথ ধরে তারা বারবার স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির উপর আঘাত হেনেছে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাও তার অংশ। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা যখন সরকার প্রধান হয়ে দায়িত্ব পালন শুরু করেন, তখন আবার একাত্তরের পরাজিত ওই শক্তিটির গাত্রদাহ শুরু হয়। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিডিআর বিদ্রোহের নীলনকশা বাস্তবায়ন করে।

গল্পটা এখানেই শেষ নয়। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিডিআর বিদ্রোহের আগের রাতে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান লন্ডন থেকে তার মাকে ৪৫ বার ফোন করেন এবং নির্দেশনা দেন দ্রুত ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে বের হয়ে যেতে। এ কারণে যে খালেদার দুপুর ১২টার আগে ঘুম ভাঙেনা, তিনি সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে আন্ডারগ্রাউন্ডে পালিয়ে যান। যদি সম্পৃক্ততাই না থাকতো, কি ঘটতে যাচ্ছে সবকিছু নাই জানতেন, তবে কি কালো কাচের গাড়িতে করে পালাতেন বিএনপি নেত্রী? আশ্রয় নিতেন একটি দূতাবাসে গিয়ে?

সূত্রটি আরও জানায়, সব দল ও মানুষ ওই ভয়াল দুর্যোগময় মুহূর্তে সাহায্যে এগিয়ে এলেও শুধু এগিয়ে আসেনি বিএনপি-জামায়াত। তাই বলাই বাহুল্য, এ হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ ছিল। এ কারণে দল-মত নির্বিশেষে সবাই যখন কীভাবে বিষয়টি সামাল দেয়া যায়, শান্তিপূর্ণ সমাধান করা যায়- সেজন্য ছুটে এসেছিল, তখন বিএনপি-জামায়াত জোটের কোন নেতাও সেখানে যাননি। বরং আত্মগোপনে ছিলেন। পাশাপাশি অভিযুক্তদের পক্ষে চক্রটি আইনি লড়াই করেছে।

সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে বিএনপি-জামায়াত নিয়ন্ত্রিত মিডিয়াগুলো জল ঘোলা করার পাঁয়তারায় ছিলো। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য প্রয়াত সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীও তখন আর্মি অফিসারদের মৃত্যু প্রসঙ্গে ‘কিছু প্রাণী মারা গেছে’ বলে বিদ্রূপ করেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-বিএনপি চক্র কখনোই দেশ ও দশের ভালো চায়নি। তারা দেশকে এগিয়ে নেয়ার পরিবর্তে বারবার চেয়েছে পিছিয়ে নিতে। চেয়েছে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে দেশকে পাকিস্তানের মতাদর্শে চালিত করতে। সেই ষড়যন্ত্রের পথ ধরে ফসল হিসেবে এসেছে বিডিআর বিদ্রোহ। যার নেপথ্যে মদদদাতা বিএনপি-জামায়াত চক্র।