বিদেশী ব্যাংকে তারেকের কয়েক হাজার কোটি টাকা

বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে তারেক রহমানের কয়েক হাজার কোটি টাকা রয়েছে। একটি ক্ষেত্র থেকেই দু’হাজার কোটিরও বেশি টাকার সন্ধান পাওয়া গেছে। দেশের বিভিন্ন ব্যাংকেও তারেক রহমানের নামে-বেনামে একাউন্টে কি পরিমাণ টাকা রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরদিকে সন্দেহভাজন ৫০০ শীর্ষ দুর্নীতিবাজের বিচার হবে স্পেশাল টাস্কফোর্সের আইনের আওতায়। এই ৫০০ শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকা চূড়ান্ত হয়ে গেছে।

তাদের মধ্যে দুই পর্বে ১০০ জনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম পর্বে ৫০ জনের তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গত ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করেছে। দ্বিতীয় পর্বের তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে পৌঁছালেও তা প্রকাশ করা হয়নি। তবে এই তালিকা ইতিমধ্যে পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে গেছে বিধায় দুদক তা এখন আর প্রকাশ করতে আগ্রহী হচ্ছে না। সন্দেহভাজন ৫০০ শীর্ষ দুর্নীতিবাজের মধ্য ৪০০ জনের তালিকা একটি সংস্থার কাছে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই ৫০০ জনের মধ্যে মন্ত্রী, এমপি ও শীর্ষ রাজনীতিবিদ, আমলাসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন রয়েছেন। এই তালিকার মধ্যে থেকে যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যাবে না তারা আইনের আওতায় আসবে না বলে দুদকের এক কর্মকর্তা জানান।

৫০০ সন্দেহভাজন শীর্ষ দুর্নীতিবাজের তালিকার বাইরেও অপর একটি তালিকা হবে। তাদের বিচার প্রচলিত আইনে হবে বলে চূড়ান্ত হয়েছে।দ্বিতীয় পর্বের তালিকায় তারেক রহমান তিন নম্বরে রয়েছেন। তাকে ৭ মার্চ মধ্যরাতে ক্যান্টনমেন্ট শহীদ মইনুল রোড থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন গুলশান থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা চাঁদাবাজির মামলায় তাকে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে গঠিত বিশেষ টাস্কফোর্স ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। ঐ সময় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে তারেক রহমানের মুখোমুখি করা হয়। ১৫ থেকে ২০ মিনিট দুইজন টাস্কফোর্সের সামনে উপস্থিত ছিলেন।

গিয়াস-উদ্দিন আল মামুনকে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করলে তারেক রহমানের দুর্নীতি, অনিয়ম, টেন্ডারবাজি ও নিয়োগ-বদলি বাণিজ্যসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সকল তথ্য-প্রমাণ প্রকাশ করে দেয়। মামুনকে নিয়ে একটি সংস্থার কর্মকর্তারা মালয়েশিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ইউরোপের একটি দেশে যান। সেখানকার কয়েকটি ব্যাংকে তারেক রহমানের কোটি কোটি টাকা থাকার প্রমাণ পান। ৪ দিনের রিমান্ডে তারেক রহমান দুর্নীতির ও সর্বশেষ ৪ জানুয়ারি এক কোটি টাকা ঠিকাদার ব্যবসায়ী আমিন আহমেদ ভুঁইয়ার কাছ থেকে নেয়ার কথা স্বীকার করেন। তারেক রহমান ও মামুনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত তারেক রহমানের দুই সহস্রাধিক কোটি টাকার সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানা গেছে।