বিদ্যালয়ের পরিবেশ উন্নয়ন ও ডিজিটাল হাজিরা কার্যক্রম উদ্বোধন

এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি বলেছেন, ইনোভেশন বা উদ্ভাবনই হচ্ছে প্রতিটি জাতির মূল শক্তি। উদ্ভাবনী কাজে তরুণ এবং স্টার্টাপদের আমরা এগিয়ে নিতে চাই। দেশে এখন প্রায় ১৬ কোটি নাগরিক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। প্রায় ৯ কোটির বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের দরবারে রোল মডেল। এত অল্প সময়ে তথ্য প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এগিয়ে নিতে কোন সরকার পারেনি। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ধারাবাহিক উন্নয়ন একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই সম্ভব হয়েছে। গত ১০ বছরে উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ দেশের ৯০ শতাংশ জনগণকে ইন্টারনেটের আওতায় নিয়ে আসা হবে। আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে প্রায় তিন হাজার সরকারি সেবা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে।

আলহাজ¦ ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন এমপি শনিবার বিকেলে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা পরিষদ মাঠে ২০৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাস্তবায়িত পরিবেশ উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৭৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় ডিজিটাল হাজিরা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নুরুজ্জামান, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ম. রুহুল আমিন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ¦ হারুন আল রশীদ, সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম খসরু। উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিনের উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মজিদ, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম কমল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হেলাল উদ্দিন মজনু, জেলা পরিষদ সদস্য খায়রুল আলম সাধন, ভিপি জাকির হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ তমাল, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ ফিরোজ খান, হাজী আব্দুল মান্নান, হাজী আব্দুস ছামাদ মাঝি, হাজী কামাল উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, বাবুল আহমেদ মোল্লা, ওমর ফারুক সরকার, বণ কুমার শিব, শরিফুল ইসলাম, রুহুল আমিন, কাইয়ুম ভুইয়া, একেএম সফিকুল ইসলাম, শাহাজাহান বিএসসি, জাকির হোসেন, উপজেলা প্রশাসনের বিভাগীয় কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল কলেজ মাদরাসার সভাপতি, অধ্যক্ষ, সুপার, প্রধান শিক্ষকসহ শিক্ষকমন্ডলী।

জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায় প্রতিটি স্কুলে স্কাউট এবং কাব প্রতিষ্ঠিত হোক। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য আমাদের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে স্কাউট ফি নেওয়া হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে তার কার্যক্রম দেখা যায় না। তিনি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কাউট এবং কাব কার্যক্রম চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানান।

উল্লেখ্য, ২০৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও পরিবেশের মান উন্নয়ন, ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সততা এবং সুশিক্ষা গ্রহনে প্রতিযোগিতা ও মানবিকতা আনয়নের ১০টি উদ্যোগ গ্রহন করে বাস্তবায়ন করা হয়।